নিজস্ব প্রতিবেদক-
রাকেশ রাকিব বর্তমান সময়ের একজন অন্যতম প্রতিভাবান ও জনপ্রিয় ফটোগ্রাফার। তিনি তাঁর দীর্ঘ ১২ বছরের ক্যারিয়ারে সফল হয়েছেন তার কঠোর পরিশ্রম এবং সৃজনশীলতার মাধ্যমে। দেশের শোবিজে গ্ল্যামার ফটোগ্রাফিতে তার সুনাম রয়েছে। ২০০৯ সালে বরিশালে ফটোগ্রাফি শুরু করেন।বরিশালে প্রথম তার হাত দরে উন্নত মানের ফটোগ্রাফি চলন শুরু হয়। তারপর আর পিছু ফিরে থাকাতে হয়নি নিজের পরিশ্রম দিয়ে ও ভালো কাজের মাধ্যমে ২০১৬ সালে চিত্রনায়ক নিরব হোসেনের হাত দরে মিডিয়া পাড়ায় কাজ শুরু করেন। এছাড়াও বাংলাদেশের বিভিন্ন পত্রিকার ম্যাগাজিনে অনেক সেলিব্রিটির কাভার ফটোশুট করেছেন। রাকেশ রাকিব বলেন তার প্রথম গ্ল্যামার ফটোগ্রাফির তারকা ছিলেন চিত্রনায়ক নিরব হোসেন। ২০০৯ সাল থেকে আমি পড়াশুনার পাশাপাশি বিভিন্ন অনুষ্ঠানে রাকেশ রাকিব ফটোগ্রাফি শুরু করি। তখন থেকেই আমি কমার্শিয়াল কাজ যেমন- বিজ্ঞাপনের প্রেস/বিলবোর্ড ফটোগ্রাফি শুরু করি। ২০১৬ সাল থেকে গ্ল্যামার ফটোগ্রাফি, ফ্যাশন ফটোগ্রাফি, প্রোডাক্ট ফটোগ্রাফি, কর্পোরেট ফটোগ্রাফিসহ সব ধরনের কাজ শুরু করি। যখন আমার ফটোগ্রাফি পত্রিকার ম্যাগাজিনে প্রকাশিত হতো তখন অনেকেই প্রশংসা করতো। তাদের প্রশংসা শুনে মনে হয়েছিল আমার পক্ষে ভালো ফটোগ্রাফি করা সম্ভব। অনেক উৎসাহ পেতাম। এক সময় কমার্শিয়াল ফটোগ্রাফিতে অনেক ব্যস্ত হয়ে গেলাম। বর্তমানে দেশের শীর্ষ বিজ্ঞাপন এজেন্সি, ফ্যাশনহাউস, মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিতে কর্পোরেট সেক্টরে ব্যস্ত সময় পার করছি। ২০১৬ সাল থেকে এখন পর্যন্ত দেশের বড় বড় এ্যাওয়াড অনুষ্ঠানে কাজ করার সুযোগ হয়েছে। আমার এই অল্প সময়ের কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ বিভিন্ন এ্যাওয়াড পেয়েছি।
সফল ফটোগ্রাফার রাকেশ রাকিব ব্যক্তিগত জীবনে খুবই দায়িত্বশীল, পরিশ্রমী এবং সময় সচেতন। সেলিব্রিটিরা তাঁর সঙ্গে কাজ করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। তিনি বিভিন্ন ফটোগ্রাফি ওয়ার্কশপে অংশ গ্রহন করেছেন। তার স্বপ্ন সে তার ছবির কারু কাজ দিয়ে দেশে বিদেশে তার সুনাম অর্জন করবেন। তার শুভাকাঙ্ক্ষী আহনাফ নাজমুল বলেন রাকেশ রাকিব তার কাজের মাধ্যমে দেশের সেরা ফটোগ্রাফারদের একজন হয়েছেন এতে আমরা বরিশালের মানুষ আনন্দিত আমরা চাই সে একজন আন্তর্জাতিক মানের ফটোগ্রাফার হোক। সারা বিশ্বে আমাদের দেশের মুখ উজ্জল করুক।
রাকেশ রাকিবের সাথে কথা বললে তিনি জানান, কঠোর পরিশ্রম আমাকে এ পর্যন্ত নিয়ে এসেছে। সবার ভালবাসায় আমি আরো সামনের দিকে এগিয়ে যেতে চাই। কর্মই আমাকে সাফল্যের দারপ্রান্তে নিয়ে এসেছে। সকলের কাছে দোয়া কামনা করছি।
সম্পাদনা
এম সাইফুল ইসলাম রাজু
বার্তা সম্পাদক