১৮ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
সংবাদ শিরোনাম

সামুদ্রিক ইলিশে সয়লাব বরিশালের মোকাম

শেয়ার করুনঃ

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email

অনলাইন ডেস্ক ::: ইলিশের সবচেয়ে বড় মোকাম বরিশাল নগরীর পোর্ট রোড। স্থানীয় ও অভ্যন্তরীণ নদ-নদীর কোনো ইলিশ এখনও না এলেও প্রায় ৪ মাস পর সামুদ্রিক ইলিশে ভরপুর উঠেছে এ মোকাম। সামুদ্রিক ইলিশের দাম নাগালের মধ্যে হওয়ায় সন্তুষ্ট ক্রেতারাও।

মৎস্য অধিদফতর বলছে, নিষেধাজ্ঞা কর্মসূচি সফল হওয়ায় ইলিশের উৎপাদন বেড়েছে। এ কারণেই কাঙ্ক্ষিত ইলিশ পাচ্ছে জেলেরা।

আষাঢ়, শ্রাবণ ও ভাদ্র মাস এই ৩ মাস ইলিশের প্রধান মৌসুম। গত ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে মাছ ধরতে সমুদ্রে যাওয়া ট্রলারগুলো বৈরি আবহাওয়ার কারণে মাঝপথ থেকেই ফিরে এসেছিল। আবহাওয়া পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হওয়ার পর গভীর সমুদ্রে মাছ শিকার করতে যাওয়া ট্রলারগুলো ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ পেয়েছে। ট্রলারগুলো মোকামে ফিরে আসায় চলতি মৌসুমে প্রথমবারের মতো কর্মচাঞ্চল্য ফিরেছে।

এছাড়া পটুয়াখালীর মহিপুর মোকাম থেকেও ট্রাকে ট্রাকে ইলিশ এসেছে বরিশালে। আগামী দিনে সমুদ্রে আরও ইলিশ আহরিত হবে বলে আশা করেন মৎস্য বিভাগের কর্মকর্তারা।

শনিবার (১৪ আগস্ট) সকালে সরেজমিনে দেখা যায়, শ্রমিকদের ব্যস্ততা, ক্রেতাদের ভিড়, মহাজনদের হাসিমুখ। ঘাটে নোঙর করা ট্রলারগুলোর খোল ভরে আছে রুপালি ইলিশে। ট্রলারগুলোতে ছিল ১-২ কেজি সাইজের ইলিশ।

পোর্ট রোডের ইলিশ ব্যবসায়ী কাঞ্চন সাহা বলেন, ‘ইলিশের মৌসুম শুরু হয়েছে মাত্র। গত দুই দিনে অনেক সামুদ্রিক ইলিশ এসেছে। সমুদ্রের ইলিশ গড়পরতা ২২ থেকে ২৩ হাজার টাকা মণ দরে বিক্রি হয়েছে।’ আগামী দিনে সমুদ্র থেকে আরও ইলিশ আহরিত এবং দাম আরও কমবে বলে আশা করেন তিনি।

 

ইলিশ আড়তদার নাসির উদ্দিন বলেন, ‘৪ মাস পর বরিশাল মোকামে প্রথম অনেক ইলিশ এসেছে। আগে স্থানীয় বিভিন্ন নদ-নদীর ৪০ থেকে ৫০ মন ইলিশ আসতো মোকামে। গত দুই দিনে প্রায় ২ হাজার মণ ইলিশ এসেছে। সামনের দিনে ইলিশ আহরণ বাড়বে এবং দামও কমবে।’

আড়তদার সজল দাস বলেন, ‘সমুদ্রে ঝাঁকে ঝাঁকে মাছ ধরা পড়ায় জেলে, আড়তদার ও মৎস্য শ্রমিক সবাই খুশি। বরিশাল মোকামে অনেক দিনের মাছের আকাল দূর হলো। চলতি মৌসুমে প্রথমবারের মতো ইলিশে সয়লাব হয়েছে বরিশাল মোকাম। এভাবে মাছ ধরা পড়লে ইলিশ মাছ সবার ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে চলে আসবে।’

বরিশাল মৎস্য দফতরের কর্মকর্তা (ইলিশ) ড. বিমল চন্দ্র দাস বলেন, ‘মৌসুমের শুরুর দিকে জেলেদের জালে মাছ ধরা না পড়ায় কিছুটা চিন্তিত ছিলো মৎস্য বিভাগ। দেরিতে হলেও বরিশাল মোকামে ইলিশের খড়া কেটেছে। আগামী দিনগুলোতে সমুদ্রে এবং স্থানীয় ননদ-নদীতে আরও ইলিশ আহরিত হবে এবং ইলিশের দামও কমে যাবে।’

সর্বশেষ