৪ঠা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

শাকিব খানকে নিয়ে কাজ করার ইচ্ছে আছে – এখলাস আবেদিন

শেয়ার করুনঃ

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email

এ আল মামুন, বিনোদন ডেস্কঃ

চিত্রপরিচালক এখলাস আবেদিন। ঢাকাই সিনেমার অন্যতম একজন ব্যতিক্রমধর্মী একজন পরিচালক। সিনেমা পরিচালনার পাশাপাশি তিনি একজন চিত্রনাট্য লেখক গীতিকার, ও সুরকার।অসংখ্য গান আছে তার বিভিন্ন গায়ক গায়িকার ঠোটে।

সেই ২০১৬ সালে ‘ভালোবাসাপুর’ নামক একটি সিনেমা দিয়ে দর্শকপুরীতে অবস্থান নিয়ে নেন এই নির্মাতা। এরপরে আর পেছনে তাকাতে হয়নি তার, বিভিন্ন গল্প,গান,আর সিনেমা নির্মাণ নিয়ে মোটামুটি ব্যস্ততা এখন তার।তবে আজ এই অবস্থানে তিনি একদিনে আসেননি। অনেক দৌড়ঝাপ দিয়ে শুরু হয় এই পরিচালক এর মিডিয়াযাত্রা।

চিত্রপরিচালক এখলাস আবেদিন এর ১৯৮২ সালের ১২ ডিসেম্বর ঢাকা জেলার সাভারে জন্মগ্রহণ করেন। ছোটবেলা থেকেই পড়াশোনায় যেমন মনোযোগী তেমন ছিলেন সাংস্কৃতিক মনোভাবের। স্কুল কলেজ জীবনে কালচারাল সকল শাখায় নিজেকে মেলে ধরেন। তবে নাটক ও সিনেমায় ভিশনভাবে টানত তাকে। সেই চিন্তা সেই কাজ ১৯৯৯ সালে ব্যাতিক্রম নাট্যগোষ্ঠীতে যোগদেন। একাধিক শো শুরু করেন অভিনয় ও সাথে পরিচালনা। টানা কয়েকবছর শো করেন দেশের নানান প্রান্তে।

এরপরে ডিজিটাল বেসরকারি টিভি চ্যানেল একুশে টিভির আর্বিভাব। তখন থেকে শুরু করেন সিনেমা ও নাটকের উপর কোর্স করেন।এরপরে ঢাকা ফিল্ম ইন্সটিটিউট ও বেশকিছু ইন্সটিটিউট ট্রেইনআপ করে নিজেকে ঝালাই করেন। সেই ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া শুরু ২০০২ থেকে।

কায়েস চৌধুরী ও দেওয়ান নাজমুল এর সাথে সহকারী নাট্য পরিচালক কাজ শুরু করেন। ২০০৪ ফেরদৌস হাসান রানার সাথেও কাজ হয়। ২০০৭ সালে চ্যানেল 1 প্রচারিত হয় তার পরিচালনায় নাটক কনেপন।টানা ৩৫ টি একক নাটক নির্মাণ করেন এই পরিচালক। এর আগে প্রযোজন প্রতিষ্ঠান সংগীতার সাথেও বেশকিছু মিউজিক ভিডিওর কাজ ও গানের কাজ হয়েছে।

এরপরে সিনেমায় হাতেখড়ি হয়েছে স্বনামধন্য চিত্রপরিচালক স্বপন চৌধুরীর সাথে। ছিলেম শিক্ষানবিশ পরিচালক।অনেক বছর কাজ করার পরে হানা দেয় সিনেমাপাড়ায় নগ্নতা। আর সেভাবে কাজ করা হয়ে উঠেনি।

অন্ধকার থেকে যখন আলো আসছিল সিনেমাপাড়ায় তখনি আবার সিনেমায় ফেরেন এখলাস আবেদিন। কয়েকবছর অতিবাহিত হওয়ার পরে ২০১৪ সালে প্রথম সিনেমা ‘ভালোবাসাপুর’ নির্মাণ করেন এবং ২০১৬ সালে মুক্তি দেন। সিনেমাটি অর্ধশতাধিক হলে মুক্তি পায়। সিনেমাটি আলোচনায় ওঠে মুক্তির পরেই, টেবিল কালেকশনও বাম্পার ছিল।

বর্তমানে এখলাস আবেদিন এর নির্মাণধীন সিনেমা দুটো। একটি শাপলা মিডিয়ার অন্যটি ঘরোয়া প্রযোজনায়। এবং মুক্তির অপেক্ষায় আছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু নিয়ে সিনেমা ‘হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি’। সিনেমাটিতে মুখ্য চরিত্র করছেন জনপ্রিয় চিত্রনায়ক ফেরদৌস আহমেদ। ‘ট্যাবু ‘ নামের আরো একটি সিনেমার শুটিং শুরু হবে অচিরেই।

সিনেমার প্রসঙ্গে কাজ নিয়ে কথা হলে এখলাস আবেদিন জানান, সিনেমা নিয়েই থাকতে ভালোবাসি। এটা আমার নেশাপেশা এটাই আমার কাজ। ভালোবাসা থেকেই সিনেমায় কাজ করা। চেস্টা করি ভালো কিছু উপস্থাপন করার। বেশকিছু নতুন গল্প লিখেছি শিগগিরই সিনেমায় রুপদান করব।

সিনেমা নিয়ে আপনার ভবিষ্যত কি? জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখন কিছু আবার গান কিছু করছি। তবে স্কিপ্ট আর ডিরেকশন, গান লেখা, গল্প লেখা এটাই মূল কাজ আমার। আমি সিনেমায় কমফোর্ট করি, তাই সিনেমায় বাকি সময়টা কাটিয়ে দেব।

অনেক কাজ করেছেন তবে কাজ করতে গিয়ে তিক্ততার মুখোমুখি হয়ছেন কি? জানতে চাইলে তিনি বলেন, খুব স্বাভাবিক ব্যাপার, এটা স্বার্থপরের একটি এর যায়গা।এখানে কিছু জানিয়ে কিছু করতে গেলে সবাই সরে যায়। আমি প্রথম সিনেমায় সেটা ভালোভাবেই বুঝতে পারছি।এরপর থেকে যত কাজ করেছি একা নির্ভিতেই এবং গোপনে ও একাই নিরবে কাজ করি। এখন আর কাউকে জানান দেইনা। তাই মিডিয়ায় আমার পরিচিতিটাও একটু কম। এটা জানি যে এটার ক্যারিয়ারের উপর একটি নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। কিন্তু আমার পক্ষে তেল দিয়ে বা লাইন করে কাজ আদায় করা সম্ভব না। কাজ করছি ইনশাআল্লাহ এগিয়ে যাই। তবে দ্বিতীয় সিনেমায় কাজ করে খুব ভালো অভিজ্ঞতা হয়েছে। বিশেষ করে সিনিয়র শিল্পীদের নিয়ে। যেমন ফেরদৌস ভাই টাইম টু টাইম সেটে আসতেন, শর্মীমালা ছোটবাচ্চা বাসায় রেখে এসে, আমাদের সাথে রাত ১২ অব্দি কাজ করেছেন। টানা শুটিং করেছেন, কেউ একটু বিরক্ত হননি। আসলে প্রফেশনাল শিল্পীর যা গুণাবলী তাই পেয়েছি সবাই হেল্পফুল ছিল।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু নিয়ে সিনেমা ‘হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি’ সিনেমাটি নিয়ে আপনার প্রত্যাশা কি? জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার ছবিটি একটি থিয়েটিরিয়াল সিনেমা। মানে সিনেমার মধ্যে সিনেমা। গল্পটি বুঝতে হলে পুরো সিনেমাটি দেখতে হবে ১৯ আগস্ট মুক্তি দিতে দেয়ার ইচ্ছে আছে। দেখুন জাতির পিতাকে নিয়ে খুব কম সিনেমা হয়েছে। আমি যখন সিনেমাটির গল্প লেখা শেষ করি ও শুটিং করি তখন কিন্তু অনেক প্রতিষ্ঠানও শুরু করেন। তবুও ভালোলাগার বিষয় এটাই বেশ কিছু কাজ হয়েছে। আমার এই ছবিটি নিয়ে আমি অনেক আশাবাদী।

আমার ছবিটি কেন দেখবে,আমি এমনভাবে কাজ করেছি বঙ্গবন্ধুকে কিভাবে লালন করতে হয়, কিভাবে তার আর্দশ নিয়ে বেড়ে ওঠা যায়,মোটকথা আমি বাংলাদেশকে তুলে ধরেছি।কারণ বঙ্গবন্ধু মানেই বাংলাদেশ। আসলে এমন ধরন এর ছবি কম হয়েছে, যদিও এখন বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে বিগ বাজেটের বায়োপিক হচ্ছে এটাই সুখের কথা। জাতি আগ্রহ নিয়ে দেখবে।বঙ্গবন্ধুকে স্কিনে দেখে শিখবে।

শেষ তিন প্রশ্ন

১ -আপনার চোখে সেরা নায়ক কে?
ফেরদৌস ভাই। তাকে বলার মত আর কিছু নেই

২-সেরা নায়িকা কে?
সেরা নায়িকা নাই

৩- চিত্রনায়ক শাকিব খানকে নিয়ে একটি মন্তব্য করুন।

শাকিব খান বাংলাদেশ ১পিস, পৃথিবীতেই ১ পিস। বাংলাদেশের টেবিল কালেকশন নায়ক একমাত্র শাকিব খান। তাকে নিয়ে কাজ করার ইচ্ছে আছে। এমন গুণী শিল্পীর সাথে কাজ করলে নিজেকে আরো অনেকটাই প্রকাশ করা যায়। তাকে ছাড়া কাজ করাটা অনেকটাই লস প্রজেক্ট।

সর্বশেষ