“পীরতন্ত্র”
——- শা হ রি য়া র মা সু ম
জীবন খেলায় ফেঁসে গ্যাছো এখন কী আর করবা রে!
নিয়ত খাঁটি সহীহ করে যাও না পীরের দরবারে।
অঙ্গে মাখো পীরের পানি সঙ্গে মাটি আর কিছু
শিন্নি করার চাল কিনে দাও লেগে থাকো তার পিছু।
পীর বাবাতো খয়রাতি না তোমার কাছে হাত পাতে!
তুচ্ছ ক’টা পয়সা চেয়ে হানবে আঘাত জাত পাতে?
এমন বোকা পীর বাবা না তাই তো বানায় হাদিয়া
করতে পারো তাকে খুশি মনের মতো যা দিয়া।
হয়না পুরন মনের আশা কিংবা বউয়ের মন পাওয়া?
পাড়ার ভদ্র ছেলের সাথে তোমার প্রিয় বোন হাওয়া?
চক্ষু বুজে ফেলবা কড়ি পীরের মরা মাজারে
পয়সা ছাড়া হয় না কিছু দুর্মূল্যের এই বাজারে।
দরবারে তার শিন্নি দিও কিংবা দিও চাল কিনে
দ্বিগুণ হারে ফেরত পাবে তার চ্যালাদের তালকিনে
তোমার দেয়া মোমবাতিটা অসংখ্যবার বিক্রিত!
এইটা বাবার তেলেসমাতি দরবারে বেশ স্বীকৃত।
বাবার কেরামতি মোটেও ছোট্ট এবং তুচ্ছ না
মসিবতের দুয়ার থেকে মুক্তি তুমি খুঁজছ না?
রোগ ভালো হয়,শোক ভালো হয়, এক চামচের শিন্নিতে
এই কথাটা বুঝলা না ভাই? বুঝল ঠিকই গিন্নিতে।
গিন্নিরা তাই দল পাকালো খাইলো আছাড় পীর পায়ে
মোমের বাতি জ্বালিয়ে দিয়ে ঢাললো কিছু ক্ষীর পায়ে
নেকির নেশায় মাতাল হয়ে করল নতো শির পায়ে
অবশেষে ফিরল বাড়ি পীরের দোআয় ধীর পায়ে।
পীর দিয়েছে দু’হাত ভরে কেউ ফেরে না খালি রে
আল্লাহ বিমুখ পীর পূজাতে ঈমান ফালি ফালি রে
পীর বাবাদের আজব লীলায় মগজ ধোলাই ধবলে
সব হারাবে ভাইরে বোকা পড়লে পীরের কবলে।
১৫.১০.২১