২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
সংবাদ শিরোনাম

হিজরা নারীকে বিয়ের ফাঁদে ফেলে ১৯লাখ টাকা আত্মসাৎ ! গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি

শেয়ার করুনঃ

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email

বরিশাল বাণী ডেস্ক:  নাছরিন আক্তার নামে এক নারী হিজড়াকে বিয়ের ফাঁদে ফেলে ১৯ লাখ টাকা আত্মসাতের ঘটনায় দাযেরকৃত মামলায় আদালত থেকে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি হয়েছে ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার বিজুলিয়া গ্রামের লুসানুর রহমান (লুসান) নামে এক যুবকের বিরুদ্ধে। এই মামলায় লুসানের পিতা খাসিয়ার রহমান ও মা দিপিকা বেগমও আসামী রয়েছেন। তবে গ্রেফতারী পরোয়ানা শৈলকুপা থানায় আসার পরও এখনো আসামী গ্রেফতার হয়নি। গত ৬ এপ্রিল মানিকগঞ্জ সিনিয়ার জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট-২ আদালত থেকে এই আদেশ জারী করা হয়। মামলা সুত্রে জানা গেছে, ২০১৩ সালে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে নারী হিজড়া নাছরিনের সঙ্গে পরিচয় হয় শৈলকুপা উপজেলার বিজুলিয়া গ্রামের খাসিয়ার রহমানের ছেলে লুসানের। লুসান তখন তেজগাঁও পলিটেকনিক্যাল কলেজের ছাত্র ছিল। ২০১৫ সালের ৫ জানুয়ারী নোটারি পাবলিকে ৫ লাখ টাকা দেনমোহর ধার্য্যে তাদের বিয়ে হয়। এজাহারে বাদীর ভাষ্যমতে বিয়ের আগে ও পরে স্ট্যাম্পে চুক্তিপত্রের মাধ্যমে লুসান ব্যবসার কথা বলে ১৫ লাখ টাকা নিয়েছে। পরে আরো ৪ লাখসহ সর্বমোট ১৯ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। টাকা নেওয়ার পর লুসান স্ত্রী নাসরিনকে এড়িয়ে চলে। টাকার জন্য ঘুরতে থাকলে লুসান বিভিন্ন সময় হুমকি ধামকি ও সে কোন টাকা নেয়নি বলে অস্বীকার করতে থাকে। নিরুপায় হয়ে নাছরিন স্বামী লুসানের বিরুদ্ধে মানিকগঞ্জের আদালতে ৪২০, ৪০৬ ও ১০৯ ধারায় মামলা করেন, যার মামলা নং সিআর-১৪৭। শৈলকুপার মনোহরপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোস্তফা আরিফ রেজা মন্নু ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, লুসানের সঙ্গে নারী হিজড়া নাছরিনের বিয়ে হয়েছিল। বিয়ের সুত্রে বিজুলিয়া গ্রামে দীর্ঘদিন সংসার করেছে নাসরিন। এ বিষয়ে নাসরিন ও তার পরিবার অনেকবার আমার কাছে এসেছিল, তাদেরকে আমি আইনী আশ্রয় নিতে পরামর্শ দিয়েছি। শৈলকুপা থানার ওসি জাহাঙ্গীর আলম জানান, আদালতের ওয়ারেন্ট এসেছে কিনা জানি না। তবে আসলে অবশ্যই আসামী গ্রেফতার হবে। শৈলকুপা থানর বকশি ইকবাল হোসেন জানান, দুই দিন আগে ওয়ারেন্ট এসে থানায় পৌচেছে। আসামী গ্রেফতারের জন্য এখনো কাউকে দায়িত্ব দেওয়া হয়নি।

সর্বশেষ