নিজস্ব প্রতিবেদক–
মার্চের শুরুতে সারাবিশ্বের সাথে বাংলাদেশেও শুরু হয়েছে করোনা প্রকোপ। ফলে বাংলাদেশের অনেক মানুষ মৃত্যুবরণ করেছে। বাদ যায়নি প্রাচ্যের ভেনিস নাম খ্যাত বরিশাল শহরটিও। কর্মহীন হয়ে পড়েছে অনেক মানুষ । বৃত্তবানরা প্রথম দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলেও শেষ পর্যন্ত টিকে থাকতে পারেনি। আবার নামমাত্র অসহায়দের সাহায্য করে অনেক বৃত্তবান বা নেতাকর্মিরা ফায়দা লুটে নিয়েছে। কিন্তু মার্চ থেকে এ পর্যন্ত বরিশালে অসহায়দের পাশে সর্বদা রয়েছেন বিএনপি নেতা এ্যাডভোকেট পারভেজ আকন বিপ্লব।
নানা প্রতিকূল অবস্থার মধ্যে হাল ছাড়েননি তিনি। নিজ অর্থায়নের পাশাপাশি আত্মীয় স্বজন কিংবা বন্ধুদের সহযোগীতায় এখনও অব্যাহত রয়েছে তার খাদ্য সামগ্রী বিতরণ সহ সেবা কার্যক্রম। সুযোগসন্ধানী অনেক নেতাকর্মিরা প্রথমে এগিয়ে আসলেও তারা এখন নিস্তেজ হয়ে পড়েছে। মার্চের শুরুতে বরিশালে করোনা প্রকোপ দেখা দিলে অর্থহীন কিংবা খাদ্যহীন হয়ে পড়ে বিএনপি নেতাকর্মী সহ অনেক পরিবার। এমতাবস্থায় তাদের খোঁজ খবর নিতে রাস্তায় নেমে পড়েন বরিশাল যুবদলের আহবায়ক বিএনপি নেতা পারভেজ আকন বিপ্লব।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট দেন তার নিজ ব্যবহৃত মোবাইল নাম্বারটি। কেননা যারা লজ্জায় খাদ্যসামগ্রীর কথা বলতে পারবে না তারা ফোনে বলা মাত্রই খাবার পৌছে দিয়েছেন এই নেতা। এ পর্যন্ত প্রায় ৫ হাজারেরও বেশি অসহায় পরিবারের মাঝে খাবার পৌছে দিয়েছেন। নিজে বহন করে করোনা আক্রান্ত পরিবারের মাঝে খাদ্রসামগ্রী সহ প্রয়োজনীয় ওষুধপত্রের ব্যবস্থা করেন। এছাড়া যেসব পরিবার করোনায় আক্রান্ত তাদের জিয়া ফাউন্ডেশন এর সহায়তায় অক্সিজেন ও ওষুধ পত্র পৌছে দিয়েছেন।
ঈদের দিনেও শ্রমজীবি মানুষের মাঝে খাদ্যসামগ্রী তুলে দিয়েছেন। তাছাড়া নিজে সিএনজি চালিয়ে বাড়ি বাড়ি খাবার দিয়েছেন এই নেতা।
এ বিষয় জানতে চাইলে বিএনপি নেতা পারভেজ আকন বিপ্লব বলেন, করোনার কারনে বরিশালে অনেক পরিবার কর্মহীন হয়ে পড়ে । ফলে তাদের মাঝে খাদ্যের অভাব দেখা দেয়। তখন আমি আমার পরিবারের নিজস্ব অর্থায়ন ও বন্ধুস্বজনদের সহযোগীতায় অসহায় পরিবারদের মাঝে আমার ভলান্টিয়ার্সদের নিয়ে খাদ্য সামগ্রী বিতরনে নেমে পড়ি। বরিশালে অনেক বৃত্তবান আছে। কেউ কেউ প্রথম পর্যায়ে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলেও এখন কাউকেই মাঠে দেখা যাচ্ছে না । কিন্তু সেই থেকে এ পর্যন্ত আমাদের কার্যক্রম চলছে। আগামী দিনেও অসহায়দের পাশে থাকবো। তাদের সেবাদানে আমাদের সকল কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
সম্পাদনা- এম সাইফুল
