১২ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
অন্তর্বর্তী সরকারের আমলেই সাংবাদিকতার সংস্কার হওয়া উচিত ভোলায় বিএনপির নেতাকর্মীদের ত্রিমুখী সং*ঘর্ষে ওসিসহ আ*হ*ত অর্ধশত বরগুনায় পাসপোর্ট অফিসে দালালদের দৌরাত্ম্য, ভোগান্তিতে সেবাপ্রার্থীরা সেতু না থাকায় দুর্ভোগে পটুয়াখালীর তিন উপজেলার মানুষ বরিশালে টাকা আনতে গিয়ে ব্যাংক কর্মকর্তাদের মা*র*ধ*রের শিকার ব্যবসায়ী অবৈধ ভারতীয়দের স্বদেশে ফেরত পাঠানোর আহ্বান গয়েশ্বরের সরকার পতনের হাওয়া লেগেছে সিরিয়ার ফুটবলে বিসিএসসহ সব সরকারি চাকরিতে আবেদন ফি ২০০ টাকা, প্রজ্ঞাপন জারি ‘গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী সাংবাদিকতা: সংস্কার ও করণীয়’ শীর্ষক আলোচনা সভা সকল শহীদ পরিবারের সামনে শেখ হাসিনার ফাঁ*সি হবে : মাসুদ সাঈদী

ভাড়া না দেওয়ায় লঞ্চ থেকে মাঝনদীতে ফেলে দেওয়া হলো ২ শিশুকে!

শেয়ার করুনঃ

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email

নিজস্ব প্রতিবেদক :: মুন্সিগঞ্জে মেঘনা নদীতে ভাসমান অবস্থায় শাকিব (১২) এবং মেহেদি হাসান (১৩) নামের দুই শিশুকে উদ্ধার করেছে গজারিয়া থানা পুলিশ। শনিবার (১১ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টার দিকে উদ্ধার হওয়া শিশুদের দাবি, পানি বিক্রির জন্য রাজধানীর সদরঘাট থেকে ‘ইমাম হাসান-৫’ নামের একটি লঞ্চে উঠেছিল। ভাড়া না দেওয়ায় তাদের মেঘনা নদীতে ফেলে দেন লঞ্চের স্টাফরা।

তবে লঞ্চ কর্তৃপক্ষের দাবি, শিশু দুটিকে ফেলে দেওয়া হয়নি। ট্রলারযোগে মুন্সিগঞ্জে নামতে না পেরে নিজেরাই পানিতে ঝাঁপ দিয়েছিল।

এদিকে শিশু দুটির সঙ্গে গজারিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রইছ উদ্দিনের কথোপকথনের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। শনিবার রাত ১০টার দিকে গজারিয়া থানার ফেসবুক পেজে ভিডিওটি পোস্ট করা হয়। ভিডিওতে দেখা যায়, ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার কাছে নদীতে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ করছে দুই শিশু।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে গজারিয়া থানার ওসি রইছ উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, স্পিডবোটযোগে মেঘনা নদী দিয়ে গজারিয়া থেকে মুন্সিগঞ্জ পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে যাচ্ছিলাম। পথে মুন্সিগঞ্জ লঞ্চ টার্মিনাল থেকে আনুমানিক দুই কিলোমিটার দূরে দুই শিশুকে নদীতে ভাসতে দেখে স্পিডবোট থামিয়ে নদী থেকে উদ্ধার করা হয়। পরে মুন্সিগঞ্জ লঞ্চঘাটে নিয়ে শিশুদের আত্মীয়-স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে ঢাকা-সদরঘাটগামী ‘এমভি আল-বোরাক’ নামে আরেক লঞ্চে উঠিয়ে দেওয়া হয়।

ওসি আরও বলেন, শিশু দুটিকে উদ্ধারের পর তারা জানায়, সদরঘাট থেকে ইমাম হাসান-৫ লঞ্চে পানি বিক্রির জন্য ওঠে। কিন্তু তারা ভাড়া না দেওয়ায় ওই লঞ্চের স্টাফরা তাদের মাঝ নদীতে ফেলে দেয়।

তবে লঞ্চ থেকে ফেলে দেওয়ার বিষয়টি মিথ্যা দাবি করে ইমাম হাসান-৫ লঞ্চের মাস্টার দোলোয়ার হোসেন বলেন, পানি ও রুটি বিক্রি করা বাচ্চাদের কাছ থেকে ভাড়া নেওয়া হয় না। ওরা টোকাই, ওদের কাছ থেকে ভাড়া চাওয়াই হয় না। ভাড়ার জন্য নদীতে ফেলে দেওয়ার ঘটনাটি সত্য না। হয়তো মুন্সিগঞ্জে নদীতে ট্রলারে যাত্রী নামানোর সময় ওরা নামতে পারেনি। তাই নিজেরাই লাফ দিয়েছিল। পরে যাত্রীরা আমাদের জানায় লঞ্চের পেছন থেকে দুটা বাচ্চা পানিতে লাফ দিয়েছে।

দেলোয়ার হোসেন আরও বলেন, আজ সকালে তাদের আবার সদরঘাট টার্মিনালে দেখলাম শুয়ে আছে। তাদের আমি চিনি, আমাকে নানা নানা বলে। তারা সদরঘাটের টার্মিনালেই থাকে। আমার বাড়িতেও বাচ্চা আছে, ওদের আমরা কেন ফেলে দেবো।

সর্বশেষ