১৯শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
২৯ মে সারাদিন লালমোহন উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে কাপ পিরিচ মার্কায় ভোট দিন আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম সৌদিতে ২৮৭৬০ বাংলাদেশি হজযাত্রী পৌঁছেছেন, দুইজনের মৃত্যু জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ১ম বর্ষে ভর্তিকৃত শিক্ষার্থীদের ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠিত উপজেলা নির্বাচন : দ্বিতীয় ধাপে ৪৫৭ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন সোমবার থেকে ৬৫ দিন সমুদ্রে মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা মধ্যরাত থেকে সাগরে মাছ ধরা ৬৫ দিন বন্ধ বোরহানউদ্দিনে ভোটারদের টাকা দেওয়ার ছবি ভাইরাল, ক্ষমা চাইলেন ইউপি চেয়ারম্যান উপজেলা নির্বাচন ঘিরে ভোলার উপকূলীয় এলাকায় কোস্টগার্ড মোতায়েন কাঠালিয়ায় অ*স্ত্রসহ আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সর্দার নান্না গ্রেপ্তার

স্বেচ্ছায় এক মিনিটেরই মৃত্যু !

শেয়ার করুনঃ

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email

অনলাইন ডেস্ক : স্বেচ্ছায় চাইলে এক মিনিটেরই মৃত্যু বরণ করতে পারবে যে কেউ ! ইউথেনশিয়া তথা ইচ্ছামৃত্যুকে আগেই স্বীকৃতি দিয়েছিল সুইশ সরকার। গত বছরই এভাবে মারা গিয়েছেন সেদেশের ১৩০০ জন। এবার যন্ত্রও পেল সরকারি স্বীকৃতি। একটি কফিন-আকৃতির ক্যাপসুল ,যা স্বেচ্ছামৃত্যুকে ডেকে আনবে চোখের নিমেষে। এমনি এক যন্ত্রকে এবার স্বীকৃতি দিল সুইজারল্যান্ড। এই সার্কো মেশিন মুহূর্তের মধ্যে শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা কমিয়ে মৃত্যুকে ডেকে আনার ক্ষমতা রাখে।  প্রক্রিয়াটি এক মিনিটেরও কম সময় নেয় এবং হাইপোক্সিয়া এবং হাইপোক্যাপনিয়ার মাধ্যমে মৃত্যু ঘটবে ওই ব্যক্তির। শুধু তাই নয়, এটি তুলনামূলক শান্তিপূর্ণভাবে এবং ব্যথাহীনভাবে মানুষকে তার উদ্দেশ্য সাধনের সুযোগ করে দেয়। এক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন এগজিট ইন্টারন্যাশনাল এই যন্ত্রটি তৈরি করেছে।

সংস্থার প্রধান ফিলিপ নিটশে এই যন্ত্রের উদ্ভাবনের নেপথ্যে রয়েছেন। তিনি ‘ডক্টর ডেথ’ নামেও পরিচিত। যন্ত্রটির বিশেষত্ব হল এটিকে যেমন বাইরে থেকে চালানো যায়, তেমনই ভিতরে থাকা ব্যক্তিও এটিকে পরিচালনা করতে পারবেন। কেবল মাত্র চোখের পাতা ফেলেই তিনি যন্ত্রকে সংকেত পাঠাতে পারবেন। আসলে মরণাপন্ন ব্যক্তিরা মৃত্যুমুখে পড়ে পেশিও নাড়াচাড়া করতে পারেন না। তাই এই যন্ত্রে কেবল মাত্র চোখের পাতার সাহায্যেই সংকেত পাঠিয়ে সম্মতি দিতে পারবেন। এই যন্ত্রটির উদ্ভাবনের পর স্বেচ্ছামৃত্যুর বিরোধীদের প্রবল সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন ফিলিপ নিটশে। ২০১৮ সালে দ্য ইন্ডিপেনডেন্টকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে নিটশে বলেছিলেন, ইউরোপে আত্মহত্যায় সহায়তা করার জন্য গ্যাস ব্যবহার করা হয়, যা কখনই গ্রহণযোগ্য পদ্ধতি হতে পারে না। ”ফিলিপ নিটশের ডিজাইন করা যন্ত্রটি দেখে অনেকে বলছেন, আত্মহত্যাকে গ্ল্যামারাইজ করতে তিনি নাকি এটি তৈরি করেছেন।  যা মানুষকে মৃত্যুর অভিজ্ঞতার সঙ্গে পরিচয় করাবে। আমস্টারডামের ওয়েস্টারকার্ক চার্চ এই ধরণের মৃত্যু যন্ত্রের ঘোর বিরোধিতা করেছে এবং জানিয়েছে এই যন্ত্রকে স্বীকৃতি দেবার আগে বিস্তর আলোচনার প্রয়োজন। ওয়েস্টারকার্ক চার্চ বোর্ডের সভাপতি জেরোয়েন ক্র্যামার বলেছেন, “আমরা এই ধরনের সরঞ্জাম ব্যবহারের কোন পরামর্শকে সমর্থন করব না এবং করতে দেব না।” এখনো পর্যন্ত দুটি মেশিন তৈরি করা হয়েছে। আগামী বছরের মধ্যে আরো একটি একটি মেশিন তৈরি হয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন ডক্টর ডেথ। ডঃ নিটশে গত সপ্তাহে স্থানীয় মিডিয়াকে বলেছিলেন যে ” এই মেশিন নিয়ে কোনও আইনি সমস্যা নেই এবং সুইজারল্যান্ডের বিভিন্ন দলের সাথে আলোচনা চলছে যাতে আত্মহত্যার জন্য ব্যবহৃত এই ক্যাপসুল দ্রুত সরবরাহ করা যায়।” সেই সঙ্গে ডাক্তার জানিয়েছেন কোনও অপ্রত্যাশিত ঘটনা না ঘটলে আগামী বছরই সুইজারল্যান্ডে ব্যবহারের জন্য এই ক্যাপসুল মেশিন উপলব্ধ করতে তিনি প্রস্তুত। এতো ব্যয়বহুল একটি প্রকল্পর এবার বাস্তবায়নের সময় এসে গেছে বলে জানিয়েছেন ডক্টর ডেথ।

সর্বশেষ