মামুন-অর-রশিদ: “নিউজ হইলে কিচ্ছু হয় না। ওরকম কত নিউজ হইলো। যা পারেন লিখেন।” প্রায়ই আমরা এমন কথা শুনে থাকি। আসলেও কি তাই ?
সম্প্রতি বরিশালে কয়েকটি সংবাদের প্রতিক্রিয়া ও কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থা গ্রহণ দেখে এ ধারনা আর স্থির রইলো না। বরং এখন মনেহয়, সংবাদটি যদি বস্তুনিষ্ঠ হয় তাহলে এ্যাকশন হবেই। রিপোর্ট লেখার রীতিনীতি মেনে সংবাদ তৈরী ও প্রকাশ করতে পারলে তা শতভাগ কার্যকর হতে বাধ্য। এজন্য অনেক বড় পত্রিকা বা পোর্টালেই নিউজ হতে হবে তাও মুখ্য নয়।
যেমন:-
১. বরিশাল সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এর কিছু কর্মকান্ড নিয়ে অনলাইনে সংবাদ প্রকাশ। অতঃপর তাকে ছাত্রলীগ থেকে বহিস্কার।
২. সীতারামের দীঘি ভরাট নিয়ে অনলাইনে সংবাদ প্রকাশ, অতপর সচিব, মেয়র, ডিসি সহ চার জনকে নোটিশ প্রদান। হাইকোর্টে রীট মামলা প্রক্রিয়াধিন।
৩. পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রীর পিও হাদীস মীরের ভুমিদস্যুতা নিয়ে অনলাইনে সংবাদ প্রকাশ। অতপর তাকে বহিস্কার, গ্রেফতার ও রিমান্ড।
সর্বপরি মনে হলো, সংবাদের তথ্য-উপাত্ত, কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, ভুক্তভোগি ও অভিযুক্তের বক্তব্য থাকলে সেই নিউজটি নিজেই নিজের সত্যতার স্বাক্ষী হয়ে যায়। আর তখন সরকার কিংবা যথাযথ কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা গ্রহণে আগ্রহী হয়।