২৩শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

বরিশালে মোবাইল কোর্টের গাড়ি দেখে খালে সাঁতার দিল ৪ যুবক

শেয়ার করুনঃ

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email

বরিশাল বাণী: কঠোর লকডাউন ও বৃষ্টি কোন কিছুতেই ঠেকানো যাচ্ছে না বরিশালে ঘর থেকে মানুষের বের হওয়া। করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সরকার ঘোষিত কঠোর লকডাউনে দোকান খোলা ও বন্ধ করা নিয়ে চলছে চোর পুলিশ খেলা। মোবাইল কোর্টের গাড়ি দেখলেই দৌড়ে পালিয়ে যায় লোকজন।
মোবাইল কোর্টের গাড়ি দেখলেই দৌড়ে পালায় লোকজন, গাড়ি চলে গেলেই আবার ফিরে আসে সড়কে ও চায়ের দোকানে।
সরকার ঘোষিত কঠোর লকডাউন বাস্তবায়নে প্রায় প্রতিদিনই ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করছে আগৈলঝাড়া উপজেলা প্রশাসন।
বৃহস্পতিবার বিকেলে ভ্রাম্যমান আদালতের গাড়ি দেখেই খাল সাঁতরে পালায় চার যুবক। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার বাশাইল-মাগুরা সড়কের পৃথক দুটি স্থানে।
তবে কঠোর লকডাউনের নবম দিন শুক্রবার পর্যন্ত কঠোর লকডাউন কার্যকরের জন্য আগৈলঝাড়ায় আসেনি র‌্যাব, বিজিবি বা সেনাবাহিনীর কোন সদস্য।
সরকারী প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত নির্দ্দিষ্ট কিছু দোকান খোলা রাখার নির্দেশনা থাকলেও মফস্বলের চায়ের দোকানগুলো খোলা রাখছে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত।
ইউএনওর গাড়ি দেখলে দোকান বন্ধ করে পালালেও গাড়ি চলে যাবার পরেই চায়ের দোকানে ফিরে আসে ওই সকল লোকজন।
সড়ক যোগাযোগ ভালোর কারণে মোবাইল কোর্টের গাড়ি দ্রুত চলে আসার ভয়ে ব্যবসায়ীদের মধ্যে কিছুটা ভয় কাজ করলেও গ্রামের হাটবাজারগুলোতে সকল দোকানপাট খোলা রাখা হচ্ছে আগের মতোই।
ওই সকল হাটবাজারে যারা আসছেন তাদের মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি মানার কোন বালাই নেই। এমনকি সাপ্তাহিক হাট ও পানের হাট বসানো হচ্ছে আগের মতোই।
স্থানীয় চেয়ারম্যান, মেম্বরসহ বাজার পরিচালনা কমিটির সদস্যরাও লকডাউন বাস্তবায়নে রয়েছেন চরম উদাসীন। তারা দোকান বন্ধ বা লোকজনের অকারনে বাজারে আসা ও স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনের জন্য কোন ব্যবস্থাই নিচ্ছেন না।
অথচ করোনা দ্রুত সংক্রমনের দিক দিয়ে বরিশাল জেলার মধ্যে সংক্রমনের দিক দিয়ে অধিক ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে আগৈলঝাড়া উপজেলাকে। পরীক্ষা বিবেচনায় ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ মানুষের শরীরে করোনা ভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া যাচ্ছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আবুল হাশেম বলেন, একজন ম্যাজিষ্ট্রেটের উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়নের সর্বত্র লকডাউনের বিধি নিষেধ বাস্তবায়ন করা অসম্ভব। তাই আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ সকলকে সরকার ঘোষিত লকডাউন বাস্তবায়নে সর্বত্মক সহযোগিতা করা দরকার।
জীবন বাঁচানোর জন্য প্রশাসনের সর্বত্মক কঠোর লকডাউন বাস্তবায়নে আইন শৃংখলা বাহিনীর সদস্যদের তৎপরতা বাড়ানোর দাবি করছেন সচেতন মহল।

সর্বশেষ