২৪শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
বরিশালে পূর্ব শত্রুতার জেরে প্রতিপক্ষের হামলায় আহত ৩ রাঙাবালীতে ইয়াবাসহ আটক-১ ঝালকাঠিতে স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগ স্বামীর বিরুদ্ধে আমতলীতে গরমে মাথা ঘুরে পড়ে গিয়ে নারীর মৃত্যু বরিশালে পুনর্বাসন ছাড়া হকার উচ্ছেদ বন্ধের দাবি রাজাপুরে শিক্ষার্থীদের অনুদানের বরাদ্দ ৫ হাজার, কিন্তু পেয়েছে ৩ হাজার! বরিশালে দরিদ্র মানুষের সংখ্যা বেশি থাকায় বেড়েছে শিশু শ্রমের হার নারী ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে প্রবাসীর স্ত্রীকে মারধর করে মাথা ফাটিয়ে দেয়ার অভিযোগ সিরাজগঞ্জে উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থীদের মাঝে প্রতিক বরাদ্দ প্রদান ৫ হাজার টাকা বরাদ্দ শিক্ষার্থীরা পেল ৩ হাজার রাজাপুরের সোনারগাঁও স্কুলের সভাপতি ও প্রধান শিক্ষকের বি...

বরিশালে কমিউনিটি পুলিশিং সভা অনুষ্ঠিত

শেয়ার করুনঃ

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email
বাংলাদেশ সরকারের পানি সম্পদ মন্ত্রনালয়ের প্রতিমন্ত্রী ও বরিশাল জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি কর্নেল (অব.)জাহিদ ফারুক শামীম -এমপি বলেছেন,আঠারোশত শতাব্দিতে কমিউনিটি পুলিশিং শুরু হয়েছিলো ইংল্যান্ডে।পরবর্তীকালে বিভিন্ন দেশও এটা শুরু করেছিলো এবং বাংলাদেশে ২০১৭ সাল থেকে কমিউনিটি পুলিশিং ডে উদযাপন করে আসছি। যারা সন্ত্রাস দমনসহ আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রনে নিয়োজিত থাকেন তাদের সাথে সাধারণ মানুষের মাঝে একটা বন্ধন সৃষ্টি করেছে কমিউনিটি পুলিশিং। পুলিশের সদস্যদের যে কাজে নিয়োজিত করা হয়েছে, সেই কাজটি সত্যিকার অর্থে বাস্তবায়ন করতে হলে কমিউনিটি পুলিশিং এর সদস্যদের সহযোগীতা অবশ্যই প্রয়োজন।
শনিবার (১৪ মে)দুপুরে বরিশাল নগরীর বান্দরোডস্থ শিল্পকলা একাডেমির অডিটরিয়ামে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের আয়োজনে অনুষ্ঠিত কমিউনিটি পুলিশিং সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, একটি এলাকার লোকজন মিলেই একটি কমিউনিটি। একটি কমিউনিটির লোকজন আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সাথে একত্রিত হয়ে ওই এলাকার সন্ত্রাস দমন ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা করতে পারে। আমরা বক্তৃতায়,কাগজে-কলমে অনেক কথা বলি কিন্তু বাস্তব ক্ষেত্রে সেটাকে ঠিকভাবে প্রয়োগ করতে পারি না।
প্রতিমন্ত্রী বলেন,দেশের কোন বিভাগ বা জেলায় কমিউনিটি পুলিশিং কতটা ভালো করছে তার কম্পিটিশন থাকা উচিত তাহলে এটার মান আরো উন্নয়ন হবে। কমিউনিটি পুলিশিং এ সদস্যদের এমনভাবে নেয়া উচিত যেখানে কোন রাজনীতি, স্বার্থ কাজ করা উচিত না। যারা পরিষ্কার চিন্তার মানুষ, যাদের এলাকার একটা ভালো মানুষ হিসেবে পরিচিত, এলাকার মানুষ পছন্দ তাদের এখানে আনা উচিত।তাহলে কমিউনিটি পুলিশিং ব্যবস্থায় বরিশালে আমরা যে পর্যায়ে গিয়েছি, তার থেকে আরো ভালো করতে পারবো।এতে পুলিশের কাজের মাত্রাও কমে আসবে।বরিশালে আমরা সন্ত্রাস, মাদক থেকে দূরে থাকতে পারবো।
কর্নেল (অব.)জাহিদ ফারুক বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে আজ বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশে এসে পৌছেছে। অথচ এই বাংলাদেশকে একসময় বলা হতো তলাবিহীন ঝুড়ি। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে ২০৩০ সালের ভেতরে আমরা উচ্চ মধ্যম আয়ের দেশে এবং চরম দরিদ্রতা থেকে দেশকে মুক্ত করা হবে। আর ২০৪১ সালের মধ্যে সমৃদ্ধশালী দেশের কাতারে আমরা দাড়াবো। ইদানিংকালে সরকারকে নিয়ে অনেকেই অনেক কথা বলে। যারা বাংলাদেশকে শ্রীলংকার সাথে তুলনা করছে, তারা মনগড়া কথা বলছে। বাংলাদেশ কখনও ই শ্রীলংকা হতে পারে না। বাংলাদেশ আর শ্রীলঙ্কা এক নয়। শ্রীলঙ্কার বর্তমান ফরেন রিজার্ভ হলো দুই বিলিয়ন ডলার, আর বাংলাদেশের ৪২ বিলিয়ন ডলার। কোথায় দুই আর কোথায় ৪২। শ্রীলংকা সমুদ্রের তীরের একটি দেশ, তাদের মেক্সিমাম আয় পর্যটন থেকে। করোনাকালে সবকিছু মুখ থুবরে পড়ার পর তার পর্যটনকে আকর্ষনীয় করে তুলতে যে প্রচুর লোন নিয়ে তা পরিশোধ করতে পারছেন। আমরা প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে শ্রীলংকাকেও লোন দিয়েছি।আমরা কখনও ভেবেছি অন্য দেশকে লোন দিতে পারবো। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে সেই স্টেজে আমরা চলে গেছি।
তিনি বলেন,অতীতের থেকে আমাদের ফরেন কারেন্সি বৃদ্ধি পেয়েছে। শ্রীলংকায় এটা না থাকায় তার মুখ থুবরে পরেছে, তবে আমাদের বিশ্বাস তারাও ঘুরে দাড়াবে।কিন্তু যে নিন্দুকেরা মিথ্যে কথা বলে সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে, তারা ভূল ধারনা দিচ্ছে। শ্রীলঙ্কা ফরেন কারেন্সি উপার্জন করতে পারে না, আমরা গার্মেন্টস, আইটি, মানব সম্পদ থেকে আয় করছি। আর আমাদের দেশে হওয়া মেগা প্রকল্পগুলো প্রবৃদ্ধি বৃদ্ধি করবে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশকে সমৃদ্ধশালী দেশে নিতে হলে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে হবে। বঙ্গবন্ধু সোনার বাংলা গড়ার যে সপ্ন দেখেছেন, যা বাস্তবায়নে তার কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাত দিন কাজ করে যাচ্ছেন।সেই সপ্ন বাস্তবায়নে আপনাদের দায়িত্ব অপরীসিম। আপনাদের এলাকার আইন-শৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখতে আরো সুন্দরভাবে কাজ করুন। যাতে করে এলাকাবাসী শান্তিতে বসবাস করে, এলাকার উন্নয়ন হয়।
তিনি বলেন,নারীদের ওপর নিপীরণ বন্ধে, শিশুবান্ধব পরিবেশ গড়তে, মাদক ও সন্ত্রাসমুক্ত সমাজ গড়তে কমিউনিটি পুলিশিং এর সদস্যদের ভূমিকা রাখতে হবে। আর আপনারা যদি আপনাদের ভূমিকা সঠিকভাবে রাখতে পারেন তাহলে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর লক্ষ্যবস্তুতে পৌছাতে আমাদের ২০৪১ সাল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে না।

সর্বশেষ