২২শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
সংবাদ শিরোনাম

সাঈদির মৃত্যুতে ‘ইন্নালিল্লাহ’ লেখায় বহিস্কার ! বাকেরগঞ্জে যুবলীগ নেতার সংবাদ সম্মেলন

শেয়ার করুনঃ

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email

বাণী ডেস্ক: দেলাওয়ার হোসেন সাঈদির মৃত্যুর দিনে ফেসবুক স্ট্যাটাসে ইন্না লিল্লাহ লেখায় বহিষ্কারের প্রতিবাদে বাকেরগঞ্জে সংবাদ সম্মেলন করেছেন উপজেলা যুবলীগ নেতা ও রঙ্গশ্রী ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান মোঃ মেহেদী হাসান শামীম। বুধবার (৩০ আগস্ট) বিকেল ৪ টায় উপজেলার শ্যামপুর বাজারে নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন।

লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, পারিবারিকভাবেই তিনি আওয়ামীলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত। ছাত্র রাজনীতির মাধ্যমে তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত হয়েছেন। দীর্ঘদিন ধরে তিনি উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত রয়েছেন। ২০২১ সালে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে তিনি রঙ্গশ্রী ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড থেকে বিপুল ভোটে ইউপি সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। যে কারনে ইউনিয়ন আওয়ামীগের কোন কোন নেতা তার জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত।

লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, জাতীয় শোক দিবস পালন উপলক্ষে ১৪ আগস্ট রাতে তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে শোক দিবসের অনুষ্ঠান পালনের পূর্বে বিভিন্ন কর্মসূচির বিষয় আলোচনা সভায় উপজেলা নেতৃবৃন্দের সাথে ব্যস্ত সময পার করেন। ব্যস্ততার মাঝে ওই রাতে যে কেউ তার মোবাইল ফোন নিয়ে তার ফেসবুক আইডিতে জামায়াত নেতা দেলোয়ার হোসেন সাঈদীর মৃত্যুকে নিয়ে ইন্নালিল্লাহ স্ট্যাটাস দিয়েছে। যখনি তিনি ওই পোস্ট দেখতে পেয়েছেন সাথে সাথে তার আইডি থেকে ডিলেট করেছেন। ওই পোস্টকে কেন্দ্র করে তাকে কারন দর্শানোর কোন নোটিশ না দিয়ে বহিস্কার করেন। অথচ তার সেই পোস্টে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের পরিবারের সদস্যবৃন্দ ও পৌর যুবলীগ এবং উপজেলা কৃষক লীগ, সেচ্ছাসেবক লীগসহ আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত অনেকেই তাতে ইন্নালিল্লাহ লিখে কমেন্টস করেছেন। তিনি প্রশ্ন রাখেন সাইদীর মৃত্যুতে তার আইডিতে ষড়যন্ত্রমূলক পোস্টের জন্য যদি তিনি বহিস্কার হন, যারা তার পোস্টে ইন্নালিল্লাহ লিখে কমেন্টস করলো তাদেরকে কেন বহিস্কার করা হলনা।

ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, তার অজান্তে যদি সাঈদীর মৃত্যুতে ইন্নালিল্লাহ স্টাটাসের জন্য তাকে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে বহিস্কার করা হয়। তাহলে জেলা আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের নেতৃবৃন্দের কাছে তার প্রশ্ন থাকবে, বাকেরগঞ্জের চিহ্নিত রাজাকার পরিবারের সদস্যরা কিভাবে উপজেলা আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের কমিটির পদপদবীতে বহাল থাকেন।

তিনি তার অজান্তে দেয়া পোস্টের জন্য তিনি দুঃখ প্রকাশ করে বলেন তিনি ক্ষমা প্রার্থী। সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে তার অনুরোধ যাহাতে তার বহিষ্কার আদেশ প্রত্যাহার করে তাকে তার প্রানের সংগঠন বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের সকল কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করার সুযোগ দেয়।

সর্বশেষ