১লা অক্টোবর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ
সংবাদ শিরোনাম

সুন্দর সমাজ বিনির্মাণে ভোট প্রদান নাগরিকের দায়িত্ব

ভোট প্রদানের ক্ষেত্রে প্রার্থীর মুখ বা সম্পর্কের ভিত্তিতে নয় বরং ভোটের ক্ষেত্রে অবশ্যই প্রার্থীর আদর্শ বিবেচনা করে ভোট দিতে হবে। যে কয়জন প্রার্থী দাড়িয়েছে তারা কে কোন আদর্শ লালন করেন তা বিবেচনা করে সৎ, আদর্শ, যোগ্যতা ও দেশপ্রেম যার মধ্যে প্রবল তাকেই ভোট দিবেন।
ইসলামের দৃষ্টিতে ভোট হচ্ছে ৩টি বিষয়ের সমষ্টি। যথা-
১। সাক্ষ্য প্রদান করা, কোন প্রার্থীকে ভোট দেওয়া মানে- আপনি সাক্ষ্য দিচ্ছেন যে, লোকটি ব্যক্তি, পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রের দায়িত্ব পালনে সৎ ও যোগ্য। কারন যোগ্যতাকে মুল্যায়ন করা আপনার পবিত্র দায়িত্ব। আর অযোগ্যতাকে মুল্যায়ন হচ্ছে আপনার সেই পবিত্র দায়িত্বের অপপ্রয়োগ করা।
আল্লাহ তা’য়ালা বলেন-হে ঈমানদারগণ, তোমরা আল্লাহর জন্য সাক্ষ্য প্রদানে ন্যায়ের ওপর প্রতিষ্ঠিত থাকবে। যদিও তা তোমাদের নিজেদের কিংবা পিতা-মাতা অথবা নিকটাত্মীয়দের বিরুদ্ধে হয়। (সুরা নিসা : আয়াত ১৩৫)।
২। সুপারিশ করা। কোনো ব্যক্তি ভোট দেয়ার অর্থই হলো তার যোগ্যতা ও সততার ব্যাপারে আপনার সুপারিশনামা পেশ করা।
এব্যাপারে আল্লাহ্ তায়ালা বলেন, যে ব্যক্তি সৎকাজের জন্য কোনো সুপারিশ করবে তা থেকে (সৎ কাজের) একটি অংশ পাবে। আর যে ব্যক্তি মন্দ কাজের সুপারিশ করবে সে তার (মন্দ কাজের) একটি অংশ পাবে। আর আল্লাহ প্রতিটি বিষয়ের সংরক্ষণকারী। (সুরা নিসা : আয়াত ৮৫)।
৩।প্রতিনিধিত্বের ক্ষমতা প্রদান। ভোট প্রদান হলো প্রতিনিধিত্ব নির্বাচনে ভোটার ও প্রার্থীর বিষয়টি ব্যক্তি জীবন থেকে জাতীয় ও রাষ্ট্রীয় জীবন পর্যন্ত বিস্তৃত। তাই ভোটারের যেমন উচিত সৎ ও যোগ্য প্রার্থীকে ভোট দেয়া আবার নির্বাচিত জনপ্রিতিনিধির উচিত ব্যক্তি জীবন থেকে রাষ্ট্রীয় জীবন পর্যন্ত সার্বিক বিষয়ে সঠিক ও ন্যয়সঙ্গত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা। এর-বিপরীত হলে ভোটার ও প্রার্থী উভয়কেই অপরাধের দায়ভার ও শাস্তি ভোগ করতে হবে।
অন্যের কথা বা গুজবের গড্ডালিকা প্রবাহে গা না ভাসিয়ে যোগ্য ও সৎ প্রার্থীকে ভোট দিয়ে সুন্দর সমাজ বিনির্মাণে এগিয়ে আসা ঈমানী দায়িত্ব।
.
লেখক
হাফিজুল ইসলাম লস্কর,
স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক- বিএমএসএস।
Print Friendly, PDF & Email

শেয়ার করুনঃ

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email

সর্বশেষ