১৭ই এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

মুখোমুখি দুই গ্রুপঃ মসজিদে মিলাদ বন্ধ করলো পুলিশ

শেয়ার করুনঃ

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email

মুহাম্মাদ আবু মুসা:   উত্তরপাড়া সুন্নাতুল জামাত জামে মসজিদে বহিরাগতদের এনে মসজিদে মিলাদ মাহফিল করার নামে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি’র কারনে তা অনুমতি না দেয়ার জন্য মুসুল্লীরা বগুড়ার গাবতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছাঃ রওনক জাহান এর নিকট লিখিতভাবে আবেদন করায় পুলিশ অপর পক্ষকে মিলাদ করতে দেয়নি। শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখতে দফায় দফায় ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেন। মিলাদ মাহফিল করাকে কেন্দ্র করে ওই এলাকায় মুসুল্লীরা দুই ভাগে বিভক্ত হলে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে কোন প্রকার অপ্রিতিকর ঘটনা ঘটেনি। যে কারনে এলাকাবাসি প্রশাসনকে সাধুবাদ জানিয়েছেন। এ ব্যাপারে স্থানীয় বাগবাড়ী পুলিশ ফাঁড়ির ইনর্চাজ আশরাফুল ইসলাম এর সাথে কথা বললে তিনি জানান, আইন শৃঙ্খলা রক্ষার্থে উভয় পক্ষের সাথে কথা বলে নিজগ্রাম উত্তরপাড়া সুন্নাতুল জামাত জামে মসজিদে মিলাদ মাহফিল করতে দেয়া হয়নি। এ বিষয়ে ওই মসজিদ কমিটির সভাপতি স্কুল শিক্ষক আবু বক্কর সিদ্দিক এর সাথে কথা বললে তিনি জানান, আমরা ১২ই রবিউল আওয়াল উপলক্ষে মঙ্গলবার বাদ মাগরিব থেকে এশার নামাজের পূর্ব পর্যন্ত মসজিদে মিলাদ মাহফিল অর্থাৎ নবী করিম (সাঃ) এর জীবনীর উপর আলোচনা করতে চেয়ে ছিলাম। পুলিশ করতে না দেয়ায় আমরা আইনকে শ্রদ্ধা জানিয়ে মিলাদ মাহফিল করেনি। তিনি আরো বলেন, যারা করতে দেয়নি (প্রতিপক্ষ) তারা নাশকতা মামলার আসামী, শুধু আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে আমরা কিছুই বলিনি। স্থানীয় নশিপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আরিফুর রহমান আলম জানান, ঈদে মিলাদুন্নবী পালনের জন্য সরকার ছুটি ঘোষনা করে থাকলেও পুলিশ আমাদেরকে পালন করতে দেয়নি। তাছাড়া শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখতে আমরা আইনের প্রতি সম্মান দেখিয়ে মসজিদে মিলাদ মাহফিল করা হয়নি। উল্লেখ্য, উপজেলার নশিপুর ইউনিয়নের নিজগ্রাম উত্তরপাড়া সুন্নাতুল জামাত জামে মসজিদে বহিরাগতদের এনে মিলাদ মাহফিল করার নামে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি’র কারনে তা অনুমতি না দেয়ার জন্য মসজিদ কমিটির সদস্য ও মুসুল্লীদের পক্ষে সিরাজুল ইসলাম, মোঃ রেজা ও আব্দুল গনিসহ ৩৫জন স্বাক্ষরিত গত ১৭অক্টোবর রোববার একটি লিখিতভাবে আবেদনটি করেন। অপর দিকে আবেদনকারী মুসুল্লীরা জানিয়েছিলেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাদেরকে বাহিরে করতে বলেছেন, তার পরও মসজিদে বহিরাগতদের এনে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করলে গ্রামবাসি তা মেনে নেবে না, প্রতিহত করা হবে। এই নিয়ে আরো চাপা ক্ষোভ ও উত্তেজনা বেড়ে যায়। আরো উল্লেখ থাকে যে, ওই মসজিদ কমিটির সভাপতি সরকারী প্রাইমারী স্কুলের শিক্ষক আবু বক্কর সিদ্দিক ও তার পক্ষের কিছু লোকজন বহুল আলোচিত ড. মাওঃ আশরাফ আলী সিদ্দিকীর অনুসারীদের পক্ষে অবস্থান নেয়ায় মসজিদে মিলাদ মাহফিল নিয়ে এই দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয় বলে স্থানীয়রা জানান।

সর্বশেষ