জাপানে প্রথম দফায় কমপক্ষে ১০ হাজার স্বাস্থ্যকর্মীর ওপর আজ বুধবার প্রয়োগ করা হচ্ছে করোনা ভাইরাসের টিকা। এর কি পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয়, তা সাপ্তাহিক ভিত্তিতে রিপোর্ট আকারে প্রকাশ করবে দেশটির স্বাস্থ্য, শ্রম ও জনকল্যাণ বিষয়ক মন্ত্রণালয়। এরপরে আরো ব্যাপক আকারে যারা এই টিকা নেবেন তাদের ওপরও পর্যবেক্ষণ করা হবে। টিকা কতটা নিরাপদ তা যাচাই করার জন্য মন্ত্রণালয় এমন উদ্যোগ নিয়েছে, যাতে জনগণ ভয়ভীতিহীনভাবে টিকা নিতে পারে। এ খবর দিয়েছে অনলাইন এশিয়া ওয়ান। প্রথম দফায় ব্যবহার করা হচ্ছে ফাইজার/বায়োএনটেকের টিকা। এটি প্রথমবারের মতো জাপানে অনুমোদন দেয়া হবে। সাধারণত, এই টিকার দুটি ডোজ প্রয়োগ করতে হয়।
প্রথম ডোজ টিকা নেয়ার তিন সপ্তাহ পরে দ্বিতীয় ডোজ টিকা নিতে হয়। এই টিকার প্যাকেজে যে বার্তা লেখা রয়েছে তাতে বলা হয়েছে, যাদেরকে এই টিকা দেয়া হয়েছে তাদের মধ্যে শতকরা ৮৪ ভাগের বাহুতে ব্যথা আছে। ৬৩ ভাগের মধ্যে অবসন্নতা দেখা গেছে। ৫৫ ভাগের ক্ষেত্রে মাথাব্যথা দেখা গেছে। এসব কথা বলা হয়েছে জাপানে ও এর বাইরে ক্লিনিক্যাল পরীক্ষার ওপর ভিত্তি করে। তবে এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াগুলো অতো ভয়াবহ নয়, হালকা। দু’চার দিনের মধ্যেই এসব পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া শেষ হয়ে যায়। তবে কোনো কোনো ক্ষেত্রে উচ্চ মাত্রার জ্বরের রেকর্ড করা হয়েছে। তাই প্রথম ডোজ টিকা দেয়ার পর টিকা গ্রহীতাকে এক সপ্তাহ ধরে তাদের শরীরের তাপমাত্রা রেকর্ড রাখতে বলা হবে। এ ছাড়া অন্য কোনো সংক্রমণ বা টিকা দেয়ার স্থানে ব্যথা বা ফুলে যায় কিনা সেসব দিকে দৃষ্টি রাখতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া শরীরে অন্য কোন পরিবর্তন দেখা দিলে তাও রিপোর্ট করতে বলা হয়েছে। সংকলিত ডাটাগুলো নিয়ে বিশ্লেষণ করবেন বিশেষায়িত একটি গবেষক দল।