৪ঠা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

হত্যার সাজা ভোগ করে বের হয়ে এবার বড়ভাইকে খুন করলো ছোটভাই

শেয়ার করুনঃ

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email

বাণী ডেস্ক: :ঝালকাঠির কাঁঠালিয়ায় জমি নিয়ে বিরোধের জেরে বড় ভাইকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে আপন ছোট ভাইয়ের বিরুদ্ধে। শনিবার (২৪ সেপ্টেম্বর)দুপুরে নিহতের মরদেহের ময়নাতদন্ত বরিশাল শের ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে সম্পন্ন হয়েছে।
হাসপাতালের ওয়ার্ড মাস্টার আবুল কালাম জানান,
ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ স্বজনদের কাছে বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে।
এরআগে শুক্রবার দিবাগত মধ্যরাতে ফিরোজ আলম (৪৭) নামে ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয়। তিনি ঝালকাঠির কাঠালিয়া উপজেলার চিংড়াখালী গ্রামের বাসিন্দা ও পেশায় একজন রাজমিস্ত্রী।
পুলিশ ও নিহতের পরিবারের সদস্যদের সূত্রে জানাগেছে, নিহত ফিরোজ আলমের ছোট ভাই রুহুল আমিন কাঁঠালিয়া গ্রামীণ ব্যাংকের এক কর্মকর্তাকে হত্যার ঘটনায় যাবজ্জীবন সাজা ভোগ করে গত বছর বাড়িতে আসে।
রুহুল আমিন বাড়িতে আসার পর থেকেই জমি নিয়ে বড় ভাই ফিরোজ আলমের সাথে বিরোধ চলে আসছিলো। যা নিয়ে প্রায়ই ঝগড়া-বিবাদ হতো। এর সূত্র ধরেই শুক্রবার রাতে দুই ভায়ের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে ছোট ভাই রুহুল আমিন দা দিয়ে কুপিয়ে বড় ভাই ফিরোজ আলমকে আহত করে।
পরে তাকে রক্ষা করতে গিয়ে আহত হন তার স্ত্রী রানী বেগম। গুরুতর আহত অবস্থায় ফিরোজ আলমকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে রাতেই তাঁর মৃত্যু হয়।
নিহত ফিরোজের স্ত্রী রানী বেগম বলেন, একজনকে হত্যা করে যাবজ্জীবন সাজা ভোগ করেও ভালো হতে পারেনি রুহুল। সে বাড়িতে আসার পর থেকেই আমার স্বামী ও আমাদের সঙ্গে ঝগড়া করতো। মেরে ফেলার হুমকিও দিয়েছিল। ওর জমি ওকে ভাগ করে দেওয়া হয়েছে। তারপরেও আমাদের জমির দিকে নজর রয়েছে তার। দুই ভাইয়ের মধ্যে প্রায়ই এ নিয়ে কথার কাটাকাটি হতো। আমি আমার স্বামী হত্যার বিচার চাই।
কাঁঠালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মুরাদ আলী বলেন, খবর পেয়ে রাতেই পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়েছিলো। যার বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ সে ঘটনার পর থেকেই পলাতক রয়েছে। তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
এদিকে এ ঘটনায় নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে জানিয়ে তিনি বলেন, হামলাকারী নিহতের ছোট ভাই বছরখানেক আগে অপর একটি হত্যা মামলায় সাজা খেটে বের হয়েছিলো। জেল থেকে বের হওয়ার পর কিছুদিন চট্টগ্রামেও ছিলো।

সর্বশেষ