২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
বরিশালে অভয়াশ্রমের নিষিদ্ধ সময়ে মাছ ধরার অপরাধে ৮ জেলেকে জরিমানা বরিশাল-পটুয়াখালীসহ দেশের ৮ জেলায় ৬০ কিমি বেগে ঝড়ের আশঙ্কা কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে ভেসে এসেছে দুটি মৃত কচ্ছপ বাংলাদেশ বেতারের তালিকাভুক্ত গীতিকার হলেন কবি বিজন বেপারী রোজা মানুষের মানবিক গুণাবলি বিকশিত করে : লায়ন মোঃ গনি মিয়া বাবুল বরিশাল সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সাথে এসএম জাকিরের মতবিনিময় সুধীজনদের সন্মানে  চরফ্যাশন রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজের ইফতার মাহফিল  হার্ডলাইনে পুলিশঃ এবার বরিশালে পরিবহন সেক্টরে নৈরাজ্য চলবেনা রোজা রেখে মুখের দুর্গন্ধ এড়াবেন যেভাবে বাসায় পর্যবেক্ষণে খালেদা জিয়া, সিদ্ধান্ত মেডিকেল বোর্ডের

রহমতের দশদিন ! এই সময়ে আল্লাহর অফুরন্ত রহমত বর্ষিত হতে থাকে

শেয়ার করুনঃ

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email

।। হাফিজ মাছুম আহমদ দুধরচকী ।।

রমজানুল মোবারক কে তিনটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে। প্রথম ১০ দিন রহমতের। এই সময়ে আল্লাহর অফুরন্ত রহমত বর্ষিত হতে থাকে। আমাদের অস্তিত্ব জুড়ে আল্লাহর রহমত। রহমত ছাড়া এক মুহূর্তও বাঁচার উপায় নেই। তবে পবিত্র রমজানের প্রথম দশকে রহমতের বারিধারা আরও প্রবল বেগে বইতে থাকে। এতে সিক্ত হয়ে মুমিন বান্দারা পরকালে সুউচ্চ আসনে আসীন হতে পারেন। রাসূল (সা.) বলেন, ‘তোমাদের সামনে রমজান মাস হাজির। এটি অত্যন্ত বরকতপূর্ণ মাস। এ মাসের রোজা আল্লাহ তোমাদের ওপর ফরজ করেছেন। এ মাসে রহমতের দরজাগুলো উন্মুক্ত হয়ে যায়, জাহান্নামের দরজাগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয় এবং বড় বড় শয়তানকে আটক করে রাখা হয়। এ মাসে এমন একটি রাত আছে, যা হাজার মাস অপেক্ষা উত্তম। যে লোক এই রাতের মহাকল্যাণ লাভ থেকে বঞ্চিত থাকল, সে প্রকৃতই সবকিছু থেকে বঞ্চিত ব্যক্তি।’

মহাবরকত ও কল্যাণের মাস মাহে রমজানে বেশি বেশি দোয়া-দরুদ পাঠ, তওবা-ইস্তেগফার ও প্রার্থনার মাধ্যমে আল্লাহর রহমতের ভাগিদার হওয়া যায়। রমজান মাসের প্রতিটি মুহূর্ত মহান আল্লাহর বিশেষ রহমতে পরিপূর্ণ। রোজা পালনের মধ্য দিয়ে মুমিন বান্দারা আত্মিকভাবে নিজেদের গড়ে তুলতে সক্ষম হন। তাই আল্লাহতায়ালা রোজাদারদের জন্য পবিত্র রমজান মাসে তার রহমতের দরজা অবারিত করে দেন। রমজানে রোজাদার আল্লাহর কাছে যত চাইবে, আল্লাহ ততই দেবেন। যে বান্দা আল্লাহর কাছে চায়, আল্লাহ তার প্রতি সন্তুষ্ট হন। আর যে চায় না, তার প্রতি অসন্তুষ্ট হন। আল্লাহর কাছে চাওয়ার ক্ষেত্রে কখনও কুণ্ঠিত হওয়া উচিত নয়।

আমরা প্রত্যেকেই আল্লাহর রহমতের মুখাপেক্ষী। প্রতিটি মুহূর্তে আমাদের রহমতের প্রয়োজন পড়ে। আল্লাহর রহমত কারও অনুকূলে না থাকলে জীবনে ধ্বংস অনিবার্য। যারা দুনিয়াতে সফল হয়েছেন, সবাই আল্লাহর অনুগ্রহ ও রহমতপ্রাপ্ত। রমজান আমাদেরকে আল্লাহর রহমত লাভের অনন্য সুযোগ করে দিয়েছে। এই দশকে আমরা বেশি বেশি করে তওবা, ইস্তেগফার ও দোয়ার মাধ্যমে আল্লাহর নৈকট্য লাভ করতে পারি। আমরা আল্লাহর দিকে যত দ্রুত এগিয়ে যাব, আল্লাহ এর চেয়ে শতগুণ বেশি বেগে আমাদের দিকে ছুটে আসবেন। আল্লাহর রহমতও এমনই। যারা গোলামির মাধ্যমে আল্লাহকে রাজি-খুশি করতে পারবে; দুনিয়া-আখেরাতে আল্লাহর রহমত তাদের সঙ্গী হবে। আর কারও জীবনে আল্লাহর রহমতের বারিধারায় সিক্ত হওয়ার সুযোগ হলে এর চেয়ে সৌভাগ্যবান আর কিছু নেই। রমজানে এই সুবর্ণ সুযোগ পেয়েও যারা কাজে লাগাতে পারবে না তারা বড়ই হতভাগা।তাদের এই হতভাগ্য নিয়ে আল্লাহ ও রাসূল (সা.) আক্ষেপ করেছেন।

হাদিসে আছে, যে রমজানে তার গোনাহ ক্ষমা করাতে পারল না তার চেয়ে হতভাগা আর নেই।
আমরা অনেকেই হেলায়-খেলায় রমজানের সময়গুলো কাটিয়ে পরবর্তী সময়ে আফসোস করি। সে আফসোসের কোনো ফল হয় না।

রমজান মাত্র শুরু হয়েছে। আল্লাহকে পাওয়ার সাধনা পুরোদমে শুরু করতে হবে এখন থেকেই।

যথাযথ হক আদায় করে রোজা পালন করব এই প্রতিজ্ঞার মাধ্যমে শুরু হোক আমাদের রমজান। এতে পরে আমাদের আর আফসোস করতে হবে না। আমরা হতভাগাদের অন্তর্ভুক্ত হবো না।

সমগ্র বিশ্বের বনি আদম সন্তান রমজান মাসের হেদায়েত লাভ করে ঈমান ইসলাম অর্জন করুক।

সমগ্র বিশ্বের মুসলিম মিল্লাত রমজান মাসে নিজের জীবন কে পরিশুদ্ধ করে দ্বীন দুনিয়ার সুখ সমৃদ্ধি লাভ করুক। আমিন। বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদ হাফিজ মাছুম আহমদ দুধরচকী ছাহেব।

সর্বশেষ