বরিশাল বাণীঃ স্বামী ট্রাক শ্রমিক। নেই সন্তানও। দিনে যা রোজগার হয় তা উচ্চমূল্যের এই বাজারে দিনেই শেষ হয়ে যায়। সামান্য রোগব্যাধি হলেও অন্যের কাছে সাহায্য চাইতে হয় রহিমা বেগমের। সম্প্রতি গুরুত্বর অসুস্থ হয়ে পড়লে চিকিৎসক ভয়াবহ দুঃসংবাদ দেন। জানিয়ে দেন শরীরে ডায়াবেটিস উচ্চমাত্রায়। শুধু ডায়াবেটিস নয় গলায় বাসা বেধেছে মরণব্যাধী ক্যান্সার। ফলে পুরোপুরি বির্পযস্ত হয়ে পড়েন রহিমা ও তার স্বামী ফারুক হোসেন।
বরিশাল সিটি করপোরেশনের ২৮ নং ওয়ার্ডের কাশিপুর দিয়াপাড়া নবজাগরণী সড়কের বাসিন্দা তারা। দিনমজুরের ক্যান্সার বাসা বাধায় মৃত্যুর আগেই যেন মৃত্যুর শোকে পরেন পরিবারটি। অনেকেই শেষ দেখাও দেখতে যান। বেচে থাকার সকল আশা যখন ছেড়ে দিয়েছিলেন ঠিক তখনই অসহায় এই দম্পতির অসহায়ত্বের কথা জানতে পারেন সিটি করপোরেশনের মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ। খোঁজ খবর নিয়ে দেখেন সত্যিকার অর্থেই অসহায় রহিমা বেগমের পরিবার। চিকিৎসা না পেলে ধুকে ধুকে মারা যেতে হবে। অসহায় রহিমা বেগমের পাশে এসে দাড়ালেন নগর পিতা।
সিটি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ রহিমা বেগমের সকল চিকিৎসার দায়িত্ব গ্রহন করেছেন বলে জানিয়েছেন মহানগর আওয়ামী লীগের সদস্য এসএম জাকির হোসেন। তিনি জানান, রহিমা বেগমের অসহায়ত্বের কথা মেয়র মহোদয়ের কাছে জানাতেই তিনি ঘোষণা দিয়েছেন অসহায় রহিমা বেগমের চিকিৎসার সকল দায়িত্ব তাঁর। ইতোমধ্যে বরিশাল ডায়াবেটিকস হাসপাতালে বিষয়টি অবহিত করেছেন। দু’একদিনের মধ্যে রহিমা বেগমের চিকিৎসা শুরু হবে।
রহিমা বেগম বলেন, আমি মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুরেছি গলার অপারেশন করানোর জন্য। আমি কথা বলতে পারি না। মনে হচ্ছিল যেন এই মরে যাচ্ছি। মেয়র স্যার আমার কথা শুনে ডেকে নিয়েছিলেন। তিনি বলেছেন, আমার চিকিৎসার সকল দায়িত্ব তার। আরো বলেছেন অল্প দিনের মধ্যে আমার চিকিৎসা শুরু হবে। আমি আল্লাহর কাছে দোয়া করি মেয়র স্যার যেন এইভাবে অসহায়দের পাশে দাড়ান। আল্লাহ তার মনের সকল আশা পূরণ করবে। রহিমা বলেন, মেয়র স্যার অত্যান্ত দয়ালু। তার মত এমন মেয়র সারা বাংলাদেশে নাই।
দেশপত্র ২৪