২রা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

সুন্দরবনে ফিশিং ট্রলারে হামলা, ৪ জেলে আহত

শেয়ার করুনঃ

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email

বরিশাল বাণী ডেক্স— সুন্দরবনে এফবি সোহেল নামে একটি ফিশিং ট্রলারে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনায় চারজন জেলে আহত হয়েছেন। শনিবার বিকেল ৪টার দিকে বাগেরহাটের পূর্ব সুন্দরবনের শরণখোলা রেঞ্জের কটকা অফিস সংলগ্ন উপকূলে এ হামলার ঘটনা ঘটে। রবিবার দুপুরে ক্ষতিগ্রস্ত ট্রলার মালিক সোহেল হাওলাদার ও হামলার শিকার জেলেরা এই অভিযোগ করেন।

আহতরা হলেন-ট্রলারের মাঝি আ. রহিম হাওলাদার (৩০), জেলে এমাদুল হাওলাদার (৪৫), আজিজুল (১৫) ও পান্না মুন্সী (৬০)। এদের মধ্যে গুরুতর আহত ট্রলার মাঝি রহিম ও জেলে এমাদুলকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অন্য দুজন প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। আহত জেলেদের বাড়ি শরণখোলা উপজেলার রায়েন্দা ইউনিয়নের দক্ষিণ রাজাপুর গ্রামে।

ট্রলারের মাঝি আ. রহিম জানান, তারা সুন্দরবনের শ্যালা নদী থেকে মাছ ধরে পাথরঘাটার মহিপুরে বিক্রি করতে যান। মাছ বিক্রি করে আবার শ্যালায় ফেরার উদ্দেশে রওনা হন। তারা ট্রলার নিয়ে কটকার কাছাকাছি এলে প্রতিপক্ষ দক্ষিণ রাজাপুরের জেলে বাবুল হাওলাদারের নেতৃত্বে ১৫ থেকে ১৬ জন দুটি ট্রলারযোগে এসে তাদের ট্রলারে হামলা চালায়।

তারা দুটি ট্রলার দিয়ে সজোরে একের পর এক আঘাত করতে থাকে তাদের ট্রলারে। এতে এফবি সোহেল ট্রলারের পেছনের অংশ সম্পূর্ণ ভেঙে সাগরে ভেসে যায়। পরে তারা ট্রলারে উঠে জেলেদের এলোপাতাড়ি মারধর করে মাছ বিক্রির টাকা এবং মূল্যবান মালামাল লুট করে নিয়ে যায়।

ক্ষতিগ্রস্ত ট্রলার মালিক মো. সোহেল হাওলদার বলেন, আমার ট্রলারের জেলে এমাদুল হাওলাদার হামলাকারীদের প্রধান বাবুলের কাছে এক লাখ টাকা পাবেন। সেই পাওনা টাকা নিয়ে তাদের মধ্যে শত্রুতা। কিন্তু তারা আমার ট্রলারে হামলা চালিয়ে ট্রলার ভাঙচুর ও জেলেদের মারধর করেছে। মাছ বিক্রি করা সমস্ত টাকা নিয়ে গেছে এবং লুটপাট চালিয়েছে। এতে আমার কয়েক লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা করা হবে।

তবে অভিযুক্ত বাবুল হাওলাদার দুর্গম সুন্দরবনে অবস্থান করায় মোবাইল নেটওয়ার্কের বাইরে থাকায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

এ বিষয়ে শরণখোলা থানার এএসআই ইন্দ্রজিৎ জানান, ট্রলার মালিক সোহেল হাওলাদার ঘটনাটি মৌখিকভাবে জানিয়েছেন। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

সর্বশেষ