২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

ভোলায় মারধরের মিথ্যা অভিযোগ  

শেয়ার করুনঃ

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email

স্টাফ রিপোর্টার।

ভোলা সদর উপজেলার ভেলুমিয়া ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের বাগমারা এলাকায় পরকীয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে থানায় মারধরের মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে হয়রানির অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় কামাল নামে এক যুবকের বিরুদ্ধে । বাগমারা এলাকার বাসিন্দা আব্দুর রাজ্জাক বলেন আমার স্ত্রী নাহার বেগম এর সাথে আমার একই এলাকার বাসিন্দা কামালের সাথে বেশ কয়েক বছর ধরেই মোবাইল ফোনে যোগাযোগ রয়েছে ও তাদের মধ্যে অবৈধ সম্পর্ক রয়েছে । এই বিষয়ে আমি আমার স্ত্রীর নাহারকে বেশ কয়েকবার জিজ্ঞেস করলে সে আমার কাছে অস্বীকার করে । কিন্তু এলাকাবাসী আমাকে প্রায়ই বলে যে আমি যখন বাড়িতে থাকি না তখন কামাল আমার স্ত্রীর সাথে দেখা করতে গোপনে আমার বাড়িতে আসে। তখন আমি গোপনে কামাল ও আমার স্ত্রী নাহারকে কে হাতেনাতে ধরার জন্য নজরদারি শুরু করি । গত দু বছর আগে একদিন রাত সাড়ে নয়টার দিকে আমি কামালকে আমার বাসায় আমার স্ত্রীর সাথে আপত্তিকর অবস্থায় হাতেনাতে ধরে ফেলি। তখন কামাল দৌড়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে‌। তখন আমার ডাক চিৎকারে স্থানীয় লোকজন এসে কামালকে ধরে ফেলে। কামাল আমার স্ত্রীর সাথে যোগাযোগ রাখবে না এ শর্তে কামালকে আমরা তার অভিভাবকের কাছে হস্তান্তর করি । এ সময় চরসামাইয়া ইউনিয়নের বাবুল মেম্বার কামালের কাছ থেকে ১০ হাজার টাকা নিয়েছি বলে শুনতে পেয়েছি।

এর মাঝে বেশ কয়েক মাস কামালের সাথে আমার স্ত্রীর যোগাযোগ ছিল না । গত ৮ অক্টোবর শুক্রবার রাত সাড়ে আটটার দিকে আমি এলাকাবাসীর মাধ্যমে খবর পাই যে আমার স্ত্রীর নাহার ও কামালকে আবারো একসাথে আপত্তিকর অবস্থায় আমার একই এলাকার কামাল ও বিল্লাল নামে দু’জন তাদেরকে ধরেছে । কিন্তু তখন আমি কামালকে কোন মারধর করিনি বরং কামালের স্ত্রীর শামসুন্নাহার এসে কামাল কে মেরেছে । তখন সেখান থেকে চশমা দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষক বিল্লাল হোসেন নিরব কামাল কে ছাড়িয়ে নিয়ে যায় । পরে আমি শুনতে পাই কামাল আমার নামে থানায় মিথ্যা মারধরের অভিযোগ দায়ের করেছে । আমি এ মিথ্যা হয়রানি থেকে মুক্তি চাই ।

ভেলুমিয়া ৩ নং ওয়ার্ডের মেম্বার লোকমান হোসেনের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন গত শুক্রবার রাজ্জাকের স্ত্রী নাহার ও কামালকে একসাথে আপত্তিকর অবস্থায় দেখতে পেয়েছে বলে আমি শুনতে পেয়েছি ।

এ বিষয়ে থানায় অভিযোগ দানকারী কামালের সাথে কয়েকবার মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও সম্ভব হয়নি।

সর্বশেষ