রাসেল কবির—–
বরিশালের ভাষানচর রাজহংস-১০ ঢাকাগামী যাএীবাহী লঞ্চে যুবতীকে কেবিনে আটকে রেখে একাধিকবার ধর্ষষেণর ঘটনা ঘটেছে বলে ভিকটিম ও পরিবার সূএে জানায়। ঘটনার বিবরনে ভিকটিম জানায়, বিদ্যানন্দপুর ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের মাধরায় গ্রামের খলিল হাওলাদারের ছেলে মাইদুল ওরফে মাসুম ঘটনা ঘটায়। অভিযোগ উঠেছে গত শনিবার মাইদুল ভাষানচর লঞ্চ ঘাট হতে ঢাকার উদ্দ্যেশে রাজহংস লঞ্চে কেবিন ভাড়া নেয়। ঐ দিনেই আমার বড় বোন লিপি আমাকে লঞ্চে তুলে দিয়ে বিছানা করে দিয়ে যায়। পাশে দাড়ানো ছিল পাশের বাড়ির মাইদুল তার সাথে দেখা হয়। লিপি বলে আমার ছোট বোন ঢাকা যাবেতো লঞ্চে একটু খেয়াল রাখিও। এই বলে বড় বোন লঞ্চ থেকে নেমে বাড়ি চলে যায়। বিকাল ৫ ঘটিকায় লঞ্চ ভাষানচর ঘাট হতে ঢাকার উদ্দ্যেশে ছেড়ে দেয়। পরে মাইদুল আমার বিছানা ডেক হতে উঠিয়ে গুছিয়ে আমাকে কেবিনে নিয়ে যায়। এক পর্যায় আমাকে বিবাহর প্রস্তাব দেয় আমাকে তার অর্ধ নির্মিত বিল্ডিং আমার নামে লিখে দিবে এবং ঢাকা চাকুরী দিবে বলে একাধিক বার প্রস্তাব করলেও আমি রাজী হয়নী। শেষে আমাকে জড়িয়ে ধরে রাত ভর যৌন নির্যাতন চালায় সকালে সদর ঘাট লঞ্চ পৌছালে আমাকে ফেলে চলে যায়। আমি ঐ দিনেই গ্রামের বাড়ি রওনা দিয়ে চলে আসি অবশেষে বিষয়টি ঘটনা খুলে বলি বড় ভাই আরিফ ও বোন লিপি সহ অনেকের কাছে। গত সোমবার সকালে সাইদুলের বাড়ি গিয়ে উঠে মাইদুলের বাবা খলিল হাং কে অবগত করলে ঘটনা শুনে বলে ১০ হাজার টাকা দিয়ে দিব কাউকে বলার দরকার নেই এই বলে তাড়িয়ে দেয়। মাইদুলের মুঠো ফোনে কল করলে সে জানায়. কেবিনে ছিল আমি কথা বলছি আর কিছুই করিনী তবে লঞ্চের যাএীরা আমাকে মারধর করছে। মাইদুলের বসত বাড়ি গেলে ঘর তালা বদ্ধ দেখা গেছে। ইউপি চেয়ারম্যান আঃ জলিল মিয়ার সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানায়, আমাকে কেউ বিষয়টি অবগত করেনী। কাজীরহাট থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ সাজ্জাদ হোসেনের সাথে আলাপ করলে তিনি জানায় ভিকটিম থানায় এসে লিখিত অভিযোগ করেছে।