বরিশাল বাণীঃ কেরোসিন, পেট্রোল, ডিজেল ও টিসিবি সহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে গণসংহতি আন্দোলন বরিশাল জেলা আজ শুক্রবার (৫ নভেম্বর,২০২১) সকাল ১১টায় নগরীর অশ্বিনী কুমার টাউন হল চত্ত্বরে প্রতিবাদী মানববন্ধনের আয়োজন করে।
জেলা গণসংহতি আন্দোলনের সদস্য সাকিবুল ইসলাম শাফিনের সঞ্চালনায় প্রতিবাদী মানববন্ধনের সভাপতিত্ব করেন গণসংহতি আন্দোলন বরিশাল জেলার আহবায়ক জননেতা দেওয়ান আবদুর রশীদ নীলু।
নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধিকে গণবিরোধী আখ্যায়িত করে দেওয়ান আবদুর রশীদ নীলু বলেন, ” এই অবৈধ সরকার দেশের মানুষের বেঁচে থাকাকে মুশকিল করে দিয়েছে। ভারতে শুল্ক কমিয়ে জ্বালানি তেলের দাম কমানো হয়েছে আর আমাদের দেশে মূল্য বৃদ্ধি করা হলো। বিপিসিকে তেল আমদানি করতে ৩ ধরনের শুল্ক ও ট্যাক্স প্রদান করতে হয়, যা কমালে তেলের দাম বৃদ্ধি না করে কমানো সম্ভব। কিন্তু সরকার লোসকানের দোহাই দিয়ে জনগণের পকেট কাটার দিকেই মনোযোগী বেশী। যা অত্যন্ত অযৌক্তিক ও গণবিরোধী। দেশের সাধারণ মানুষের স্বার্থের কথা চিন্তা করে অবিলম্বে ডিজেল, কেরোসিন ও টিসিবি’র পণ্যের মূল্য বৃদ্ধির অযৌক্তিক ও গণবিরোধী সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করতে হবে। সেই সাথে এই অবৈধ সরকারের পদত্যাগ করতে হবে।”
গণসংহতি আন্দোলন বরিশাল জেলার সদস্য সচিব আরিফুর রহমান মিরাজ বলেন, টিসিবির দায়িত্ব সাধারণ মানুষকে মূল্য বৃদ্ধির কষাঘাত থেকে সুরক্ষা দেয়া। কিন্তু সুরক্ষার বদলে টিসিবি নিজেই একটি মুনাফালোভী বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের মত আচরণ করছে। দেশ যে দুর্ভিক্ষের দিকে এগুচ্ছে তা টিসিবির লাইন স্পষ্ট বলে দিচ্ছে।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন গণসংহতি আন্দোলন বরিশাল সদর উপজেলার সদস্য সচিব ইয়াসমিন সুলতানা, সদস্য মোঃ সোহাগ, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগঠক জামান কবির, ছাত্র ফেডারেশন বরিশাল জেলার সভাপতি ছাত্রনেতা মো. জাবের সহ গণসংহতি আন্দোলনের অন্যান্য নেতাকর্মীরা।
বক্তারা মানববন্ধন থেকে বলেন, ডিজেল ও কেরোসিন লিটার প্রতি ৬৫ টাকা থেকে ১৫ টাকা বাড়িয়ে ৮০ টাকা এবং টিসিবি প্রতিলিটার সয়াবিন তেল ১০ টাকা, চিনি ও ডাল কেজি প্রতি ৫ টাকা বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে যা অত্যন্ত অযৌক্তিক। করোনা মহামারি ও নিত্য পণ্যের মূল্য বৃদ্ধিতে সাধারণ মানুষ এমনিতেই দিশেহারা, সরকার জনগণের পাশে থাকবে কি, উল্টো সরকার ডিজেল ও কেরোসিনের মূল্য বৃদ্ধি ঘটিয়ে যাত্রী ও পণ্য পরিবহন এবং কৃষির সেচ খরচ বৃদ্ধি করলো। এর ফলে দেশের প্রায় ৯৫ ভাগ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হবে।