রাহাদ সুমন, বিশেষ প্রতিনিধি :: কে এম জিয়াউদ্দিন ফারুক। একজন মানবতার ফেরিওয়ালা হিসেবে সর্বমহলে প্রশংসা ও সুনাম কুড়িয়েছেন। দেশে কোভিড-১৯ প্রাণঘাতি নভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শুরু হওয়ার পরে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ভয়কে জয় করে অসহায় এলাকাবাসীর পাশে দাঁড়াতে সপরিবারে রাজধানী ঢাকার বাসা ছেড়ে নিজ গ্রাম বানারীপাড়ার বাইশারীতে চলে আসেন। ওই সময় লকডাউন ও হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকায় কর্মহীণ হয়ে পড়া এলাকার দরিদ্র পরিবারের পাশে অকৃপনভাবে দাঁড়ান তিনি। ইউনিয়নের এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্ত পর্যন্ত ছুটে বেড়িয়ে মানুষের ঘরে ঘরে নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দেন। এলাকাবাসীর মাঝে শুধু খাবার বিতরণই নয় করোনা সম্পর্কে সচেতন করতে নানাভাবে তাদের দিকনির্দেশনা দেন।
বরিশাল বিএম কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক কে এম জিয়াউদ্দিন ফারুক এলাকাবাসীর দূর্ভোগ লাঘবে এলাকার বেহাল হয়ে পড়া একটি রাস্তা সংস্কার করে দিয়ে ব্যাপকভাবে আলোচিত হয়েছেন। ওই রাস্তা সংস্কারে তিনি শুধু অর্থই ব্যয় করেননি এলাকার যুবকদের নিয়ে নিজেও শ্রমিকের মতো কাজ করেছেন।
ছোট ভাইয়ের এ মহতী উদ্যোগ দেখে তার ভাই স্থানীয় ইউপি সদস্য শাহিন খানও সংস্কার কাজে স্বেচ্ছাশ্রমে যুক্ত হন। প্রসঙ্গত বাইশারী ইউনিয়নের গরদ্দার গ্রাম থেকে মরহুম আবুল হাসেম খানের বাড়ির সামনে থেকে বৌসেরহাট ও দক্ষিণ বাইশারী সংযুক্ত রাস্তাটির বিভিন্ন স্থানের কনক্রিট উঠে খানাখন্দের সৃষ্টি হওয়ায় চলাচল অনুপযোগী হয়ে পড়ে। ফলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয় এলাকাবাসীকে।
২০০৮-১৪ সালে তৎকালীন সংসদ সদস্য মো. মনিরুল ইসলাম মনি আওয়ামী লীগ নেতা লায়ন শাকিল খানের দাবির প্রেক্ষিতে কার্পেটিংয়ের ওই রাস্তাটি করে দেন। দীর্ঘদিনেও সংস্কার না হওয়ায় জনগুরুত্বপূর্ণ ওই রাস্তাটির বিভিন্ন স্থানে খাদের সৃষ্টি হয়। এলাকাবাসীর দাবির পরেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ রাস্তাটি সংস্কারের কোন প্রকার উদ্যোগ নেয়নি। পরে জনস্বার্থে রাস্তাটি সংস্কারের উদ্যোগ নেন কে এম জিয়াউদ্দিন ফারুক।