১৭ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

লন্ডনে যাপিত জীবন : মিয়া মনিরুল আলম

শেয়ার করুনঃ

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email

সাঈদ চৌধুরী

২০০০ সালের ২৫ মার্চ শনিবার বিকেলে একজন সুন্দর মনের মানুষের সাথে আমার পরিচয় হয়। প্রথম সাক্ষাতে যাকে অকপট সত্যবাদি ও ন্যায়নিষ্ঠ বলেই মনে হয়েছে। গত ২০ বছরে আমার সে ধারণা সঠিক বলেই প্রতীয়মান হল। আর তিনি হলেন বৃটেনের জনপ্রিয় কমিউনিটি ব্যক্তিত্ব মিয়া মনিরুল আলম। যার অন্তর সদা দ্যুতিময়। অত্যন্ত সাহসী ও আত্মমর্যাদা সম্পন্ন এই সমাজ সংগঠককে সংকীর্ণতা ও পঙ্কিলতার উর্ধ্বে থেকে নিবেদিত চিত্বে অবিরাম কাজ করতে দেখেছি। ৭৫ বছর বয়সে বার্ধক্যজনিত অসুখ-বিসুখে এখন তিনি ঘর থেকে বের হননা। ফলে অনেক দিন হল তার সাথে দেখা নেই। আজ দুপরে টেলিফোনে কথা বললাম। মনে হল তাকে নিয়েই যাপিত জীবনের আজকের পর্বটি লিখে নেই।

মিয়া মনিরুল আলমের সাথে আমার প্রথম দেখা হয় ইস্ট লন্ডনে। তিনি তখন বাংলাদেশ ক্যাটারার্স এসোসিয়েশন (বিসিএ) ইউকের প্রেডিডেন্ট। তার সাথে তখন ছিলেন বিসিএ‘র সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ও সাপ্তাহিক নতুন দিনের ডাইরেক্টর মানিক মিয়া, সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং মার্কেনটাইল ব্যাংক ও নতুন দিনের ডাইরেক্টর মরহুম তারা মিয়া, বিসিএ‘র ভাইস প্রেসিডেন্ট ও পরবর্তীতে গ্রেটার সিলেট ডেভলাপমেন্ট কাউন্সিলের চেয়ারপার্সন মনছব আলী জেপি, বিসিএ‘র জেনারেল সেক্রেটারী ও বর্তমানে ব্র্যান্ট কাউন্সিলের মেয়র পারভেজ আহমদ, বিসিএ‘র এসিস্টেন্ট জেনারেল সেক্রেটারী ও পরবর্তীতে গ্রেটার সিলেট ডেভলাপমেন্ট কাউন্সিলের চেয়ারপার্সন সাংবাদিক কেএম আবু তাহের চৌধুরী, বিসিএ‘র চীফ ট্রেজারার ও পরবর্তীতে বৃটিশ বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্সের প্রেসিডেন্ট মাহতাব চৌধুরী, বিসিএ‘র ট্রেনিং এন্ড এডুকেশন সেক্রেটারি পরবর্তীতে গ্রেটার সিলেট ডেভলাপমেন্ট কাউন্সিলের চেয়ারপার্সন নুরুল ইসলাম মাহবুব প্রমুখ।

বিসিএ’র প্রচার সংক্রান্ত বিষয়ে তারা আমার সাথে বিশদ আলোচনা করেন। আমি তাদের বক্তব্যের আলোকে একটা সুন্দর প্রতিবেদন করে সাপ্তাহিক নতুন দিন ও বাংলাদেশে দৈনিক ইনকিলাবে প্রেরণ করি। তখন আমি নতুন দিনের সাথে যুক্ত এবং ইনকিলাবের লন্ডন প্রতিনিধি।

লন্ডন আসার আগে ইনকিলাব সম্পাদক সিলেটে আল-মক্কা ইনস্টিটিউট পরিদর্শন কালে আমাকে অনুরোধ করেছিলেন, লন্ডনে আমি যেন ইনকিলাবের প্রতিনিধিত্ব করি। সেদিন (২২ জুন ১৯৯৯) শীর্ষস্থানীয় কুটনীতিক ও ইসলমামী ব্যক্তিত্বগণ আমাদের অতিথি ছিলেন। প্রতিনিধি দলের মধ্যে ছিলেন ইরাক বাংলাদেশ মৈত্রী সমিতি ও বিশ্ব মৈত্রী সমিতির চেয়ারম্যান সাদাল্লা এ হোসাইন, মৈত্রী সমিতির নেতা জালাল এম আব্দুল্লাহ, ঢাকাস্থ ইরাকী চার্জ দ্যা অ্যাফেয়ার্স নাহিদ আলী সুলতান, বাংলাদেশ জমিয়তুল মুদাররিসিনের সভাপতি ও সাবেক ধর্ম ও ত্রাণ মন্ত্রী মাওলানা আব্দুল মান্নান, দৈনিক ইনকিলাব সম্পাদক এএমএম বাহাউদ্দীন, নির্বাহী সম্পাদক কবি রুহুল আমীন খান, মাসিক পরওয়ানা সম্পাদক হুসসাম উদ্দীন চৌধুরী প্রমুখ। আল-মক্কা ইনস্টিটিউটের চীফ রেক্টর প্রফেসর কবি আফজাল চৌধুরী ও রেক্টর হিসেবে আমি সাঈদ চৌধুরী সেখানে তাদের স্বাগত জানাই।

ইনকিলাবে বিসিএ’র প্রতিবেদন অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে ছাপা হলে পরের দিন ২৬ মার্চ রবিবার মিয়া মনিরুল আলম ও নুরুল ইসলাম মাহবুব মিষ্টি নিয়ে এসে আমাকে কৃতজ্ঞতা জানান। আমি তাদেরকে যথাসাধ্য আতিথেয়তার চেষ্টা করি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত রেষ্টুরেন্টের বিল মিয়া মনিরুল আলম জোরপূর্বক পরিশোধ করেন।বিষয়টি আমার কাছে খুব অস্বাভাবিক মনে হয়নি। ভেবেছিলাম সুন্দর নিউজের জন্য হয়তো এমনটি করেছেন। কিন্তু এরপর থেকে সর্বদা দেখে আসছি মিয়া মনিরুল আলম যেখানে থাকেন, খাবার বিল তিনিই দেন। সেখানে কারা খেয়েছেন, কতজন খেয়েছেন তা কখনো বিবেচ্য বিষয় নয়। তার এই দারাজদিল কর্মকান্ড সকলেই অবহিত।

সেদিন আমরা একসাথে লন্ডনস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশনে ২৬ মার্চের অনুষ্ঠানে অংশ গ্রহন করি। স্বাধীনতা দিবসের এই অনুষ্ঠানে আমাদের স্বাগত জানান বিসিএ‘র সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট বিখ্যাত গান্ধি রেষ্টুরেন্টের স্বত্বাধিকারী ও আওয়ামী লীগ নেতা জালাল উদ্দিন। অনুষ্ঠান শেষে হাইকমিশনার মাহমুদ আলীর সাথে আমরা বেশ কিছু সময় কাটাই। এক সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী ছাত্র ও পরবর্তীতে একই বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনীতির প্রভাষক মাহমুদ আলী একজন পন্ডিত মানুষ। দক্ষ কুটনীতিক ও সফল সংগঠক। আওয়ামী লীগ তখন ক্ষমতায়। মাহমুদ আলী প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার খুব আস্থাভাজন রাষ্ট্রদূত।

মিয়া মনিরুল আলম বিএনপি ঘরানার মানুষ এবং পরবর্তীতে যুক্তরাজ্য বিএনপির সফল সভাপতি ছিলেন। কিন্তু সেদিন হাইকমিশনার মাহমুদ আলী কমিউনিটি নেতা মিয়া মনিরুল আলমকে যথাযথ সম্মান ও আতিথেয়তা দেখিয়েছেন।

হাইকমিশনের সংবাদ প্রচারের জন্য মাহমুদ আলী আমাকে খবর করতেন। এক সময় তাদের গেস্ট লিস্ট তৈরী করতে আমার টেকনিক্যাল সহায়তা নিয়েছেন। এভাবেই তার সাথে একটা সখ্যতা গড়ে উঠেছিল। বিভিন্ন দেশে কুটনৈতিক দ্বায়িত্ব পালন শেষে ২০০১ সালে তিনি আওয়ামী লীগ থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। পরে দলের আন্তর্জাতিক বিষয়ক কো-চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। ২০০৮ সালের ৯ম জাতীয় সংসদে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ছিলেন। ২০১২ সালে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী নিযুক্ত হন। ২০১৩ সালে তিনি পররাষ্ট্র মন্ত্রীর দায়িত্ব লাভ করেন।

মিয়া মনিরুল আলম কমিউনিটির পাশাপশি হাইকমিশনের সেবামূলক কর্মকান্ডে একজন শীর্ষ কন্ট্রিবিউটর ছিলেন। হাইকমিশনার গিয়াস উদ্দিন, হাইকমিশনার শেখ রাজ্জাক আলী, হাইকমিশনার মোফাজ্জল করিম ও হাইকমিশনার সাবিহ উদ্দিন আহমদের সময় তিনি সামগ্রীক কর্মকান্ডে বিশেষ সহায়তা করেছেন। এই সময়ে হাইকমিশনের ম্যাগাজিন ও অন্যান্য প্রকাশনা আমার সংবাদ সংস্থা মিডিয়া মহল থেকে প্রস্তুত হত। বর্তমান হাইকমিশনার সাঈদা মুনা তাসনিম যখন কর্মকর্তা ছিলেন তখন মিডিয়া মহলে একসাথে কাজ করার বহু স্মৃতিময় ঘটনা রয়েছে। মুনা খুবই যোগ্য ও সৎ কর্মকতা ছিলেন। ইংরেজিতে ভাল দখল থাকায় ম্যাগাজিনে অনেক আর্টিকল উপস্থিত সময় লিখে নিতেন।

২০০৫ সালে হাইকমিশনার মোফাজ্জল করিমের উদ্যোগে স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের ৩৪তম বার্ষিকীতে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে গৌরবোজ্জল অবদান রাখার জন্য মিয়া মনিরুল আলম সহ কমিউনিটির ৩০ জনকে সম্মাননা প্রদান করা হয়।

আমি যখন সাপ্তাহিক ইউরো বাংলা প্রকাশের উদ্যোগ নেই তখনও মিয়া মনিরুল আলমের ভূমিকা অনস্বীকার্য। আমরা একটি বোর্ড গঠন করি এবং তিনি চেয়ারম্যান মনোনীত হন। আমাদের প্রতিটি বোর্ড সভায় তিনি মন খুলে মতামত দিতেন।এর বাইরে কোন দিন কোন তদবির বা হস্তক্ষেপ করেননি। ইউরো বাংলা প্রতিষ্ঠায় সাংবাদিক কেএম আবু তাহের চৌধুরী ও সলিসিটর এমএ মালিক সহ আমাদের সকল পরিচালকদের নিয়ে ভিন্ন পর্বে আলোচনার আশা রাখি।

মিয়া মনিরুল আলমের সাথে বিসিএ’র অনেক অনুষ্ঠানে এবং ইউকে বাংলা ডাইরেক্টরি, ইউকে এশিয়ান রেষ্টুরেন্ট ডাইরেক্টরি, মুসলিম ইন্ডেক্স ও সাপ্তাহিক ইউরো বাংলা প্রকাশের সময় প্রচার কর্মকান্ডে বিলেতের এপ্রান্ত থেকে ওপ্রান্তে ঘুরেছি। নর্দান আয়ারল্যান্ডের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সিলেট নগরীর জিন্দাবাজারস্থ আল হামরা শপিং সিটির ডাইরেক্টর আব্দুর রব আমাদেরে গোটা আয়ারল্যান্ডে ঘুরে দেখিয়েছেন। যেখানে গিয়েছি মিয়া মনিরুল আলমকে সবাই চিনে এবং বহু লোক কোন না কোন ভাবে তার মাধ্যমে উপকৃত হয়েছে বলে জানান।

মিয়া মনিরুল আলম কখনো আত্মকেন্দ্রিক ছিলেননা। সব সময় মানুষের সঙ্গে থাকার চেষ্টা করেন এবং মানুষের উপকারের জন্য যা কিছু করা যায় তা নিয়ে সদা সচেষ্ট। তিনি নিজ এলাকা মৌলবী বাজারে অসহায় মানুষের সহায়তা করেন।মানুষ মানুষের জন্য, জীবন জীবনের জন্যে। এই চেতনায় বিশ্বাসী মনিরুল আলম নিঃস্বার্থভাবে বিপদগ্রস্ত ও ক্ষুধার্থ মানুষের সাহায্য করে চলেছেন।

আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন অর্থনীতিবিদ গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা ড. ইউনূস ২০০৬ সালে যখন নোবেল পুরস্কার গ্রহন করে লন্ডন হয়ে দেশে ফিরবেন, বাংলাদেশ হাইকমিশন তখন সম্বর্ধনার উদ্যোগ নেয়। কমিউনিটির সাথে কয়েক দফা বৈঠক হয়। কিন্ত বড় অনুষ্ঠান করার মত বাজেট যোগাড় না হওয়ায় তা বাতিল হয়ে যায়।

মিয়া মনিরুল আলম ছুটে আসেন মিডিয়া মহলে। মনের দূ:খ খুলে বলেন আমাকে। আমি তাকে শান্তনা দিয়ে বলি, সম্বর্ধনা হবে ইনশাআল্লাহ। মনির ভাই ভীষন খুশি হলেন। আমি এই বিশাল দায়িত্বের গুরুত্ব অনুধাবনের ফলে কিছুটা চিন্তায় পড়ে গেলাম। নিকটতম দু’একজনের সাথে কথা বলে পক্ষে-বিপক্ষে অভিমত পেলাম। উভয় পক্ষ এক্সট্রিম।

যারা পক্ষে বলেছেন তাদের কথা হল, এটা ঐতিহাসিক এবং জাতীয় দায়িত্ব। নোবেল বিজয়ী কবি রবীন্দ্রনাথকে যারা কাছে থেকে দেখেছেন তারাও আজ ইতিহাস। অপরদিকে যারা বিপক্ষে বলছেন তাদের কথা হল আপনি ইসলামী শিক্ষিত মানুষ। ড. ইউনূসের গ্রামীণ ব্যাংক সুদের ব্যবসা করে। অথচ এটাতো অন্য ব্যাংকও করে।

আমার মনে হল অর্থসহ পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু হবে। এতে ধর্মীয় ও জাতীয় দায়িত্ব দুটোই পালন হবে। এভাবেই অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি শুরু হল। হাইকমিশনার সাবিহ উদ্দিন আহমদ ছুটে এলেন মিডিয়া মহলে। পুরো পরীকল্পনা তাকে অবহিত করলাম। তখন টাওয়ার হ্যামলেটসের মেয়র কাউন্সিলার শফিকুর হক। অনুষ্ঠানকে গণমুখি করার জন্য শফিক ভাইকে ফোনে আহবায়ক হবার প্রস্তাব দিলাম। তিনি সবকিছু শুনে বললেন, কমিউনিটি নেতারা বিষয়টি কিভাবে নেবেন? বললাম মেয়র হিসেবে কোন প্রশ্নের অবকাশ থাকবেনা। মনির ভাইকে নিয়ে আলেকজান্ডা প্যালেস বুকিং দেয়া হল। চার ঘন্টার ভাড়া ১৭ হাজার পাউন্ড। সব মিলে খরচ হল ২৭ হাজার পাউন্ড। ২০০ পাউন্ড করে কমিটির সবাই দিয়ে দিলাম।

অনেকে ভেবেছিলেন আকাশচুম্বী আয়োজন। আমরা নিশ্চিত ফেইল করবো। কিন্তু আল্লাহর রহমতে সফল হয়েছি। অনুষ্ঠানে যথাসময়ে কারী এসে পৌছেননি। বক্তব্য বাদ দিয়ে আমি অর্থ সহ কোরআন তেলাওয়াত করলাম। সকল পরিশ্রম সফল বলেই মনে হল। বৃটিশ এমপি, এমইপি ছাড়াও ব্যাংক অব ইংল্যান্ড সহ বিভিন্ন অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠান ও দেশী-বিদেশী সংস্থার বিশিষ্টজনের অংশ গ্রহণে এক বিশাল অনুষ্ঠান আমরা সুনিপুন ভাবে সম্পন্ন করেছি। ড. ইউনুস দীর্ঘ ৪৫ মিনিট বক্ত্য রাখলেন। কী অসাধারণ বক্তব্য। তার শব্দ চয়ন ও কথা বলার ধরণ অপূর্ব। মূল্যবোধ ও মানবতাবাদ বিষয়ে প্রতিটি বাক্যই শিক্ষণীয়।সেই প্রাঞ্জল বক্তব্য এখনো ইউটিউবে আছে। একটি বিরল অনুষ্ঠান ও অনন্য সাধারণ বক্তব্য হিসেবে বিবিসি ও স্কাই টিভি বছরের সেরা ঘটনাপুঞ্জে এটি প্রকাশ করেছে।

মিয়া মনিরুল আলম কর্ম চঞ্চল মানুষ। যে কোন সৃষ্টিশীল কর্মকান্ডে তিনি সাগ্রহে সময় দিতেন। তাই তার সাথে আমার অনেক স্মৃতি। ওআইসি মহাসচিব প্রফেসর একমেলেদ্দীন ইহসানোগলুর সাথে মুসলিম ইনডেক্স নিয়ে আলোচনা অনুষ্ঠানেও তিনি ছিলেন। হাউজ অব লর্ডসের সদস্য লর্ড নাজির আহমদের সাক্ষাৎকার গ্রহনের সময়, বাংলাদেশের প্রথম বেসরকারী টিভি চ্যানেল এটিএন বাংলার প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান মাহফুজুর রহমানকে নিয়ে বৃটিশ পার্লামেন্ট পরিদর্শনের সময়ও তিনি ছিলেন। এমন অনেক ঘটনা রয়েছে যা এই পরিসরে আলোচনা সম্ভব নয়। প্রতিটি বিষয় আলাদা একেকটি পর্বে লেখার উপযোগী।

মিয়া মনিরুল আলম সাদা মনের মানুষ। ফক্সটন থেকে লন্ডন ৭০ মাইল গাড়ি চালিয়ে প্রায় প্রতিদিন আসতেন। এলএমসিতে অবস্থিত মিডিয়া মহলে একটু সময় কাটাতেন। তারপর নেশার মত ছুটে বেড়াতেন অসহায় মানুষের সহায়তার খোঁজে। মহান আল্লাহর কাছে এমন বিরলপ্রজ সমাজ সংগঠক প্রিয় মুনির ভাই’র সুস্থতা ও দীর্ঘায়ু কামনা করি।

সর্বশেষ