২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

থানা ঘেরাও করলো তিন শতাধিক জনতা ! ৪ পুলিশ সহ আহত-১০

শেয়ার করুনঃ

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email

হোসাইন আমির কুয়াকাটা প্রতিনিধি : কুয়াকাটা মহিপুর থানা আসামী মুক্ত করে আনতে থানাভবন ঘেরাও করে তিন শতাধীক জনতা। ঘেরাওকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ লাঠিচার্জের অন্তত ১০ জন এবং পুলিশের ৪ সদস্য আহত হয়েছে। আজ (শুক্রবার) বিকেল সাড়ে চারটার দিকে এ ঘটনা ঘটে। বর্তমানে এ ঘটনায় ওই ইউনিয়নে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, লতাচাপলী ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের পরাজিত মেম্বার প্রার্থী আব্দুল জলিল ঘরামীর ছোট ভাই মোঃ খলিল ঘরামীর নেতৃত্বে ২৫-৩০ জন সমর্থক বৃহস্পতিবার সকালে বিজয়ী প্রার্থী আবুল হোসেন কাজী’র সমর্থক কবির মোল্লাকে বেধড়ক মারধর করেন। বর্তমানে কবির মোল্লা বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। এ ঘটনায় কবির মোল্লার স্ত্রী মোসাঃ শিউলী বেগম বাদী হয়ে শুক্রবার দুপুরে খলিল ঘরামীকে প্রধান আসামী করে মহিপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। পুলিশ প্রধান আসামী খলিল ঘরামীকে গ্রেফতার করেন। পরে আব্দুল জলিল ঘরামী থানায় গিয়ে তার ভাই খলিল ঘরামীকে মুক্ত করতে ব্যর্থ হয়ে তার সমর্থিত লোকজনকে থানা ঘেরাও করার নির্দেশ দেন। পরে বিকাল সোয়া তিনটার দিকে তিন শতাধীক জনতা থানার সামনে জড়ো হয়ে থানা ভবন ঘেরাও করেন। তাদের ঘেরাও কর্মসূচী ভন্ডুল করতে পুলিশ বার বার অনুরোধ করলেও ঘেরাওকারীরা ¯েøাগান দিতে থাকেন। এক পর্যায়ে পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করলে ঘেরাওকারীরা পুলিশের ওপর চড়াও হয়। পরবর্তীতে পুলিশ বাঁশি বাজিয়ে ছত্রভঙ্গ করতে গেলে ঘেরাওকারীরা ইট নিক্ষেপ করেন। এতে পুলিশের নারী সদস্য নাহার, এসআই আব্দুল হালিম, সদস্য ওবায়দুল ও মিলন আহত হয়েছে। গুরুতর আহত এসআই আব্দুল হালিমকে কলাপাড়া উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদিকে ঘেরাওকারীদের মধ্যে ১০জন আহত হয়েছে বলে তারা দাবী করেছেন।
মহিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার আবুল খায়ের বলেন, কুয়াকাটার লতাচাপলী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন পরবর্তী সংহিসতার মামলায় একজনকে গ্রেফতারের পর তার ভাইয়ের নেতৃত্বে তিন শতাধিক নারী পুরুষ তাকে মুক্ত করতে থানাভবন ঘেরাও করে। আজ দুপুর থেকে ঘেরাও করে রাখলেও বিকেল পর্যন্ত তাদের সরে যেতে অনুরোধ করা হয়। এতে তারা কর্ণপাত করেনি। পরে পুলিশ তাদের বাঁশি বাজিয়ে ও লাঠিচার্জ করে ছত্রভঙ্গ করেছেন। এ ঘটনায় পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে জলিল ঘরামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

সর্বশেষ