১৯শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
সংবাদ শিরোনাম

পবিপ্রবির প্রফেসর ড. আফ্জাল হোসেনের পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন

শেয়ার করুনঃ

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email

মুহাম্মাদ ইমাদুল হক প্রিন্সঃ- পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. আফ্জাল হোসেন ডেনমার্কের বিখ্যাত কোপেনহেগেন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেছেন। তার পিএইচডি অভিসন্দর্ভ ছিল “Valuing Quality and Exploring Export Potentials of Pangasius and Tilapia Fish of Bangladesh”।

শরিয়তপুর জেলার নড়িয়া উপজেলার চরআত্রা ইউনিয়নের বসাকের চর গ্রামের সমাজ সেবক আলী আহাম্মেদ বেপারী ও গৃহিনী রোকেয়া বেগমের তৃতীয় সন্তান প্রফেসর ড. আফ্জাল হোসেন। পিএইচডি ডিগ্রী অর্জনের সংবাদ পেয়ে অনুভূতি ব্যক্ত করতে গিয়ে তিনি বলেন, “লক্ষ্য হবে সুনির্দিষ্ট”। তিনি আরও বলেন, “দেখুন, একজন মানুষ যদি তার আকাঙ্খা সম্পর্কে সজাগ না থাকেন, তবে তার পক্ষে বেশি দূর এগুনো সম্ভব নয়। স্মৃতি চারণ করতে গিয়ে প্রফেসর ড. আফজাল বলেন, আমি কিন্তু বানিজ্যের শিক্ষার্থী ছিলাম না, মাধ্যমিকে শুরুটা বিজ্ঞান দিয়ে হলেও শেষ পর্যন্ত বানিজ্য বিভাগের ছাত্র হয়ে উঠি এবং নড়িয়া উপজেলায় বানিজ্যের একমাত্র ছাত্র হিসেবে ২০০০ সালে প্রথম বিভাগে স্টার মার্কস পেয়ে উত্তীর্ণ হই। মাধ্যমিক সম্পন্ন করে নটরডেম কলেজে ভর্তি এবং সেখান থেকে পুনরায় বানিজ্য বিভাগে ২০০২ সালে প্রথম শ্রেণীতে স্টার মার্কস পেয়ে উত্তীর্ণ হই। তারপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কমপিটিটিভ সি ইউনিটে ভর্তি এবং সেখান থেকে ২০০৬ সালে বিবিএ ও ২০০৭ সালে এমবিএ মার্কেটিং ডিগ্রী সম্পন্ন করি। এমবিএ ডিগ্রী সম্পন্ন হতে না হতেই কয়েকটি আর্থিক ও বানিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে স্বল্প সময়ে যোগদান ও পরিবর্তন করি। ২০০৯ সালের মে মাসে সিলেট মেট্রোপলিটন বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রভাষক হিসেবে যোগদান করে শিক্ষকতা জীবন শুরু করি এবং ২০১০ সালের ৮ আগস্ট দক্ষিণাঞ্চলের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগে প্রভাষক হিসেবে যোগদান করি। এরপর ২০১৬ সালে ডেনিডা, ডেনমার্কের অর্থায়নে BANGFISH নামক একটি প্রকল্প পরিচালিত হলে উক্ত প্রজেক্টের আওতায় আমি উচ্চ শিক্ষার জন্য নির্বাচিত হই এবং পিএইচডি ডিগ্রী অর্জনের নিমিত্তে ডেনমার্কের কোপেনহেগেন ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হই”। প্রফেসর ড. আফ্জাল হোসেনের গবেষণা প্রবন্ধ থেকে ইতোমধ্যে তিনটি মৌলিক গবেষণাপত্র Elsevier, Taylor & Francis, Ges University of Chicago নামক নামকরা পাবলিসার্স থেকে ভিন্ন ভিন্ন ইন্টারন্যাশনাল রেফারিড (Scopus Indexed) জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে। এছাড়াও উক্ত গবেষনা থেকে ন্যাশনাল এবং ইন্টারন্যাশনাল সেমিনার ও কনফারেন্সে তার ৫টি গবেষণাপত্র উপস্থাপিত হয়েছে। বর্তমানে একই গবেষণা থেকে তার আরও তিনটি গবেষণাপত্র ইন্টারন্যাশনাল রেফারিড জার্নালে প্রকাশের অপেক্ষায় রয়েছে। এখন পর্যন্ত প্রফেসর আফজালের ন্যাশনাল এবং ইন্টারন্যাশনাল মোট প্রকাশিত গবেষণাপত্রের সংখ্যা ২৮ এবং সেমিনার, ওয়ার্কসপ ও কনফারেন্স উপস্থাপিত গবেষণাপত্রের সংখ্যা ৬। এছাড়াও তিনি তিনটি প্রকল্পের প্রধান গবেষক ও একটি প্রকল্পের সহযোগী গবেষক হিসেবে গবেষণা পরিচালনা করেছেন। বর্তমানে তিনি মার্কেটিং বিভাগের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। প্রফেসর ড. আফজাল হোসেন বলেন, “শুধুমাত্র উৎপাদন নয় বরং প্রতিযোগিতামূলক বাজারে ভোক্তাকেন্দ্রিক উৎপাদন জরুরি। অন্যথায়, পণ্যের বিক্রী এমনকি চাহিতমূল্য পাওয়াও সম্ভব নয় যার প্রত্যক্ষ উদাহরণ বাংলাদেশের পাংগাস ও তেলাপিয়া। অথচ, এই একই মাছ উৎপাদন ও রপ্তানীতে ভিয়েতনাম ও চীন একচেটিয়া বিশ্ব বাজার দখল করে নিয়েছে। তবে তার জন্য একটি পণ্য চক্রের প্রতিটি স্তরে যথোপযুক্ত তদারকি প্রয়োজন”।

সর্বশেষ