১৯শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
সংবাদ শিরোনাম

লালমোহনে সাবেক যুবলীগ নেতার হাত-পা ভেঙে দিল দুর্বৃত্তরা

শেয়ার করুনঃ

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email

ভোলা প্রতিনিধি ::: ভোলা লালমোহন পৌরসভার সাবেক যুবলীগ নেতা সিরাজকে তুলে নিয়ে মারধর করে হাত-পা ভেঙে দিয়েছে একদল যুবক। এরা স্থানীয় নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন এমপির লোকজন বলে অভিযোগ করেছে হামলার শিকার সিরাজের পরিবার।

শনিবার রাতে কয়েকজন যুবক সিরাজকে তার বাসার সামনে থেকে তুলে নিয়ে বাদশা মিয়া একাডেমিতে নিয়ে গিয়ে ব্যাপক মারধর করে।

মেহের, মাসুম ও আমিনুল নামে তিনজনের নেতৃত্বে এ হামলা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীর পরিবার।

এঘটনার পরপরই এলাকাবাসী লালমোহন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে একাধিকবার ফোন দিয়ে জানালেও সিরাজকে উদ্ধারে কোন তৎপরতা দেখায়নি প্রশাসন, এমন অভিযোগ এলাকাবাসীর।

পরে সিরাজের স্বজন ও এলাকাবাসী তাকে উদ্ধার করে প্রথমে লালমোহন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখান থেকে সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। অবস্থার অবনতি হওয়ায় সদর হাসপাতালের চিকিৎসক সিরাজকে বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে হস্তান্তর করেন।

স্থানীয় নেতাকর্মীদের অভিযোগ, ভোলা-৩ আসনের এমপি নুরুন্নবী চৌধুরী শাওনের লোক মেহের, মাসুম ও আমিনুল। তারা পরিকল্পিতভাবে সিরাজকে বাসার সামনে থেকে তুলে নিয়ে বাদশা মিয়া একাডেমির মধ্যে ব্যাপক মারধর ও নির্যাতন করে। সিরাজ যেন তাদের বিপক্ষে আর কোনো মিছিল মিটিং না করতে পারে- এ জন্য তার হাত-পা ভেঙে দেয়।

সাবেক যুবলীগ নেতাকে মারধর করার বিষয়ে লালমোহন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমানের কাছে জানতে চাইলে তিনি ফোন ধরে কিছু সময় চুপচাপ থেকে ফোন কেটে দেন। এরপর একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি ধরেননি।

মেহের হোসেন বলেন, সিরাজকে কারা হামলা করেছে আমি জানি না, আর আমি এর সঙ্গে জড়িত না। আমি এমপি শাওনের রাজনীতি করি বলে আমার নামে এসব ভিত্তিহীন অভিযোগ দিচ্ছে আবু নোমান। এর আগেও নোমান আমার নামে দুইটা মামলা দিয়েছে। সিরাজ যুবলীগ করত আমার সঙ্গে, বিভিন্ন অপকর্মের কারণে এবার তাকে কমিটিতে রাখা হয়নি।

রায়হান মাসুম বলেন, আমি কেন সিরাজকে মারধর করতে যাব। আমি অসুস্থ। আমি তো বাসা থেকে বের হই না। আমি এমপি শাওনের রাজনীতি করি, তাই আমার নামে মিথ্যা অভিযোগ দিচ্ছে। আমি সিরাজের হামলার সঙ্গে জড়িত না। আমার নামে আবু নোমান মিথ্যা অভিযোগ দিচ্ছে। এর প্রতিবাদ করে সংবাদ সম্মেলন করব।

হামলার শিকার সিরাজের ছোট ভাই সুমন বলেন, ইঞ্জিনিয়ার আবু নোমানের মিটিং-মিছিল করায় এমপির লোক (মেহের, মাসুম ও আমিনুলসহ আট-দশজন) বাসার সামনে থেকে তুলে নিয়ে মারধর করে হাত ভেঙে দিয়েছে। এই ঘটনায় যেন মামলা করা না হয়, সেজন্য আমাদের হুমকি দিচ্ছে। আমি আমার ভাইকে নিয়ে হাসপাতালে থাকায় এমপি শাওনের লোকজন আমাদের বাড়িতে গিয়ে হুমকি দিয়ে আসছে।

তিনি বলেন, প্রথমে লালমোহন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভাইকে ভর্তি করা হয়। সেখানে নিরাপদ বোধ না করায় ভোলা সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, কিন্তু সেখানেও ভর্তি রাখেনি সিরাজ ভাইকে। এখন বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে, কিন্তু এখানেও এমপি শাওনের লোকজন এসে হুমকি দিচ্ছে।

সর্বশেষ