পিরেজপুর প্রতিনিধি ::: পিরোজপুরে হু হু করে বাড়ছে করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) সংক্রমণ। গত এক সপ্তাহে এই জেলায় ৩৮৮ জনের শরীরে প্রাণঘাতি এই ভাইরাসের উপস্থিতি শনাক্ত হয়েছে। আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১১ জন।
বিজ্ঞাপন
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, জনসচেতনতার অভাবে পিরোজপুরে করোনা সংক্রমণ বাড়ছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকেও জনগণকে স্বাস্থ্যবিধি মানাতে খুব একটা তৎপরতা দেখা যায়নি।
এদিকে জেলা হাসপাতালে করোনা রোগীর চিকিৎসায় সেবিকাদের অবহেলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। হাসপাতালে সেবিকাদের উপস্থিতি নিয়েও রয়েছে অভিযোগ। করোনা আক্রান্ত রোগীদের সঙ্গে সেবিকারা দুর্ব্যবহার করেন বলেও জানা গেছে। পিরোজপুর হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়া ২/১ জন রোগীর সঙ্গে কথা বলে এই অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বিজ্ঞাপন
এ বিষয়ে হাসপাতালের আরএমও চিকিৎসক নিজাম উদ্দিন জানান, রোগীদের অভিযোগ সত্য নয়। তবে এমন হতে পারে নার্সদের তাৎক্ষণিকভাবে পাওয়া যায়নি।
সিভিল সার্জন ডাক্তার হাসনাত ইউসুফ জাকি বলেন, নার্সদের এমন কোনো আচরণ হওয়া উচিত না, যাতে রোগীরা কষ্ট পান। কর্তব্যরত নার্সরা এমন আচরণ করতে পারে না। তারপরও বিষয়টি আমি খতিয়ে দেখব।
বিজ্ঞাপন
পিরিজপুর জেলার সাংবাদিকদের সঙ্গে আলোচনা করে জানা গেছে, করোনা রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। এলাকার লোকজন স্বাস্থ্যবিধি মানছে না। যখন পুলিশ বা প্রশাসনের লোকজন মাঠে থাকে, তখন তারা স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলে। যখন তারা মাঠ থেকে চলে যায়, তখন আবার জনসমাগম বেড়ে যায়।
জানা গেছে, ১০০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালটি ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট করার কাজ চলমান। বর্তমানে হাসপাতালে ৯১ জন ডাক্তার কর্মরত রয়েছেন। নার্স রয়েছেন ২২০ জন। ডাক্তার এবং নার্সের সমস্যা নেই। অন্যান্য পদে জনবল কম। বিশেষ করে টেকনিশিয়ানের অভাব। জটিল রোগীর জন্য আইসিইউ নেই।
বিজ্ঞাপন
এসব বিষয়ে পিরোজপুর হাসপাতালে সিভিল সার্জন ডাক্তার হাসনাত ইউসুফ জাকি বলেন, করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধ করতে হলে সচেতনতা বাড়াতে হবে। পিরোজপুর সদরে জনসচেতনতা কিছুটা নিয়ন্ত্রণে থাকলেও উপজেলা এবং ইউনিয়নের জনসচেতনতা নেই। জনসচেতনতা বৃদ্ধি এবং লকডাউন পুরোপুরি মেনে চালাই এই রোগের প্রতিরোধের প্রথম ডোজ।
জেলায় ভ্যাকসিন কার্যক্রম নিয়ে তিনি বলেন, ভ্যাকসিনের সমস্যা নেই। ৪২ হাজার সিনোফার্মার ভ্যাকসিন রয়েছে। আগামী ৭ আগস্ট থেকে ইউনিয়ন এবং ওয়ার্ড পর্যায়ে ভ্যাকসিন দেওয়ার কার্যক্রম শুরু করা হবে।