২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
সংবাদ শিরোনাম

আমতলীতে করোনা ভাইরাসের টিকা নেয় নি ৫ শতাধিক শিক্ষক/শিক্ষিকা

শেয়ার করুনঃ

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email

হারুন অর রশিদ,
আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি।
মরণঘাতি করোনাভাইরাসের কারনে প্রায় এক বছরের উপড়ে দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীরা চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। সম্প্রতি সরকার সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার সাম্ভব্যতা যাচাই করতেছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার পূর্বে সকল শিক্ষককে অবশ্যই টিকা নেওয়ার বাধ্যবাধকতা থাকলেও বরগুনার আমতলী উপজেলার ৫৬৩ জন শিক্ষক এখনো টিকা গ্রহন করেনি। তারা সরকারী নির্দেশনা উপেক্ষা করে টিকা গ্রহনে গরিমসি করছে বলে অভিযোগ রয়েছে।

জানাগেছে, দেশে গত বছর থেকে মরণঘাতি করোনাভাইরাস সংক্রমণ শুরু হওয়ায় পর থেকে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। এতে শিক্ষার্থীদের লেখাপড়া বন্ধ থাকায় চরমভাবে তারা ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। অকালে ঝড়ে গেছে অনেক শিক্ষার্থী। এ সংঙ্কট থেকে উত্তরনের জন্য সরকার প্রাণপন চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। করোনা সংক্রামণ থেকে মানুষকে রক্ষায় সরকার গত ৬ ফেব্রুয়ারী থেকে টিকার কার্যক্রম হাতে নেয়। সরকার শতভাগ টিকার কার্যক্রম নিশ্চিত করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার ঘোষনা দেন। সরকারের ওই নির্দেশনা সত্তে¡ও আমতলী উপজেলার ৫৬৩ জন শিক্ষক- শিক্ষিকা এখনো টিকা নেয়নি।

উপজেলা প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় ১৫২টি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এতে ৮০৪ জন শিক্ষক শিক্ষিকা কর্মরত আছেন। ৪০টি মাধ্যমিক ও নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ৫৪০ জন, ২৯ টি দাখিল ও আলিম মাদ্রাসায় ৫২৬ জন এবং ৭ টি কলেজে ২৩৩ জন শিক্ষক – শিক্ষিকা কর্মরত আছেন। এদের মধ্য থেকে কলেজে ১২০ জন, প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৭৫৬ জন, মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ৪৩১ জন ও মাদ্রাসায় ২৩৩ জন শিক্ষক- শিক্ষিকা টিকা নিলেও এখনো টিকা নেয়নি কলেজের ১১৩, মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ১০৯ জন, মাদ্রাসার ২৯৩ জন এবং প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪৮ জন শিক্ষক- শিক্ষিকা। তারা সরকারী নির্দেশনা উপেক্ষা করে টিকা নিতে গরিমসি করছেন। এদের মধ্যে মাদ্রাসা শিক্ষকরাই টিকা বেশী। সূত্র জানায়, এখন পর্যন্ত মাদ্রাসার অর্ধেকের বেশী শিক্ষক- শিক্ষিকারা টিকা গ্রহন করেনি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক মাদ্রাসা শিক্ষকরা জানায়, টিকা কার্যক্রমের প্রতি তাদের তেমন একটা আস্থা নেই বলেই সরকারী নির্দেশনা উপেক্ষা করে তারা টিকা গ্রহন করছেন না। আল্লাহর রহমতে এখনো আমরা সুস্থ্য আছি। আমাদের করোনা হবে না ইনশাআল্লাহ।

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ মজিবুর রহমান মুঠোফোনে বলেন, উপজেলার ৮০৪ জন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক- শিক্ষিকার মধ্যে থেকে ৭৫৬ জন টিকা গ্রহন করেছে। বাকী ৪৮ জন শিক্ষক- শিক্ষিকারা বিভিন্ন কারনে টিকা নিতে পারেনি। তাদেরকেও দ্রুত সময়ের মধ্যে টিকা গ্রহনের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার জিয়া উদ্দিন মিলন বলেন, উপজেলার স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসার ১ হাজার ২৯৯ জন শিক্ষকের মধ্য থেকে ৭৮৪ জন শিক্ষক- শিক্ষিকা টিকা নিয়েছেন। অবশিষ্ট ৫১৫ জন শিক্ষক এখনো টিকা নেয়নি।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ কাওসার হোসেন মুঠোফোনে বলেন, শতভাগ টিকা কার্যক্রম নিশ্চিত হলেই দ্রুত সময়ের মধ্যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া হবে সরকারের এমন নির্দেশার লক্ষে শিক্ষকদের টিকা গ্রহনে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। সরকারী নির্দেশনা উপেক্ষা করে যে সকল শিক্ষক- শিক্ষিকারা এখনো টিকা নেয়নি খোঁজ নিয়ে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

সর্বশেষ