১৮ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
সংবাদ শিরোনাম

সাঈদীর স্বরণে বরিশালে জামায়াতের দোয়া দিবস পালন

শেয়ার করুনঃ

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email

নিজস্ব প্রতিবেদক ::: আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর স্বরণে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্র ঘোষিত দোয়া দিবস বরিশালে পালিত হয়েছে। জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নায়েবে আমীর আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর রুহের মাগফিরাত কমনায় এ দোয়া দিবস ঘোষনা করা হয়। শুক্রবার কেন্দ্র ঘোষিত দোয়া দিবস উপলক্ষে বরিশাল মহানগর ও জেলা জামায়াতের প্রতিটি থানা ও ওয়ার্ডে এ দোয়ার আয়োজন করা হয়।

বরিশাল মহানগর জামায়াতের এয়ারপোর্ট থানার আমীর আবু মুয়াজের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত দোয়া অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও বরিশাল মহানগরী জামায়াতের আমীর অধ্যক্ষ জহির উদ্দিন মুহাঃ বাবর। অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, মহানগর জামায়াতের সেক্রেটারী মাওঃ মতিউর রহমান, থানা নায়েবে আমীর মীর মাহবুবুবর রহমান ও থানা জামায়াতের সেক্রেটারী মাওঃ মনিরুজ্জামান শামীম প্রমূখ।

এদিকে বরিশাল জেলা জামায়াতের উদ্যোগে জেলার সকল সাংগঠনিক থানা ও ওয়ার্ডে দোয়ার অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। রশিাল জলোর উদ্যোগে আয়োাজতি দোয়া অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হসিেেব উপস্থতি ছিলনে জামায়াতের কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরার সদস্য ও বরিশাল জেলা আমীর অধ্যাপক মাওলানা আব্দুল জব্বার। জেলা নায়েবে আমীর ডঃ মাহফুজুর রহমানরে সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে দোয়ার অনুষ্ঠানে অন্যান্যোর মধ্যে উপস্থতি ছলিনে জেলা সক্রেটোরি মাওলানা মাহমুদুন্নবী, অধ্যাপক সাইয়েদে আহম্মেদ খান বাচ্চু, অধ্যাপক মোশাররফ হোসেন, অ্যাডভোকটে আজম খান ও নূরুল হক সোহরাব প্রমূখ।

দোয়া অনুষ্ঠানে মহানগর জামায়াতের আমীর বলেন, বিশ্ব বরেণ্য আলেমে দ্বীন আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী একজন ক্ষণজন্মা আলেম দায়ী ছিলেন। দুনিয়া থেকে তার প্রস্থান যে শুন্যতা সৃষ্টি হয়েছে তার পূরণ একমাত্র মহান আল্লাহর দয়ায় সম্ভব এছাড়া নয়। আমাদের চাক্ষুষ দৃষ্টিতে তিনি একজন জান্নাতি মানুষ ছিলেণ এমান স্বাক্ষী আমরা সকলে। আমার প্রত্যাশা মাহান মায়াবুদ তার পরকালীন জীবনটা জান্নাতের মেহমান হিসাবে কবুল করে নিবেন।
এসময় তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর ছিলেন আল্লামা সাঈদী। তিনি এদেশের সকল মানুষের কাছে একজন প্রিয় ব্যক্তিত্ব ছিলেন। তার প্রতি মানুষের ভালোবাসা অকৃত্তিম। মানুষ তাকে ভালোবাতো এজন্য যে তিনি একজন কুরআনের দায়ী ছিলেন। তিনি কোরআনের দাওয়াত মানুষের কাছে উপস্থাপন করতেন অত্যন্ত মমতা দিয়ে। মানুষ তার কথাগুলে কানপেতে শুনে মনের খোরাক যোগাত। তিনি মানুষের আত্মার আত্মীয় ছিলেন, তিনি ছিলেন একজন আধ্যাত্মিক নেতা। এক কথায় তার বিকল্প তিনি। তিনি বলে, আমরা তাকে হারিয়ে অভিবাক হারা হয়েছি, আমরা আমাদের আত্মার আত্মীয় হারিয়েছি। আমাদের এই অপূর্ণতা মহান রব্বুল আলামীন ছাড়া আর কেউ পুরণ করতে পারবেনা। আমার তার নিকট সাহায্য প্রার্থী ও বিচার প্রার্থী।

তিনি বলেন, একজন জীবীত সাঈদীর চেয়ে একজন মৃত্যু সাঈদী অনেক শক্তিশালী। তার প্রমান বিশ^ মিডিয়া এবং বাংলাদেশের আপমার জনসাধারণ। বাংলাদেশের কোরআন পাগল মানুষ তার জন্য জীবন দিয়েছে আরো দিতে প্রস্তত। আমার তার রেখে যাওয়া দাওয়াতী জীবনকে কাজে লাগিয়ে গণমানুষের কাছে ইসলাম ও ইসলামী আদর্শ তুলে ধরবো। আর এর মাধ্যমে তার রেখে যাওয়া কাজ বাস্তবায়ন হবে এবং বাংলার মাটিতে ইসলামের পতাকা একদিন উড্ডিন হবেই ইনশা-আল্লাহ।

তিনি এসময় আরো বলেন, আল্লামা সাইদী সাহেবকে বিনা অপরাধে কথিত আদালতে ফরমায়েশি সাজা দেয়া হয়েছে। তাকে দীর্ঘ ১৩ বছল জেলে আটক রেখে তার উপর অমানুষিত নির্যাতন করা হয়েছে। জামায়াতে ইসলামী তথা ইসলামী আন্দোলনকে বাংলাদেশ থেকে মিটিয়ে দেয়ার জন্য এই অবৈধ খুনি সরকার আমাদের নেতাদের বিচারের নামে হত্যা করেছে। ভারতের প্রিসপ্রিকশনে এই জালিম সরকার ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য এই বিচারিক হত্যাকান্ড চালিয়েছে। আমাদের উপর এমন কোন জুলুম অত্যাচার নাই যা তারা করেনি। আমরা একমাত্র মহান আল্লাহর দরবারে এই জুলুমের বিচারের ভার অর্পন করলাম।

তিনি বলেন, আল্লামা সাঈদী সাহেবের ইন্তেকাল নিয়ে নানা মহল হতে প্রশ্ন উঠেছে। একজন সুস্থ মানুষ হাসিমূখে হাসপাতালে গেল আর বের হলেন লাশ হয়ে। তার কি চিকিৎসা হয়েছে, কে করেছে, কিভাবে করেছে তা কেউ জানেনা। অসুস্থ এই মানুষটার পাশে তার পরিবারের কাউকে রাখা হয়নি। হাসপাতালের বারান্ধায় দাড়িয়ে থেকেও তার সন্তান তাকে দেখতে পারেনি। হাসপাতাল এবং কারা কর্তৃপক্ষ তার সাথে অমানবিক আচরণ করেছে। মানুষ মনেকরে তাকে রাষ্ট্রিয় ব্যবস্থাপনায় চিকিৎসার নামে হত্য করা হয়েছে। বাংলাদেশের মানুষ একদিন এর রহস্য জানতে পারবে। আর সেদিন যারা এই অন্যায় ও অমানবিক আচরণ করেছে তাদের জন্য কঠিন পরিনতি অপেক্ষা করছে। আমরা তার এই মৃত্যুকে সহস্যাবৃত বলে মানেকরি।

এ সময় তিনি সরকারের উদ্দেশ্যে বলেন, ক্ষমতা চিরস্থায়ী নয় এই কথা আওয়মী লীগ বেমালুম ভুলে গেছে। দিনের ভোট রাতে করে এই অবৈধ সরকার নিজেকে সবচেয়ে ক্ষমতাধর মনে করে। সরকার বাংলাদেশের মানুষকে জিম্মি করে গুম ও খুনের রাজত্ব কায়েম করেছে। রাষ্ট্রিয় শক্তি জনগনের উপর ব্যবহার করে মানুষের মৌলিক অধিকার কেড়ে নিয়েছে এই জালিম সরকার। এই সরকারের পতন ছাড়া বাংলাদেশের মানুষের মুক্তি হবেনা। আমরা এই জালিম সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত রাজপথের আন্দোলন চালিয়ে যাবো।

সর্বশেষ