সেলিম শিকদার, সিরাজগঞ্জঃ
স্বাস্থ্যবিধি মেনে অবিলম্বে দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার দাবিতে সিরাজগঞ্জে মানববন্ধন করেছে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
গত (২৬ মে) বুধবার সকাল সাড়ে ১১ টা থেকে ঘন্টাব্যাপী সিরাজগঞ্জ প্রেসক্লাব চত্বরে সিরাজগঞ্জ জেলার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এসময় শিক্ষার্থীগন দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার দাবি জানান।
জেলার কামারখন্দ উপজেলার জামতৈল হাজী করোপ আলী মেমোরিয়াল ডিগ্রী কলেজের শিক্ষার্থী সজিব আহমেদ মন্ডলের সভাপতিত্বে মানববন্ধন চলাকালে বক্তব্য রাখেন, সাকিব হোসেন সাকিল, কামরুল ইসলাম , নাসিম রেজা মাসুদ , ইমরান হোসেন, রাশেদুল ইসলাম রাব্বি, অর্নব হাসান , নাসিম রেজা অপু প্রমূখ।
বক্তব্যে শিক্ষার্থীরা বলেন, দীর্ঘ প্রায় ১৪ মাস যাবৎ আমাদের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। এতে অনেক শিক্ষার্থী মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছে।
স্বাস্থ্য বিধি মেনে যেহেতু মার্কেট, শপিং মল, পর্যটনকেন্দ্র, গণ-পরিবহন চলতে পারে তাহলে দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোও অবশ্যই চলতে পারবে।
সাধারণ শিক্ষার্থীরা আরো বলেন, শিক্ষা জাতির মেরুদণ্ড। দির্ঘদিন এই সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধরেখে মেরুদণ্ড নষ্ট করবেন না। শিক্ষার্থীদের কথা ভাবুন। আমাদের দুঃখ দুর্দশার কথা একবার চিন্তা করে আমাদেরকে বাঁচান। অনতিবিলম্বে দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দিন।
দেশের মেধাবিকাশে কালবিলম্ব না করে অতি দ্রুত সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দিন। তা না হলে আমরা আরো কঠিন কর্মসূচি গ্রহণ করতে বাধ্য হবো।
সিরাজগঞ্জ সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ, ইসলামিয়া সরকারি কলেজ, বিভিন্ন স্কুল,কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা মানববন্ধনে অংশ গ্রহন করেন।
এই মানববন্ধনে সংহতি জানিয়ে বক্ত্যব রাখেন, সিরাজগঞ্জ জেলা বেসরকারি কলেজ সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও যমুনা ডিগ্রী কলেজের শিক্ষক ইকবাল হোসেন, সি,পি,বি সভাপতি ইসমাইল হোসেন, বাসদ সিরাজগঞ্জ জেলার আহবায়ক কমরেড নব কুমার কর্মকার, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোফাজ্জাল হোসেন বানু।
এসময় তারা বলেন, সকল শিক্ষার্থী – শিক্ষক ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীদের করোনা টিকা দিয়ে স্বাস্থ্য বিধি মেনে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চালু করা উচিত।
উল্লেখ্য,করোনা মহামারির কারণে ২০২০ সালের ১৮ মার্চ থেকে দেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। যা পরবর্তীতে কয়েক ধাপে বাড়ানো হয়। ফলে প্রায় দেড় বছর ধরে দেশের সকল শিক্ষপ্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ রয়েছে।