বরিশাল বাণী ডেস্ক: পদ্মা বহুমুখী সেতুর সঙ্গে যাতায়াতে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনতে বরিশাল-ঢাকা দুই লেনের মহাসড়কটি ৬ লেনের আধুনিক সড়কে রূপান্তরিত করতে যাচ্ছে সরকার। যা ফরিদপুরের ভাঙা থেকে পটুয়াখালীর কুয়াকাটা পর্যন্ত সরাসরি চলে যাবে। সড়কটির জন্য মাদারীপুরের রাজৈর, সদর ও কালকিনি উপজেলার ১৯টি মৌজার জমি অধিগ্রহণ করবে। এই খবরে প্রস্তাবিত খালি জমির ওপর রাতের আঁধারে শত শত গাছপালা রোপণ, ঘরবাড়ি নির্মাণ ও পুকুরে একাধিক সাইনবোর্ড লাগিয়ে দিয়েছে দালালচক্রের সিন্ডিকেট। ইতোমধ্যে যৌথ তদন্তের অংশ হিসেবে মাঠ জরিপ শুরু করেছে জেলা প্রশাসন, সড়ক বিভাগসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তর।
সচেতন নাগরিক সমাজ মনে করে, প্রশাসন তৎপর না হলে ক্ষতিপূরণের নামে সরকারি কোষাগার থেকে অতিরিক্ত অর্থ চলে যাবে দালালদের হাতে।
মাদারীপুর কালকিনি সৈয়দ আবুল হোসেন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের উপাধ্যক্ষ ড. বশির আহম্মদ সাংবাদিকদের বলেন, ‘দালারচক্রের হাত থেকে যদি রক্ষা করা না যায় সরকার ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তাদের কোষাগার থেকে অনেক রাজস্ব ব্যয় হবে।
তবে প্রশাসন বলছে, অনিয়ম ও দুর্নীতি এড়াতে প্রতিদিন তিনজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতেই ক্ষতিপূরণের তালিকায় ক্ষতিগ্রস্তদের নাম অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে।
মাদারীপুর জেলা প্রশাসন ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা প্রমথ রঞ্জণ ঘটক সাংবাদিকদের বলেন, ‘শক্তভাবে আমরা এটা যৌথ তদন্ত করেছি যাতে বিন্দুমাত্র এখানে অনিয়ম, অভিযোগের সুযোগ না থাকে।’
ছয় লেনের সড়কটিতে মাদারীপুরের রাজৈরের টেকেরহাট থেকে কালকিনির ভুরঘাটা পর্যন্ত ২৮ কিলোমিটার অংশ রয়েছে। নিয়ম আছে, ৪ ধারা নোটিশ প্রদানের পর নতুন কোনো স্থাপনা নির্মাণ করতে পারবে না কেউ।’