নিজস্ব প্রতিবেদক।। পটুয়াখালীর গলাচিপায় উপজেলায় ধর্ষণের পর গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করার অভিযোগ পাওয়া গেছে মারুফা আক্তার নামে এক এসএসসি ফল প্রার্থীর।
মারুফা উপজেলার চিকনীকান্দি কোর্টখালী গ্রামের মৃত আবু সালের মেয়ে ও বাঁশবাড়িয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পরীক্ষা শেষ করেছে। বর্তমানে ফল-প্রার্থী।
মারুফার বোন তামান্না ইসলাম এমনটাই অভিযোগ করেন। সে বলেন, দীর্ঘদিন ধরে আমার বোন মারুফা আক্তার কে বাড়ির প্রতিবেশী মৃত হাবিবুর রহমানের ছেলে কামাল হোসেন নুহু হাওলাদার প্রলোভন দেখিয়ে কু প্রস্তাব দিয়ে আসছে। মারুফা বিষয়টি আমাদেরকে বলার পর পারিবারিকভাবে আমরা নুহুর স্ত্রী ও পরিবারকে জানাই। কিন্তু তাতে কোন লাভ হয়নি, উল্টো মারুফাকে দোষারোপ করে আমাদেরকে বিভিন্ন ভয়-ভীতির হুমকি প্রদান করেন। মারুফা কে প্রায় সময় উত্তাক্ত সহ মানসিক টর্চার করতেন নূহু ও তার পরিবারের সহযোগীরা।
গত রবিবার বিকেল চারটার দিকে মারুফা মানসিকভাবে হঠাৎ ভেঙ্গে পড়েন। তাকে অস্বাভাবিক দেখার কারণে আমরা তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করি, একপর্যায়ে মারুফা জানিয়েছেন নুহু তাকে বিভিন্ন ভয়-ভীতি দেখিয়ে দুইদিন পূর্বে ঘরের পাশে বাগানে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেছে ।
তামান্না আরো জানান, আমার বোন অবিবাহিত, এমন একটি বিষয় জানার পর আমরা চিন্তায় পড়ে গেছি। পারিবারিকভাবে বিষয়টি আলোচনা করতে গেলে সন্ধ্যা ছয়টায় মারুফা ঘরের আড়ার সাথে ঝুলন্তভাবে গলায় ফাঁস দেয়।
মারুফাকে উদ্ধার করে গলাচিপায় প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে পড়ে@ উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল প্রেরণ করেন। বুধবার ভোর পাঁচটার দিকে হাসপাতালে আই সি ইউতে তার মৃত্যু হয়।
বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানার এসআই মিরাজ মোল্লা জানান, মারুফার আমরা সুরাতল করেছি, পায়ের নিচে কালো দাগ আছে।
পরিবার থেকে ধর্ষণের বিষয়টি জানিয়েছেন। বাকিটা ময়নাতদন্তের রিপোর্টে জানা যাবে।
এ ব্যাপারে গলাচিপা থানার অফিসার ইনচার্জ শোনিত কুমার গায়েন জানান, এই ধরনের অভিযোগ এখন পর্যন্ত কেউ করেনি, অভিযোগ পেলে তদন্ত পূর্বক আইনি ব্যবস্থা নেব।