জুলফিকার আমীন সোহেল
মঠবাড়িয়া (পিরোজপুর) প্রতিনিধি : তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মা-মেয়ের উপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে গুরুতর আহত করেছে ইয়াসিন মোল্লা নামে এক বখাটে। অতঃপর ৯৯৯ এ কল। সাথে সাথে পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মা-মেয়েকে উদ্ধার করে। পরে পরিবারের লোকজন আহত মা তাসলিমা বেগম (৪০) ও মেয়ে সাদিয়া কুরসী (২০) কে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার বিকেলে উপজেলার আমুরবুনিয়া গ্রামে। কিন্তু গত দুই দিন ধরে মা ও মেয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন আছেন।
আহত ও স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে, শুক্রবার বিকেলে উপজেলার আমুরবুনিয়া গ্রামের কামরুল সিকদারের বসত ঘরের উপর দিয়ে রুস্তম মোল্লা বিদ্যুতের লাইনের জন্য সার্ভিস তার নেয়ার চেষ্টা চালায়। এসময় কামরুল সিকদারের মেয়ে সাদিয়া বসত ঘরের উপর দিয়ে বিদ্যুতের তার না নিয়ে একটু ঘুরিয়ে নিতে বলেন। এতে রুস্তম মোল্লার বখাটে পুত্র ইয়াসিন ক্ষিপ্ত হয়ে সাদিয়াকে অকথ্য ভাষায় গালাগালির একপর্যায়ে লোহার রড দিয়ে বেধড়ক মারধর শুরু করে। পরে সাদিয়াকে উদ্ধার করতে গেলে মা তাসলিমাকেও মারধর করে। এসময় ইয়াসিন মোল্লা কামরুল সিকদারের মুরগীর খামার ও বসত ঘরেও হামলা হামলা চালায়।
কামরুল সিকদার জানান, তিনি বাড়িতে না থাকায় স্ত্রী ও মেয়ের উপর হামলার খবর পেয়ে ৯৯৯ এ কল করলে পুলিশ দ্রুত ঘটনা স্থলে চলে যান। পরে তিনি বাদী হয়ে ইয়াসিন মোল্লা ও রুস্তম মোল্লার বিরুদ্ধে মঠবাড়িয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
অভিযুক্ত ইয়াসিন মোল্লা মারামারি ঘটনা অস্বীকার করলেও মুরগীর খামারে হামলার কথা স্বীকার করে বলেন, কামরুল সিকদারের ছেলে ও মেয়ে তাকে গালিগালাজ করেছে।
মঠবাড়িয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মুহা. নূরুল ইসলাম বাদল জানান, অভিযোগের বিষয়টি তদন্ত শেষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।