২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

পটুয়াখালীতে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানে ঢুকে ভাংচুর ও লুটপাটের অভিযোগ

শেয়ার করুনঃ

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email

নিজস্ব প্রতিবেদক ::: পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় আল-দ্বীন ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড ম্যান পাওয়ার কোম্পানির অফিস রুমে ঢুকে আসবাবপত্র ভাংচুর ও লুটপাটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এসময় কোম্পানীর সুপারভাইজার শরীফুল ইসলামকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল ও বাড়াবাড়ি করলে ব্যবসা করতে দেবেনা বলে হুমকিও দিয়েছে সন্ত্রাসী বাহিনী। এ বিষয়ে কলাপাড়া থানায় লিখিত অভিযোগ দিলেও তা গ্রহণ করেনি পুলিশ এমনটাই অভিযোগ সুপারভাইজার শরীফুলের।

গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ৮ টার দিকে উপজেলার ধানখালী ইউনিয়নের সােমবারিয়া বাজার সংলগ্ন আল-দ্বীন ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড ম্যান পাওয়ার কোম্পানির অফিস রুমে এ ঘটনা ঘটে।

অভিযুক্তরা হলেন- ধানখালী ইউনিয়নের পাঁচজুনিয়া গ্রামের বাসিন্দা আতাউর রহমান মিলনের ছেলে মাে: সজল (৩৮), একই গ্রামের সাজা খা’র ছেলে মাে: শাহিন (৩৫)।

জানা গেছে- অভিযুক্ত মাে: শাহিন কলাপাড়ার পাঁচজুনিয়া তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের আল-দ্বীন ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডের ম্যান পাওয়ার কোম্পানীর বয় হিসাবে কর্মরত ছিল। কর্মরত থাকালীন তিনি বিভিন্ন অনিয়মে জড়িয়ে পড়ায় তাকে চাকুরী থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়। এদিকে এর আগে মাে: সজল ক্ষমতার অপব্যবহার করে ওই কোম্পানীর মােটরসাইকেল জোরপূর্বক ব্যবহার করতো। এতে সুপারভাইজার শরীফুল প্রতিবাদ করলে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। পরে বৃহস্পতিবার রাত ৮ টার দিকে আল-দ্বীন ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড কোম্পানির অফিসের মধ্যে ঢুকে মাে: সজল ও মো: শাহিনসহ ১০/১২ জনের একটি সন্ত্রাসী দল আসবাবপত্র ভাংচুর করে ও লুটপাট চালায়। এতে ৫০ হাজার টাকার ক্ষতি হয়েছে। এসময় কোম্পানীর সুপারভাইজার শরীফুল ইসলামকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল ও বাড়াবাড়ি করলে ব্যবসা করতে দেবেনা বলে হুমকি দিয়ে চলে যায় তারা।

কোম্পানীর সুপারভাইজার শরীফুল ইসলাম জানান- মাে: সজল ও মো: শাহিনসহ ১০/১২ জনের একটি সন্ত্রাসী দল অসিফে ঢুকে আসবাবপত্র ভাংচুর করে ও লুটপাট চালায়। এবং আমাকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল ও হুমকি দেয়। তাৎক্ষনিক আমি কলাপাড়া থানায় গিয়ে অভিযোগ দিলে পুলিশ তা গ্রহণ করেনি।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়- সজল দীর্ঘদিন স্থানীয় প্রভাবশালীদের মদদে নানা অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে। প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় থাকার কারণে তার বিরুদ্ধে কেউ মুখ খুলতে সাহস পায় না।

এ বিষয়ে অভিযুক্তদের সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

এ বিষয়ে কলাপড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান বলেন- বিষয়টি শুনেছি। পুলিশ পাঠিয়েছি, তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

কেন অভিযোগ গ্রহণ করা হলো না এমন প্রশ্নের জবাবে ওসি বলেন- যেহেতু পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে বিষয়টি তদন্তের মাধ্যমেই অভিযোগ গ্রহণ করা হবে।

সর্বশেষ