২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
বাকেরগঞ্জে গ্রামাঞ্চলে চোর-ডাকাত আতঙ্ক ! গায়ে মাখছেনা পুলিশ বরিশালে পেশাজীবি সমন্বয় পরিষদের ঈদ পুনর্মিলনী এবার তালতলীর আরেক ইউপি চেয়ারম্যানের আপত্তিকর ভিডিও ভাইরাল মনপুরায় ব্যবসায়ীর দোকান থেকে লক্ষাধিক টাকার মালামাল চুরি গলাচিপায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে এক শিশুর মৃত্যু বরগুনায় সাড়ে ৪ লাখ টাকার গাঁজাসহ কারবারী আটক বরিশাল সদর উপজেলা নির্বাচনে আমার কোন চেয়ারম্যান প্রার্থী নেই : পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী রাঙ্গাবালীতে মুগডাল তোলা নিয়ে দু’পক্ষের সংঘর্ষ, দুই নারীসহ আহত ৭ ববি শিক্ষিকার চুরি হওয়া ল্যাপটপ উদ্ধার, গ্রেপ্তার ৩ দেশীয় তহবিলের অর্থে নির্মাণ হচ্ছে মীরগঞ্জ সেতু

সরিষার হলুদ ফুলে দুলছে কৃষকের রঙিন স্বপ্ন

শেয়ার করুনঃ

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email

দিগন্ত বিস্তৃত হলুদে ছেয়ে গেছে পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার ফসলি মাঠ। চারদিকে সরিষার হলুদের সমারোহ। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় উপজেলায় এবার সরিষার ব্যাপক আবাদ হয়েছে। উচ্চ ফলনশীল বারি সরিষা ১৪, ১৭ ও বিনা ৯ সহ বিভিন্ন প্রজাতির সরিষার আবাদ হচ্ছে। লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি জমিতে সরিষা চাষ করেছেন চাষিরা। এ বছর সরিষায় বাম্পার ফলন হবে বলে আশা কৃষকের।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, এ বছর উপজেলার ৭টি ইউনিয়নে ১৫ হেক্টর জমিতে সরিষা আবাদ হয়েছে। এ বছর ৫০জন কৃষকে বিনামূল্যে সরিষার বীজ ও সার বিতরন করা হয়েছে। এছাড়াও ব্যক্তি উদ্যেগে অনেকে পতিত জমিতে সরিষা চাষ করেছে।
উপজেলার দশমিনা সদর ইউনিয়নের কাটখালী, যৌতা, আরজবেগী, আলীপুরা, বাঁশবাড়িয়া, গছানী ও বহরমপুরসহ বিভিন্ন গ্রামে সরিষার মাঠ ঘুরে দেখা যায়, নানা রঙের প্রজাপতিতে ভরে আছে সরিষার ক্ষেত।
উপজেলার দশমিনা সদর ইউনিয়নের কাটখালী গ্রামের সরিষা চাষি মো. রফিক হোসেন বলেন, আমন ধান কাটার পরে কৃষি জমি অনেকটা অলস পরে থাকে। সেই ফাঁকা মাঠে সরিষা চাষ করে জমির উর্বরতার রক্ষার পাশাপাশি বাড়তি আয়ের সুযোগ হয়।
উপজেলার রনগোপালদী ইউনিয়নের যৌতা গ্রামের ইমরান হোসেন বলেন, প্রতি বছর আমি সরিষার চাষ করে থাকি। এবছরও আমি প্রায় ৭হাজার টাকা সরিষার শাক বিক্রি করেছি। তিনি আরো বলেন, প্রায় এক মাসের মাথায় সরিষা শেষ হয়ে যাবে পুনরায় ওই জমিতে মুগডাল চাষ করে ভালো ফলনের আশা তার।
দশমিনা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ জাফর আহম্মেদ বলেন, ‘এবারে উপজেলায় বিগত বছরের তুলনায় বেশি পরিমাণ জমিতে সরিষা চাষ হয়েছে। যথা সময়ে জমি চাষ যোগ্য হওয়ায় এলাকার কৃষকরা সুযোগ বুঝে সরিষা চাষ করেছে। কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে তাদের যথাযথ পরামর্শ ও পরিচর্যার বিষয়ে দিক নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগে কোনো প্রকার ক্ষতি না হলে উপজেলায় সরিষা আবাদের বাম্পার ফলনের সম্ভবনা রয়েছে। শুধু তাই নয় সরিষা চাষের জমিগুলো উর্বরতা বেশি থাকায় কৃষকরা বোরো চাষেও এর সুফল পাবে।’

দশমিনা(পটুয়াখালী)সংবাদদাতা।।

সর্বশেষ