ইমন আল আহসান, পটুয়াখালী প্রতিনিধি : সনিয়া আক্তার বয়স ২২ বছর কোলে তার ফুটফুটে দুই বছরের কন্যা সন্তান ইসরাত। দর্জি স্বামী ইমরানের অভাবের সংসারেও সুখের কোন কমতি ছিল না। হঠাৎ তাদের ভাগ্যে নেমে আসে চরম দূর্ভোগ, ধরা পরে সনিয়ার দু’টি কিডনী নষ্ট।
তার বেঁচে থাকতে হলে প্রতি সপ্তাহে কমপক্ষে দুই বার ডায়ালেসিস করতে হয়। এতে খরচ হয় দশ হাজার টাকা। আর কিডনি প্রতিস্থাপন করতে খরচ হবে ৭থেকে ৮ লক্ষ টাকা। এমন সংবাদ গণমাধ্যমে প্রকাশ হলে এভার সনিয়ার চিকিৎসার জন্য সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলেন কলাপাড়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক কলাপাড়া উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা এস,এম রফিকুল আহসানের সহধর্মিণী কলাপাড়া লেডিস ক্লাবের সাধারন সম্পাদক, মঙ্গলসুখ মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষিকা সমাজ সেবিকা সুরাইয়া নাসরিন ।
সোমবার বিকাল ৫ টায় সুরাইয়া নাসরিন এর এতিমখানা সড়কের বাস ভবনে অসুস্থ সনিয়ার হাতে নগদ দশ হাজার টাকা তুলে দেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন কলাপাড়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এস,এম রাকিবুল আহসান, কলাপাড়া রিপোর্টার্স ক্লাবের সাবেক সহ-সাধারন সম্পাদক রাসেল মোল্লা, রিপোর্টার্স ক্লাবের সাবেক প্রচার সম্পাদক ইমন আল আহসান ও সনিয়ার স্বামী ইমরান প্রমূখ।
উল্লেখ, সনিয়াকে ঢাকার জাতীয় কিডনী ডিজিজেস ও ইউরোলজী ইনস্টিটিউট’র চিকিৎসক কিডনীরোগ বিশেষজ্ঞ ডা: কাজী শাহনূর আলম পরীক্ষা করে জানান, সনিয়া দীর্ঘ দিন কিডনী রোগে আক্রন্ত তার দু’টি কিডনীই নষ্ট হয়ে গেছে। তাকে বেঁচে থাকতে হলে প্রতি সপ্তাহে কমপক্ষে দুই বার ডায়ালেসিস করতে হবে এবং একটি কিডনী প্রতিস্থাপন করলে সে আবার স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যেতে পারবে। তিনি আরও জনান, তার মা সাহিদা বেগম মেয়েকে একটি কিডনী দান করতে চান।
তাই সনিয়াকে বাঁচানোর জন্য সমাজের হৃদয়বান ও বিত্তবান ব্যাক্তিদের এগিয়ে আসার অবেদন জানিয়েছে তার পরিবার। হৃদয়বান ব্যক্তিরা সাহায্য পাঠাতে পারেন মো. কুদ্দুস প্যাদা বিকাশ ০১৭১৩৬৪৫৭২২ পাসোর্নাল , স্বামী মো. ইমরান ০১৬৮৬৯১০৪৩০ অথবা সরাসরি তাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন।