বরিশাল বাণীঃ বরিশাল বিভাগের আলোকিত কৃতির্সন্তান. দক্ষিণ অঞ্চলের জনপ্রিয় মেধাবী সাংবাদিক. বরিশাল প্রেসক্লাব এর নির্বাচিত সাবেক সাধারণ সম্পাদক. বরিশাল সাংবাদিক ইউনিয়ন এর সাবেক সাধারণ সম্পাদক. এমআরডিআই’র বরিশাল বিভাগীয় সমন্বয়কারী এবং দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকার বরিশাল সাবেক ব্যুরো প্রধান, সদাহাস্যোজ্জ্বল ও বন্ধুবৎসল লিটন বাশার।
তিনি ১৯৭৪ সালে ৪ অক্টোবর বরিশাল উপজেলার চরমোনাই ইউনিয়নের ডিঙ্গামানিক গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা স্কুল শিক্ষক মোঃ আবদুল কাদের, মাতা মাহমুদা বেগম।
লিটন বাশার কলেজ জীবন থেকেই সাংবাদিকতায় পদচারণা। বরিশাল সরকারি হাতেম আলী কলেজে স্নাতক পড়ার সময় সাংবাদিকতায় জড়িয়ে পড়েন।
১৯৯২ সালে প্রথমে দৈনিক শাহনামা পত্রিকায় জুনিয়র স্টাফ রিপোর্টার পদে সাংবাদিকতা শুরু করেন। এরপর তিনি দৈনিক সকালের খবর’র বরিশাল ব্যুরো কার্যালয়েও কাজ করেন কিছুদিন।
লিটন বাশার ১৯৯৬ সালে যোগ দেন দৈনিক আজকের বার্তায়। ওই পত্রিকার ভোলা ব্যুরো প্রধানের দায়িত্ব পালন করেন। পরে তিনি ঢাকায় চলে যান।
২০০৪ সালে স্টাফ রিপোর্টার হিসেবে যোগ দেন দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা-তে। এরপর তিনি দৈনিক ইত্তেফাক’র বরিশাল অফিসে স্টাফ রিপোর্টার পদে যোগ দেন। একই সঙ্গে আজকের পরিবর্তন পত্রিকার সহকারী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।
সাংবাদিক মাইনুল হাসানের মৃত্যুর পর ইত্তেফাক’র অফিস প্রধান হিসেবে নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করেন জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত। পাশাপাশি তিনি দৈনিক দখিনেরমুখ পত্রিকার সম্পাদকে দায়িত্ব পালন করেন।
লিটন বাশার সমসাময়িক থেকে অনেক এগিয়ে ছিলেন। নিরপেক্ষ ও বস্ত্রনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশে তিনি ছিলেন আপোষহীন। সত্য বলতে ও লিখতে তিনি কখনো কারো সাথে আপোষ করেননি। মানবিক দিক থেকেও তিনি অনন্য।
খুব অল্প সময়ে বরিশাল স্বকীয় ধারার পেশাদার সাংবাদিকতা দিয়ে খ্যার্তি অর্জন করেন তিনি। ২০০১ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচন পরবর্তী ভোলায় ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের উপর নির্যাতন-নিপীড়নের সংবাদ প্রকাশের ক্ষেত্রে তিনি মাঠপর্যায়ে সাহসিকতার সাথে পেশাগত দায়িত্ব পালন করেছেন।
লিটন বাশার পেশাগত দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি বরিশালের সাংবাদিক অঙ্গণের নেতৃত্বে দিয়েছেন তরুণ বয়সে। নিজ মেধা, যোগ্যতা, সততা এবং ভালোবাসা দিয়ে বরিশালের সাংবাদিক সমাজের অনেক সংকটময় পরিস্থিতিতে কাজ করে গেছেন অবিচল। লিটন বাশার বরিশাল সাংবাদিক ইউনিয়ন এর সাধারণ সম্পাদক হিসাবে সাংবাদিকদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় কাজ করেছেন।
তিনি শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাত বরিশাল প্রেসক্লাব এর সাধারণ সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। নেতৃত্ব দিয়েছেন সাংবাদিকদের অনেক আন্দোলনের। সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সাথেও কাজ করেছেন। তিনি গণমাধ্যম বিষয়ক প্রতিষ্ঠান ম্যাস-লাইন-মিডিয়া সেন্টার ( এমএমসি )’র কাছ থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে সাংবাদিক প্রশিক্ষণ হিসাবেও কাজ করেছেন। গণমাধ্যম বিষয়ক অপর প্রতিষ্ঠান এমনআরডিআই’র বরিশাল বিভাগীয় সমন্বয়কারী হিসাবেও দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি।
লিটন বাশার ব্যক্তিগত গুণাবলীর মধ্যে অন্যতম ছিলো অসাধারণ রসবোধ। তা দিয়ে সব বয়সের মানুষকে মুগ্ধ করতে পারতেন সহজেই।
লামিম আল তাহারিম শ্রেষ্ঠ নামের ৯ বছরের এক পুত্র সন্তান রয়েছে। সাংবাদিকতার অনেক সুনাম বাকী রেখে ২০১৭ সালে ২৭ শে জুন হঠাৎ অসুস্থ হয়ে নিজ বাড়িতে ইন্তেকাল করেন। মাত্র ৪৩ বছর বয়সে অকালেই চলে যান অন্তিম দেশে।
আমি মরহুমের রুহের মাগফিরাত কামনা করি তাকে জেনেও মহান আল্লাহ তায়ালা জান্নাত নসিব করুন আমিন।
লিটন বাশার ভাই আমার প্রথম প্রকাশনা “বরিশালের ডায়েরী” গাইড বইটির প্রকাশনা উৎসবে উপস্থিত ছিলেন এবং আমাকে অনেক ন্সেহ করতেন।
বরিশাল বিভাগের আলোকিত কৃর্তি সন্তানদের পরিচিতি লেখার ধারাবাহিকতায় এবার আমার শ্রদ্ধের প্রিয় বড় ভাই এবং জননন্দিত সফল সাংবাদিক জনাব লিটন বাশার সম্পর্কে কিছু তথ্য আপনাদের নিকট তুলে ধরার চেষ্টা করেছি মাত্র।
লেখকঃ জাহিদুল ইসলাম মামুন (প্রকাশক ও সম্পাদক)।
“বরিশাল বিভাগ তথ্য হ্যালো গাইড”।