২৩শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

বরিশালে বাদীকে কারাগারে পাঠালো আদালত

শেয়ার করুনঃ

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email

বরিশাল বাণীঃ
জাল মেডিকেল সনদ দাখিল করে আদালতে মামলা করায় বাদীকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালতের বিচারক।
বৃহস্পতিবার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাসুম বিল্লাহর বিচারাধীন আদালতে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তৃতীয় বিচার আদালতের বিচারক এসএম মাহফুজ আলম অভিযোগ দায়ের করলে আদালত সিডব্লিউ মূলে অভিযুক্তকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
কারাগারে পাঠানো অভিযুক্ত মো. লুৎফর রহমান জেলার বাকেরগঞ্জ উপজেলার রূপারজোর এলাকার জয়নাল সরদারের ছেলে।
বরিশাল অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের জিআরও মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, গত ৪ এপ্রিল সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তৃতীয় বিচার আদালতে একটি নালিশি দায়ের করেন। নালিশিতে তিনি একই এলাকার ৫ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগ করেন, তার (বাদী) ভাবি রেহেনা বেগমকে ৩০ মার্চ অভিযুক্তরা মারধর করে গুরুতর জখম করে।
নালিশির সঙ্গে ফিরিস্তি হিসেবে তিনি বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালের ডা. মাহবুবুর রহমান নামে স্বাক্ষর করা মেডিকেল সনদ দাখিল করেন। পুলিশ ব্যতীত মেডিকেল ভিকটিমের সনদ পাওয়ার বিধান না থাকা সত্ত্বেও বাদী সনদ দাখিল করায় আদালত রহস্য দেখতে পান।
বাদী লুৎফর রহমানকে জিজ্ঞেস করলে তিনি নিজ হাতে এই সনদ সংগ্রহ করেছেন বলে আদালতে জানান। আদালত ডাক্তারি সনদ যাচাই করতে শেবাচিম হাসপাতালের পরিচালক বরাবর পাঠান। পরিচালকের নির্দেশ মতে শেবাচিম হাসপাতালের ডা. মাহবুবুর রহমান আদালতে একটি প্রতিবেদন দাখিল করেন।
প্রতিবেদনে ডা. মাহবুবুর রহমান আদালতকে জানান, যাচাই করতে পাঠানো সনদে সিল ও স্বাক্ষর তার নয়। কোনো ভিকটিমকে মেডিকেল সনদ দেওয়া হয় না। আইনানুসারে চিকিৎসা সনদ দাখিল করা হয়। আদালত প্রতিবেদন পেয়ে লুৎফর রহমান জাল ডাক্তারি সনদ দাখিল করেছে বলে প্রমাণ পায়।
এজন্য তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে আদালতের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এসএম মাহফুজ আলম অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে অভিযোগ দাখিল করেন।
অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাসুম বিল্লাহ অভিযোগ আমলে নিয়ে অভিযুক্ত লুৎফর রহমানকে সিডব্লিউ মূলে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

সর্বশেষ