২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

সাপ্তাহিক ছুটির দিনেও ববিতে নেওয়া হচ্ছে পরীক্ষা!

শেয়ার করুনঃ

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email

নিজস্ব প্রতিবেদক :: সেশনজট কমাতে সাপ্তাহিক ছুটির দিনেও বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের কিছু শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে। অনলাইন প্লাটফর্মে যুক্ত হয়ে ঘরে বসেই নির্ধারিত সময়ে পরীক্ষা শেষে উত্তরপত্রের ছবি তুলে তা সংশ্লিষ্ট শিক্ষকের কাছে প্রেরণ করছেন শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবনের সেশনজট রোধে এ প্রচেষ্টা বলে জানিয়েছেন ববি প্রশাসন।

ঝালকাঠি জেলা থেকে পরীক্ষায় অংশ নেয়া রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী ইমরান হোসেন সাংবাদিকদের জানান, গতবছর (২০২০) জুনে তার পড়াশোনা শেষ হওয়ার কথা থাকলেও করোনা পরিস্থিতিতে পিছিয়ে পড়েছেন। তবে বর্তমানে অনলাইনে পরীক্ষা শুরু হওয়ায় পুনরায় লেখাপড়ার ধারাবাহিকতা রক্ষা পাচ্ছে। এমনকি পরীক্ষার রুটিনে সাপ্তাহিক ছুটির দুদিনও (শুক্র ও শনিবার) যুক্ত করা হয়েছে বিধায় দ্রুতই পড়াশোনার অধ্যায় শেষ করতে পারবেন বলে ধারণা তার।

শিক্ষার্থী ইমতিয়াজ নুর হৃদয় বলেন, দীর্ঘদিন পর পরীক্ষা কার্যক্রম শুরু হয়েছে এটাই বড় কথা। তবে বর্তমানে যেহেতু বর্ষার মৌসুম তাই নেটওয়ার্ক সাধারণত একটু ঝঞ্ঝাটে ফেলে সবাইকে। এছাড়া যেহেতু হল খোলা নেই তাই পর্যাপ্ত নোটশিট বা বইয়ের অভাবে পরীক্ষার প্রস্তুতিও সবার এক রকম হয় না। উত্তরপত্র মূল্যায়নের সময় মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে এসব বিষয়ও যদি শিক্ষকেরা মাথায় রাখেন তবে হয়তো এভাবে পরীক্ষা দেওয়ার পদ্ধতি জনপ্রিয় ও সময়োপযোগী হবে।

গত ১৫ জুন বিশ্ববিদ্যালয়টিতে অনলাইনে মিডটার্ম পরীক্ষা শুরু হয়েছে নিশ্চিত করে সেখানকার প্রক্টর ড. সুব্রত কুমার দাস সাংবাদিকদের বলেন, প্রথম দিনে প্রায় ৮ থেকে ১০টি বিভাগ বিভিন্ন শিক্ষাবর্ষের মিডটার্ম অনলাইন প্লাটফর্ম জুম- এ গ্রহণ করে এই কার্যক্রম শুরু হয়। এখন পর্যন্ত যা খবর পাচ্ছি সবকটি পরীক্ষাতে প্রায় শতভাগ উপস্থিতি নিশ্চিত হয়েছে। যেটুকু সমস্যা শিক্ষার্থীরা আমাদের জানাচ্ছে সবটাই সমাধান করা হচ্ছে।

এ ব্যাপারে ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার ড. মুহসিন উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, একজন শিক্ষার্থী নির্ধারিত সময়ের চেয়ে একদিনও বেশি ক্যাম্পাসে থাকুক এটা আমরা চাই না। কিন্তু করোনাকালীন পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থীরা পিছিয়ে পরেছে। কিভাবে আমাদের শিক্ষার্থীদের পিছিয়ে পড়াটা ঠেকানো যায় সে ব্যাপারে উপাচার্যসহ আমরা সবাই ভেবেছি। যার ধারাবাহিকতায় সরকার থেকে কিছুটা দিকনির্দেশনা পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে অনলাইনে পরীক্ষা গ্রহণ শুরু করা হয়েছে।

যেহেতু এভাবে পরীক্ষা নেয়াটা শিক্ষা কার্যক্রমের সচরাচর পদ্ধতি নয়, তাই হয়তো কিছু শিক্ষার্থীর প্রথমে খানিকটা সমস্যা হচ্ছে। এ ব্যাপারে নিজ নিজ বিভাগীয় শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলে নিলে আর কোনো সমস্যা থাকবে না বলে আমি মনে করি। আর শিক্ষার্থীরা যদি আন্তরিক হয় তবে অনলাইনে শিক্ষা ও পরীক্ষা কার্যক্রম সবার জন্য বর্তমান সংকটের সময়ে সুফল বয়ে আনবে বলে আমার বিশ্বাস।’’

সর্বশেষ