৪ঠা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

স্ট্রোকঃ চিকিৎসার চেয়ে প্রতিরোধ সবচেয়ে উত্তম ব্যবস্থা

শেয়ার করুনঃ

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email

বাণী ডেস্ক: স্ট্রোকের চিকিৎসার চেয়ে প্রতিরোধ করা সবচেয়ে উত্তম ব্যবস্থা বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিউরোসার্জারি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. শফিকুল ইসলাম।
বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) সন্ধ্যায় রাজধানীর উত্তরার হাই কেয়ার নিউরো স্পেশালাইজড হাসপাতালের ‘ফ্রি স্ট্রোক ক্লিনিক’ অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।
অধ্যাপক ডা. শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘বিশ্বে মৃত্যুর দ্বিতীয় কারণ হলো স্ট্রোক। ব্যক্তি চাইলে ৯০ শতাংশই প্রতিরোধ করতে পারে। এখন শহরাঞ্চলে খেলাধুলার মাঠ কমেছে, খাদ্যাভ্যাসে ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে। আক্রান্তদের ২৩ শতাংশ জাঙ্কফুডে অভ্যস্ত। সবচেয়ে বড় প্রভাব ফেলছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের প্রতি আসক্তি।’
তিনি বলেন, ‘বিষয়টি এরকম নয় যে, ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর প্লাটিলেট কমে যাওয়ামাত্রই রক্তক্ষরণ হয়ে রোগী হঠাৎ মারা যাবেন। মানুষের রক্তে তিন ধরনের রক্তকণিকার সবচেয়ে ছোটটি প্লাটিলেট। রক্ত জমাট বাঁধতে সাহায্য করে এটি। তাই এটি কমে গেলে রক্তক্ষরণ হতে পারে এবং বেড়ে গেলে রক্ত জমাট বেঁধে হার্ট অ্যাটাক ও ব্রেন স্ট্রোক হতে পারে।’
অনুষ্ঠানে কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালের ক্রিটিক্যাল কেয়ার মেডিসিন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান বলেন, ‘প্রতিবছর বর্ষা আসলেই আমরা ডেঙ্গু নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়ি। কারণ হলো বর্ষায় জমা পানিতে এডিস মশা জন্ম নেয়। তবে শুধু বর্ষার পানিতেই এডিসের জন্ম হয়, বিষয়টা এরকম নয়। যে ভেক্টরগুলোর মাধ্যমে এডিসের জন্ম হয়, সেগুলোর অন্যতম হলো বাসার ছাদবাগান, গ্যারেজের পরিত্যক্ত টায়ার, ফুলের টবে জমে থাকা পানি। এই জায়গাগুলোতে যদি আমরা বংশবিস্তার রোধ করতে পারি, তাহলেই ডেঙ্গু থেকে আমরা বেঁচে যেতে পারি।’
তিনি বলেন, ‘এবছর সিজনের আগেই ডেঙ্গু ছড়িয়ে যাচ্ছে। আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে রোগটিরও পরিবর্তন আসছে। পরিবর্তনটি চিকিৎসকদের জন্যও ঝামেলা তৈরি করছে, কারণ ভাইরাসটি তার গতিপ্রকৃতি পরিবর্তন করেছে। ফলে প্রতিদিনই ৮-১০ জনের মতো মারা যাচ্ছে। একটি মশার কামড়ে মানুষ মারা যাচ্ছে, বিষয়টি ভাবতে গেলে খুবই ভয়াবহ ব্যাপার।’

সর্বশেষ