১৯শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
সংবাদ শিরোনাম

দুই পরিচালকের দ্বন্দ্বে বন্ধ হতে পারে ইনফ্রা পলিটেকনিক: অনিশ্চয়তায় ১৭’শ শিক্ষার্থী

শেয়ার করুনঃ

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email

মামুনুর রশীদ নোমানী :
প্রকাশ্য দ্বন্দ্বে জাড়িয়েছেন নগরীর বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ইনফ্রা পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটের দুই পরিচালক। ইনফ্রা শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী কল্যাণ সমিতি নামের একটি সংগঠন গঠন নিয়ে তাদের মধ্যে এই দ্বন্দ্বের সূত্রপাত। একপক্ষ বলছেন প্রতিষ্ঠানের ক্ষতি করতে নিয়ম বহিঃর্ভুতভাবে সংগঠন করা হয়েছে। আবার অপর পক্ষ বলছে নিয়ম মেনেই কমিটি করা হয়েছে। তবে কারিগারি শিক্ষাবোর্ড কর্তৃপক্ষ বলছে এ ধরনের কমিটি গঠনের বিধান নেই।
জানা গেছে, ‘নগরীর কাশিপুরে অবস্থিত ইনফ্রা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের দুজন পরিচালক হলেন প্রকৌশলী মো. আমির হোসাইন ও প্রকৌশলী মো. ইমরান চৌধুরী। এদের মধ্যে একজন দীর্ঘ ১০ বছর পরিচালনা পর্ষদের সভাপতির দায়িত্ব ধরে রেখেছেন।
প্রতিষ্ঠানের এক নম্বর পরিচালক প্রকৌশলী মো. আমির হোসাইন সাংবাদিকদের কাছে দাবি করেন, প্রকৌশলী মো. ইমরান চৌধুরী কাউকে কিছু না জানিয়ে নিজের ইচ্ছামত প্রতিষ্ঠানটি পরিচালনা করছেন। তিনি ইনস্টিটিউটের ক্ষতি করার পাশাপাশি নিজের আধিপত্য ধরে রাখতে ‘ইনফ্রা শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী কল্যাণ সমিতি’ গঠন করেছেন। যা প্রতিষ্ঠানের জন্য হুমকী স্বরুপ।
তিনি বলেন, ২০০৩ সাল থেকে প্রতিষ্ঠানটি পরিচালিত হয়ে আসছে। প্রতিষ্ঠানটি সুনামের সাথে এগিয়ে গেলেও একটি চক্র প্রতিষ্ঠানটিকে ধ্বংস করতে চক্রান্ত করছে। বর্তমানে কলেজে প্রায় ১৭শ’র বেশি শিক্ষার্থী রয়েছে। আমি ও প্রকৌশলী মো. ইমরান চৌধুরী দুই জনে এই প্রতিষ্ঠানের পরিচালক। কিন্তু প্রকৌশলী মো. ইমরান চৌধুরী আমাকে কোন বিষয়ে অবগত না করে নিজের ইচ্ছামত প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করছে। সে বিভিন্নভাবে প্রতিষ্ঠানের টাকা উত্তোলন করে নিয়ে যাচ্ছে। দীর্ঘ ১০ বছর সে প্রতিষ্ঠান পরিচালনা পর্ষদের দায়িত্ব পালন করছে। মেয়াদ অনেক আগে শেষ হলেও পদ থেকে সড়ে না দাঁড়িয়ে ক্ষমতার অপব্যবহার করছে। তিনি এক আধিপত্য ধরে রাখতেই শিক্ষক কর্মচারীদের নিয়ে ইনফ্রা ইন্সটিটিউট শিক্ষক কর্মকর্তা ও কর্মচারী কল্যাণ সমিতি গঠন করেছেন। যা বেসরকারি কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নেই। প্রতিষ্ঠানটিকে ধ্বংস করতে তিনি সকলকে নিয়ে এই কমিটি করছে।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে ইনফ্রা পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটের অপর পরিচালক প্রকৌশলী মো. ইমরান চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, যে কমিটি নিয়ে অভিযোগ উঠেছে সেটা লেবার আইন অনুযায়ী করা হয়েছে। তবে এই কমিটি আমি করিনি, শিক্ষক কর্মচারীরা করেছে। আমাকে তারা দাওয়াত করেছে। তাই আমি তাদের অনুষ্ঠানে এসেছি।
তিনি বলেন ‘পরিচালক ও পরিচালনা পর্ষদের হাতে অনেক সময় শিক্ষক, কর্মচারীকে লাঞ্চিত হতে হয়। শিক্ষক কর্মচারীদের বিভিন্ন দাবি দাওয়া থাকতে পারে। তাই এই সংগঠন খোলা হয়েছে। তবে পরিচালক আমির হোসাইন যেভাবে অভিযোগ তুলেছেন সেটা আসলে সঠিক নয়।
এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে ইনফ্রা পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট এর অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) এম এ রহিমের মুঠোফোনে কল করা হলেও নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়।
বাংলাদেশ কারিগড়ি শিক্ষা বোর্ডের সচীব আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ জামান বলেন, কারিগরি শিক্ষা বোর্ডে শিক্ষক কর্মকর্তা ও কর্মচারী কল্যাণ সমিতি গঠনের কোন বিধান নেই। কেউ যদি এমনটা করে থাকে তবে সেটা তাদের নিজস্ব ব্যাপার। শিক্ষা বোর্ড থেকে আমরা কাউকে কোন অনুমোদন দেই না।

সর্বশেষ