২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
সংবাদ শিরোনাম

শ্বাশুড়ির মামলায় জামাই এলাকা ছাড়া

শেয়ার করুনঃ

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email

তারিখঃ ১৫ জুন ২০২১

গলাচিপা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধিঃ
পুকুরের মাছ ধরে নিয়ে যাওয়াকে কেন্দ্র করে শ্বাশুড়ির হয়রানিমূলক মামলার শিকার হয়ে নয়ন মিয়া এখন এলাকা ছাড়া। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মামলা পাল্টা মামলা হয়েছে। এর আগে নয়ন মিয়ার স্ত্রী নুসরাত জাহান মুক্তার ওয়ারিশ সূত্রে পাওয়া জমিতে পুকুরের মাছ লুট করে নিয়ে যায় তার বড় বোন তানিয়া বেগমের নেতৃত্বে দুষ্কৃতিকারীরা। মাছ ধরে নিয়ে যাওয়ার সময় বাধা দিতে গেলে নয়নের স্ত্রী নুসরাত জাহান মুক্তাকে তার বড় বোন তানিয়া বেগম ও ভগ্নিপতিরা মারধর করে। এ ঘটনায় তানিয়া গত ২৭ মে মুক্তা বাদি হয়ে বোন ও ভগ্নিপতির বিরুদ্ধে গলাচিপা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মামলা করেন। ওই মামলা ধামাচাপা দেওয়ার জন্য বুধবার (১৪ জুন) নয়নের শ্বাশুড়ি লাইলী বেগম তার জামাই নয়নকে প্রধান আসামী ও মেয়ে-ছেলেসহ ৭ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত আরো ১০ জনের বিরুদ্ধে গলাচিপা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মামলা করেন। এ ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার পানপট্টি ইউনিয়নের রত্মেশ্বর গ্রামে। নয়নের স্ত্রী নুসরাত জাহান মুক্তার মামলা সূত্রে জানাগেছে, গত ৭ এপ্রিল ও ১ মে মুক্তার বড় বোন তানিয়া বেগম, আসমা বেগম, ভগ্নিপতি সোহেল রানা, হাসান শরীফ ও বড় ভাই আমজেদ শিকদার মিলে তার (মুক্তার) পুকুরে চাষকৃত বিভিন্ন প্রজাতির রুই, কাতল ও গলদা চিংড়ি মাছ দিনের বেলায় লুট করে নিয়ে যায়। এসময় মুক্তা বাধা দিলে বাকবিতন্ডার এক পর্যায়ে মুক্তাকে বোন ও ভগ্নিপতিরা মারধর করে গুরুতর আহত করে। মারধরে অন্তঃসত্ত্বা মুক্তার যোনিপথে রক্তপাত শুরু হয়। এ অবস্থায় স্থানীয়রা মুক্তাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য গলাচিপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ৬ মে মুক্তার গর্ভপাত ঘটে। এ ঘটনায় মুক্তা বাদি হয়ে গত ২৭ মে বড় বোন তানিয়া বেগম, আসমা বেগম, ভগ্নিপতি সোহেল রানা, হাসান শরীফ ও বড় ভাই আমজেদ শিকদারের বিরুদ্ধে গলাচিপা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মামলা করেন। মামলাটি বিজ্ঞ আদালত আমলে নিয়ে পটুয়াখালী পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) কে তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন। এদিকে, এ মামলাটি ধামাচাপা দেওয়ার জন্য নয়ন মিয়ার (মুক্তার স্বামী) বিরুদ্ধে বোন তানিয়া (মুক্তার বোন) কৌশলে তার মা লাইলী বেগমকে দিয়ে গলাচিপা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ১৪ জুন অপর আরেকটি হয়রানিমূলক মামলা করেন। শ্বাশুড়ির দেওয়া এ হয়রানিমূলক মামলায়ই নয়ন এখন এলাকা ছাড়া।

সর্বশেষ