মামুন-অর-রশিদ: বরিশালে যতগুলো মিষ্টির দোকান আছে তার মধ্যে হাল আমলে সবচেয়ে বেশী মিষ্টি বিক্রি করছে বাজার রোডের হক মিষ্টান্ন ভান্ডার। প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ টাকার মিষ্টি, ছানা, রসমালাই বিক্রি হয়। বিগত দিনের সুনামের কারনেই বর্তমানে এই বেচাকেনা।
অথচ বর্তমানে হক’র মিষ্টি কিনে হরদমে ঠকছেন ক্রেতারা। নিম্ন মান ও ভেজাল সামগ্রী দিয়ে তৈরী, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে পাকানো, পরিমানে কম দিয়ে দাম বেশী রাখা হয়। মিষ্টি তৈরীতে স্বাস্থের জন্য ক্ষতিকর নানান ক্যামিকেল ব্যবহার করা হয়। প্রতিবাদ করলে খারাপ আচরণ তো আছেই। দীর্ঘদিনের সুনামের কারনে এতসব অপকর্মের পরে মিষ্টি বেচাকেনা তেমন একটা কমেনি। বরং দুরদুরান্ত থেকে সুনাম শুনে এসে মিষ্টি কিনে ঠকছে ক্রেতারা।
গলাকাটা দাম নিয়ে ব্যাপক ব্যবসা করে যাচ্ছেন মালিক মোঃ কবির হোসেন। এসব ব্যবসার টাকা দিয়ে নগরীর নথুল্লাবাদ লুৎফর রহমান সড়কে একটি ১০তলা আলিসান বাড়ি হেকেছেন তিনি। তাছাড়া নগরীর বিভিন্ন জায়গায় নামে বেনামে গড়ে তুলেছেন সম্পদের পাহাড়।
গত ১৫ জুন হক মিষ্টান্ন ভান্ডারে গিয়ে দেখা গেছে এক আজব চিত্র। যারা সেখানে বসে মিষ্টি রুটি কিংবা নাস্তা খাচ্ছেন তাদের পকেট কাটার দৃশ্য ধরা পরে বরিশাল বাণী’র অনুসন্ধানী টিমের চোখে। এমনকি নাস্তা খাওয়ার পরে খাবার পানি চাইলে তাদেরকে কোন টিউবয়েল এর পানি দেওয়া হয়না। বাধ্যতামূলক মিনারেল ওয়াটার কিনে খেতে হয়। প্রতিবাদ করলে হতে হয় অপমান।
মোঃ রাজু নামে এক কাস্টমারের সাথে এ নিয়ে ব্যাপক বাকবিতন্ডা হয়। পরে রাজু মিয়া বরিশাল বাণীকে বলেন, রাস্তার পাশের চায়ের দোকানদারও মানুষদেরকে একটু বিশুদ্ধ পানি ফ্রি খাওয়ান। আর হক মিষ্টান্নতে লাখ লাখ টাকা ব্যবসা করেও ফ্রি টিউবওয়েল এর পানি খাওয়ানো হয় না। এটা চরম কসাইগিরি বৈকি ? তাছাড়া লাখ লাখ টাকার মিষ্টি বেচার পরে পানির ব্যবসাও কি তাদের জরুরী? গ্রাহক সেবা বলতে কিছু নেই?
এ বিষয়ে হক মিষ্টান্ন ভান্ডারের ম্যানেজার তোফাজ্জেল হোসেনকে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি কোন উত্তর না দিয়ে সটকে পড়েন।
হক মিষ্টান্ন ভান্ডারের প্রোপাইটর কবির হোসেন বরিশাল বাণীকে বলেন, এটা আমাদের ভুল হয়েছে। এখন থেকে আমরা সকলকে টিউবওয়েল এর বিশুদ্ধ পানি দিচ্ছি। মিনারেল পানি ক্রয় আর বাধ্যতামূলক নেই। তাছাড়া ভেজাল সামগ্রী দিয়ে আমরা মিষ্টি বানাই না।