——————————————————
ডেক্স নিউজ:
শনিবার (১৮ মার্চ) সকালে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় কেন্দ্রীয় কচিকাঁচার মেলা ভবন মিলনায়তনে ‘পুষ্পকলি সাহিত্য সম্মেলন’ ও ‘কবি কুসুমকুমারী দাশ পদক-২০২২’ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। ‘পুষ্পকলির কথা’ পত্রিকা ও পুষ্পকলি শিশু সংগঠনের পঞ্চম বর্ষে পদার্পণ উপলক্ষে এ আয়োজন করা হয়।
সাহিত্যের পাঁচটি ক্যাটাগরিতে কবি কুসুমকুমারী দাশ পদক ২০২২ এবং কবি কুসুমকুমারী দাশ সম্মাননা প্রধান করা হয়। পদক প্রাপ্ত গুনিজন হলেন শিশুসাহিত্যে জনাব ফারুক হোসেন, কথাসাহিত্যে মনিহায়দার, আবৃত্তিতে রুপা চক্রবর্তী, প্রকাশনায় কথাপ্রকাশের কর্ণধার জসিম উদ্দিন, গবেষণায় তাপস কর্মকার। যে সকল ক্যাটাগরিতে সম্মাননা প্রদান করা হয়েছে –বীর মুক্তিযোদ্ধা, বিশিষ্ট সাংবাদিক, বরণীয় নারী। সম্মাননা প্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধাগন, – বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ জননী সাহান আরা বেগম (মরণোত্তর), বীর মুক্তিযোদ্ধা অপরুপ রতন চৌধুরী, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল মোতালেব মৃধা, বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম সরোয়ার বাদল।সম্মাননা প্রাপ্ত বরণীয় নারীগন
আতিকা ইসলাম (ডিআইজি) বাংলাদেশের সর্বপ্রথম র্যাবের অধিনায়ক, হোসনে আরা বেগম বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আআত্মজীবনীকে ইতালি ভাষায় অনুবাদ করেছেন প্রথম।ফুটবলার সাবিনা খাতুন, ইসমত জেরিন খান,রহিমা সুলতানা কাজল,
জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক বিভু রঞ্জন সরকার, জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক আলম রায়হান।
সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী তার বক্তব্যে বরেণ্য ব্যক্তিদের সম্মান জানানোর উদ্যোগ নেওয়ায় অনুষ্ঠানের আয়োজক কবি শামীমা সুলতানাকে সাধুবাদ জানান। সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় পৃষ্ঠপোষকতার আশ্বাস দেন।এবং পরর্বতীতে তিনি বরিশালে উপিস্থিত থেকে সমৃদ্ধ একটি আয়োজনের সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে আশ্বাস দেন।
জার্মান বাংলা প্রেস ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি খান লিটনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক ছিলেন বাংলা একাডেমির সভাপতি বিশিষ্ট কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন। বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক রূপা চক্রবর্তী, একুশে পদকপ্রাপ্ত গুণীজন বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. অরূপ রতন চৌধুরী, হাইওয়ে পুলিশের ডিআইজি (প্রশাসন) আতিকা ইসলাম, শিশুসাহিত্যিক রহিম শাহ।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তৃতা দেন পুষ্পকলির কথা পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক এবং পুষ্পকলি শিশুসাহিত্য সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি শামীমা সুলতানা।শামীমা সুলতানা তার বক্তব্যে বলেন যারা বাংলা সাহিত্যকে সমৃদ্ধ করেছেন তারা যেনে হারিয়ে না যায় তাই নতুন প্রজন্মের কাছে তাদেরকে তুলে ধরতেই তিনি এ আয়োজন করেছেন। অনুষ্ঠানটি উৎসর্গ করেছেন ১৯৬৪ সালে বাংলা একাডেমি পুরস্কার প্রাপ্ত কথাসাহিত্যিক শামসুদ্দিন আবুলকালাম কে যাকে আমরা ভুলেই গেছি প্রায়। শামীমা সুলতানা আরো বলেন তিনি কবি,সাহিত্যিক বলে নিজেকে দাবি করেন না তবে তিনি শব্দশ্রমিক সুস্থ ধারায় সাহিত্য চর্চা, এবং নতুন প্রজন্মকে সাহিত্য সংস্কৃতি মুখী করতে তিনি সাহিত্যের কামলা হয়ে আমৃত্যু শ্রম দিয়ে যাবেন।