২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
সংবাদ শিরোনাম

সংবাদ প্রকাশের পর: বরিশাল বোর্ডের ইংরেজির প্রধান পরীক্ষক বহিস্কার

শেয়ার করুনঃ

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email

বরিশাল বাণী   : বরিশাল সরকারি মডেল স্কুল এন্ড কলেজের অর্থনীতি বিষয়ের প্রভাষক মুহাম্মদ মাসুম বিল্লাহ বরিশাল শিক্ষা বোর্ডের ইংরেজি বিষয়ে প্রধান পরীক্ষকের দায়িত্ব পালন করে আসছেন। সম্প্রতি বিভিন্ন অনলাইন গনমাধ্যম,জাতীয় ও স্থানীয় পত্র -পত্রিকায় প্রকাশিত হলে বোর্ড কর্তৃপক্ষ ইংরেজির প্রধান পরীক্ষক পদ থেকে বহিস্কার করেছে।

এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বরিশাল শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অরুন কুমার গাইন।

বরিশালে অর্থনীতির শিক্ষক ইংরেজির প্রধান পরীক্ষক শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হলে বিষয়টি বরিশাল শিক্ষা বোর্ড কর্তৃপক্ষের নজরে আসে। বিষয়টি নিয়ে ১২ আগষ্ট বোর্ড চেয়ারম্যানের কক্ষে বোর্ড চেয়ারম্যান, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক, অভিযুক্ত মুহাম্মদ মাসুম বিল্লাহসহ বোর্ড কর্মকর্তারা এক বৈঠক করেন। বৈঠকে বরিশাল সরকারি মডেল স্কুল এন্ড কলেজের মুহাম্মদ মাসুম বিল্লাহ অর্থনীতি বিষয়ের শিক্ষক প্রমানিত হওয়ায় জে এস সি ও এস এস সির ইংরেজী বিষয়ের প্রধান পরীক্ষক পদ থেকে বহিস্কারের সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয়। ইতিমধ্য ইংরেজী বিষয়ের পরিক্ষক তালিকা থেকে বাদ দেয়া হয়েছে মুহাম্মদ মাসুম বিল্লাহকে।

এ ব্যাপারে বরিশাল শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অরুন কুমার গাইন বলেন, মুহাম্মদ মাসুম বিল্লাহ অর্থনীতি বিষয়ের শিক্ষক সে বিষয়টি প্রমানিত হওয়ায় তাকে ইংরেজী বিষয়ের পরীক্ষক তালিকা এবং অনলাইন ডাটাবেজ থেকে বাদ দেয়া হয়েছে। এখন থেকে তিনি বরিশাল শিক্ষা বোর্ডে ইংরেজী বিষয়ে পরীক্ষক পদে আর থাকছেন না।

সূত্র জানায়,বহু বছর ধরে মুহাম্মদ মাসুম বিল্লাহ বরিশাল শিক্ষা বোর্ডের জেএসসি ও এসএসসি পরীক্ষার ইংরেজি বিষয়ের পরীক্ষক ও প্রধান পরীক্ষকের দায়িত্ব পালন করছেন কিন্তু তিনি প্রকৃতপক্ষে অর্থনীতি বিষয়ের শিক্ষক। মুহাম্মদ মাসুম বিল্লাহ তথ্য গোপন করে বরিশাল শিক্ষা বোর্ডের কিছু কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের ম্যানেজ করে বছরের পর বছর ইংরেজি বিষয়ের পরীক্ষক ও প্রধান পরীক্ষক হয়েছেন অথচ বরিশাল সরকারি মডেল স্কুল এন্ড কলেজে তার ইংরেজি বিষয়ে কোন ক্লাস নেই।

এ ব্যাপারে মানবাধিকার কর্মী মঞ্জুর হোসেন বলেন, বরিশাল শিক্ষা বোর্ড কর্তৃপক্ষ একজন অর্থনীতি বিষয়ের শিক্ষককে ইংরেজি বিষয়ের পরীক্ষক এর দায়িত্ব প্রদান করেন কিভাবে তা ও আবার প্রধান পরীক্ষক। আমরা মনে করি এতে শিক্ষার্থীরা প্রচণ্ড ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বরিশাল শিক্ষা বোর্ড কর্তৃপক্ষের উচিত এ বিষয়টি তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া। যদি ব্যবস্থা না নেয়া হয় তাহলে এ রকম ঘটনা ঘটবে অহরহ। দায়ীদের পার পাবার সুযোগ নেই। মঞ্জুর হোসেন বিষয়টি দুদক কর্তৃপক্ষেরও হস্তক্ষেপ কামনা করে বলেন এটা বড় ধরনের দুর্নীতি। এসব দুর্নীতির বিচার না হলে দুর্নীতি করতে মানুষ উৎসাহিত হবে। একজন শিক্ষক থেকে এমন কর্মে তিনি বিস্ময় প্রকাশ করে বলেন এমন একটি প্রমানিত ঘটনায় তাকে পরিক্ষক পদ থেকে বহিস্কারের পাশাপাশি যথাযথ শাস্তি হওয়া প্রয়োজন।

সর্বশেষ