৩রা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

সার্ভেয়ারকে ঘুষ না দেয়ায়  স্ট্রোকের রোগীর পরিবারকে হয়রানি: প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

শেয়ার করুনঃ

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email

ঝালকাঠি প্রতিনিধি:
ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার কেওতা গিঘড়া গ্রামের বৃদ্ধ স্ট্রোকের রোগী মোফাজ্জেল হোসেন ও পরিবারকে হয়রানি এবং সতর্ক বা নোটিশ ছাড়াই বাজারের নির্মানাধীন দোকানের দেয়াল ভাঙচুরের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে। শনিবার সকালে রাজাপুর সাংবাদিক ক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলন করে তিনি লিখিত অভিযোগ করে জানান, দীর্ঘ ৪০ বছর ধরে ঘিগড়া মৌজার জেএল নংÑ২৫, বিএস ১৪১ নং খতিয়ানের বিএস ২৭৯নং দাগের ১১ শতাংশ জমির উপরে বসবাস করছি। সামনে দিয়ে পিংড়ি বলারজোর পাকা সড়ক এবং বিপরীত পাশে কেওতা ঘিগড়া নেছারিয়া সিনিয়র মাদ্রাসার জমি রয়েছে। কিন্তু মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ ঐ সড়ক ডিঙ্গিয়ে আমার বসতবাড়ির মধ্যে জমি পাবে বলে মিথ্যা হয়রানি করে আসছে। প্রতিপক্ষরা বার বার থানা পুলিশ, উপজেলা ভূমি অফিস, ইউএনও এমনকি জেলার এডিসিকে মিথ্যা তথ্য দিয়ে ভুল বুঝিয়ে আমাকে হয়রানি করে আসছে। ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, বাড়ির সামনে সড়কের পাশে ২ বছর পূর্বে পাকা ৪টি দোকান নির্মাণ করি। গত ১০ ডিসেস্বর (বৃহস্পতিবার) দুপুরে প্রতিপক্ষরা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) অনুজা মন্ডলকে ভুল বুঝিয়ে আমার নির্মাণাধীন দোকানের পশ্চিম ও উত্তর পাশের দেয়াল ভেঁঙ্গে ফেলে। ওই জমির পাকা দোকানের দেয়াল ভাঙ্গার আগে আমাদেরকে কোন নোটিশ বা মেপে কোন সীমানা বা চিহ্ন দেওয়া হয়নি, দেয়া হয়নি কোন সংকেতও। দোকান ভাঙ্গার কয়েক মিনিট আগে ওই জমির বৈধ কাগজ অনুজা মন্ডলকে দেখানোর জন্য কাগজ আনতে বাড়ির ভিতরে যাই। কাগজ নিয়ে ফিরে আসার আগেই আমার দোকান ভেঙ্গে ফেলা হয়। এতে কয়েকলাখ টাকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নিরীহ মালিক মো. মোফাজ্জেল হোসেন। আনুমানিক বছর খানেক আগে উপজেলা ভূমি অফিসের সার্বেয়ার মোঃ রফিকুল ইসলাম ওই জমি মেপে আমাকে অভয় দেয় এবং বলে ওই জমিতে মাদ্রাসার কোন জমি নাই, ওটা সম্পূর্ণ আলাদা দাগ (২৭৯)। ওই জমির হয়রানি মিটিয়ে দিতে ৫০ (পঞ্চাশ) হাজার টাকার ঘুষ দাবি করেন রফিক। আমি তাকে টাকা না দিতে পারায় ক্ষুদ্ধ হয়ে ১০ ডিসেম্বর উপজেলা ভূমি কমিশনার অনুজা মন্ডলের সাথে গিয়ে সার্ভেয়ার রফিক নিজ হাতে হামার দিয়ে আমার পাকা দোকানের ওয়াল ভেঙ্গে ফেলে। এতে কয়েকলক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলেও দাবী করেন মোফাজ্জেল হোসেন। তিনি আরো জানান, স্ট্রোকের রোগী হওয়া সত্বেও মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের কোন বৈধ কাগজপত্র না থাকলেও আমাকে বারবার মিথ্যা মামলা ও প্রশাসন দিয়ে হয়রানি করে আসছে। মামলা চললাম থাকায় কোটে আপিল করা হয়েছে, যাহা চলমান। এসব হয়রানির হাত থেকে বাচতে এবং সঠিক সমাধান পেতে প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন মো. মোফাজ্জেল হোসেন ও তার পরিবার। রাজাপুর ভূমি অফিসের সার্ভেয়ার রফিকুল ইসলাম ঘুষ দাবির বিষয়টি অস্বীকার করে জানান, দোকান ভাঙা হয়নি। কাজে বাধা দেয়া হয়েছে। কেওতা ঘিগড়া ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা ওলিউর রহমান জানান, ২ বার আদালতের রায় পেয়েছি এবং মাস তিনেক পূর্বে সদ্য সাবেক উপজেলা নির্বাহী অফিসার সোহাগ হাওলাদার তাকে সতর্ক করেছিলেন। দোকানের দেয়াল ভাঙার পূর্বে তাকে কোন নোটিশ বা সংকেত দেয়া হয়নি। রাজাপুরের সহকারি কমিশনার (ভূমি) অনুজা মন্ডল জানান, ওই জমি নিয়ে আদালতে মামলা ও রায় থাকার পরেও আরও জটিলতা থাকায় নতুন করে কাজ শুরু করলে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ওই কাজ বন্ধ করে দেয়া হয়।

সর্বশেষ