১৮ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

সাকিবে ভর করে বরিশালের জয়, হেরেই চলেছে কুমিল্লা

শেয়ার করুনঃ

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email

অনলাইন ডেস্ক ::: শুরুতে ঝড় তুললেন সাকিব আল হাসান। ফরচুন বরিশাল পেলো বেশ ভালো সংগ্রহ। জবাব দিতে নেমে কুমিল্লার ব্যাটিং খেই হারালো মাঝপথে। শেষদিকে খুশদিল শাহ ও মোসাদ্দেক হোসেনের ব্যাটে কেবল আশাই বেড়েছিল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের, শেষ অবধি জেতা হয়নি তাদের।

শনিবার চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সকে ১২ রানে হারিয়েছে ফরচুন বরিশাল। শুরুতে ব্যাট করে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৭৭ রান করে বরিশাল। জবাব দিতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৬৫ রানের বেশি করতে পারেনি কুমিল্লা। তিন ম্যাচের সবগুলোতেই হারলো তারা। চতুর্থ ম্যাচে বরিশাল হেরেছে একটিতে।

টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরু দলীয় ২৬ রানে প্রথম উইকেট হারায় বরিশাল। ফিরে যান ইনিংস উদ্বোধনে আসা মেহেদী হাসান মিরাজ। কেবল ৯ বলে ৬ রান করেন তিনি। তিনে ব্যাট করতে নেমে চতুরাঙ্গা ডি সিলভা উইকেটে এসে ঝোড়ো শুরু করেন। কিন্তু ১২ বলে ২ চার ও ২ ছক্কায় ২১ রানেই থামে তার দৌড়।

এদিকে আরেক উদ্বোধনী ব্যাটার এনামুল হক বিজয়ও তার বাজে ফর্ম ধরে রাখেন। ১ চার ও ছক্কায় ২০ বলে ২০ করেন তিনি। চারে নেমে বরিশালের রানের গতি দ্রুত বাড়াতে থাকেন সাকিব। চতুর্থ উইকেটে ইব্রাহীম জাদরানের সঙ্গে ৫০ রানের জুটি গড়েন তিনি।

অধিনায়কের সঙ্গে যদিও সেভাবে তাল মেলাতে পারেননি ইব্রাহীম। ২০ বলে ২৭ রান করে এই আফগানকে বিদায় করেন তানভীর ইসলাম। কুমিল্লার এই স্পিনার অসাধারণ বোলিং করেন ১৯ তম ওভারে। ৫ রান দিয়ে দুটি উইকেট শিকার করেন তিনি। পরপর দুই বলে ফিরিয়ে দেন ইফতিখার আহমেদ ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে। তারা যথাক্রমে করেন ৫ ও ০ রান।

আগের দুটিসহ ইনিংসে মোট চার উইকেট নেন তানভীর। বাকি একটি করে উইকেট নেন খুশদিল শাহ ও নাঈম হাসান। শেষ দিকে ৫ বলে ১০ রান করে বরিশালের সংগ্রহ বাড়িয়ে দেন করিম জানাত।

জবাব দিতে নেমে ইনিংস উদ্বোধনে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের হয়ে লিটন দাসের সঙ্গী হন টসের মিনিট দশেক আগে হেলিকপ্টারে চট্টগ্রামে আসা মোহাম্মদ রিজওয়ান। তারা দুজন এনে দেন ৪২ রানের জুটি। কামরুল ইসলাম রাব্বির বলে স্ট্যাম্পিং হয়ে রিজওয়ান ফিরলে ভাঙে এই জুটি। ২ ছক্কায় ১১ বলে ১৮ রান করেন রিজওয়ান।

এরপর লিটন দাস হয়ে যান রান আউট। কারিম জানাতের সরাসরি থ্রোয়ে আউট হওয়ার আগে ১ চার ও ৩ ছক্কায় ২৬ বলে ৩২ রান আসে তার ব্যাট থেকে। মাঝে কিছুক্ষণ ঝড় তোলেন অধিনায়ক ইমরুল কায়েস। ১ চার ও ৩ ছক্কায় ১৫ বলে ২৮ রান আসে এই ব্যাটারের ব্যাট থেকে।

এর মধ্যে জাকের আলি অনিকের আউট আবারও সামনে নিয়ে এসেছে ডিআরএস বিতর্ক। ইফতেখার আহমেদের বলে এলবিডব্লিউ আউট দেন আম্পায়ার। জাকের রিভিউ নেন সঙ্গে সঙ্গেই। টিভি রিপ্লেতে স্পষ্টই দেখা যায় বল লেগ স্টাম্পের বাইরে পিচ করেছে। কিন্তু বিস্ময়করভাবে আউট দিয়ে দেন থার্ড আম্পায়ার।

শেষদিকে ঝড় তোলেন খুশদিল শাহ ও মোসাদ্দেক হোসেন। তারা দুজন দলকে আশা জোগাচ্ছিলেন জয়ের দিকেও। কিন্তু করিম জানাতের বলে ২ চার ও ১ ছক্কায় ১৯ বলে ২৭ রান করে সাজঘরে ফেরত যান মোসাদ্দেক। বাকি পথে খুশদিল থাকলেও দলকে জয় এনে দিতে পারেননি তিনি।

সর্বশেষ