গ্রামীণ জনপদ থেকে কালের বির্বতনে হারিয়ে যাচ্ছে দেশীয় জাতের পুষ্টি গুণসমৃদ্ধ ফল চালতা। চালতা বহুবিধ ভেষজ ঔষধিগুনসম্পন্ন ফল। বর্ষার পর ফল পাকে।
শীতকাল পর্যন্ত এই ফল পাওয়া যায়। পাকা ফলের বীজ থেকে চারা তৈরি করা যায়। চালতা ফুলের বিকাশ ও পরিপূর্ণতা বড়ই বৈচিত্রময়।
আষাঢ় ও শ্রাবণে চালতা ফুল ফুটে। ফুল বেশ বড় হয়, প্রায় পাঁচ ইঞ্চি ব্যাসের। সুগন্ধীযুক্ত এই ফুলে পাঁচটি মোটা পাপড়ি থাকে। এই পাপড়িগুলোকে আঁকড়ে ধরে রেখে ফলে রূপান্তরিত হয়।
এই ফুলের ব্যাস ১৫ থেকে ১৮ সেন্টিমিটার। ফুল ফোটার পর ফুলে মৌমাছির আগমন ঘটে। মৌমাছিরা মধু আহরণ করতে গিয়ে এক ফুল থেকে অন্য ফুলে বসে।
এভাবেই চালতার পরাগায়ন ঘটে এবং ধীরে ধীরে সেটি একটি পরিপূর্ণ ফলে পরিণত হয়। চালতা ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, আয়রন, ভিটামিন ‘এ, ‘বি’ ও ‘সি’-এর ভালো উৎস। প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ‘সি’ থাকায় এই ফল স্কার্ভি ও লিভারের রোগ প্রতিরোধ করে।
নীলফামারী জলঢাকা উপজেলার রশিদপুর বালিকা স্কুল এন্ড কলেজের ইংরেজি প্রভাষক মো. মঞ্জুর মোর্শেদ রাজা বলেন,’ এক সময় গ্রামীণ জনপথের রাস্তার পাশে, পুকুর ধারে ও বাড়ির আঙ্গিনায় দেশীয় জাতের ফল চালতা গাছ দেখা যেত।
তবে বর্তমানে সে দৃশ্য আর চোখে পড়ে না। একটি গাছে বছরে একবারই ফল ধরে। চালতা গাছের সবুজ পাতা খাঁজকাটা ধরনের। চালতা ফুল দ্রুত ফলে পরিণত হয়।
এর ফুল দু-এক দিনের বেশি স্থায়ী হয় না। প্রভাতে পাপড়ি মেলে আর সন্ধ্যায় ঝরে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে রঙে পরিবর্তন আসে।