২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
গৌরনদীতে সিএইচসিপি’র বদলী আদেশ প্রত্যাহারের দাবীতে মানববন্ধন ভোলায় ডাকঘরে পোস্ট মাস্টারের আইসক্রিম ডিলারের ব্যবসা উজিরপুরে পুলিশের বিশেষ অভিযানে গ্রেফতার ৫ তীব্র তাপদাহ থেকে মুক্তি পেতে আমতলীতে সালাতুল ইসতিসকার নামাজ আদায় পিরোজপুরে বাসের ধাক্কায় ফেরিতে থাকা ৪ মোটরসাইকেল নদীতে বরগুনায় ডায়রিয়ার প্রকোপ : ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে ভর্তি ৮৩ জন পটুয়াখালীতে তীব্র দাবদাহ ও খরা থেকে মুক্তি পেতে ইসতিসকার নামাজ আদায় বিসিএস পরীক্ষায় অংশ নিতে বাস সহায়তা দেবে ববি কর্তৃপক্ষ বরিশালে ভোট কেন্দ্রে থাকছে না সিসি ক্যামেরা দাপদাহে স্বাস্থ্য সুরক্ষার্থে শেবাচিমে জনসচেতনতা মূলক প্রচারণা শুরু

স্বাস্থ্যবিধি ভেঙ্গে পার্টি করায় প্রধানমন্ত্রীর উপর ক্ষেপে ২৭ মন্ত্রীর পদত্যাগ

শেয়ার করুনঃ

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email

বাণী ডেস্ক: যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের মন্ত্রিসভা থেকে একে একে ২৭ জন পদত্যাগ করেছেন। বুধবার ( ০৬ জুলাই) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বিবিসি।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, গতকাল মঙ্গলবার অর্থমন্ত্রী ঋষি সুনাক ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী সাজিদ জাভিদ মন্ত্রিত্ব ছাড়ার পর থেকে পদত্যাগের হিড়িক ওঠে। একে একে মন্ত্রিসভার ২৭ জন সদস্য পদত্যাগ করলেও প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন এখনো প্রধানমন্ত্রী হিসেবে টিকে থাকার বিষয়ে আত্মবিশ্বাসী। তার প্রেস সেক্রেটারি বলেন, যারা পদত্যাগ করেছেন তাদের পদে অন্যদের নিয়োগ দেওয়া হবে।
এরইমধ্যে ব্রিটেনের অর্থমন্ত্রী ঋষি সুনাক, স্বাস্থ্যমন্ত্রী সাজিদ জাভিদের পদত্যাগের পর একই পথে হেঁটেছেন দেশটির শিশু ও পরিবারমন্ত্রী উইল কুইন্স এবং জুনিয়র পরিবহনমন্ত্রী লরা ট্রট, আর্থিক সেবা বিষয়ক মন্ত্রী জন গ্লেন।
পদত্যাগের ঘোষণায় শিশু ও পরিবারবিষয়কমন্ত্রী উইল কুইন্স বলেন, ‘আমার পদত্যাগ ছাড়া কোনো উপায় ছিল না। ’ সরকারের ওপর ‘আস্থা’ চলে যাওয়ায় পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন জুনিয়র পরিবহনমন্ত্রী লরা ট্রট।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, মঙ্গলবার ( ০৫ জুলাই) ১০ মিনিটের ব্যবধানে অর্থমন্ত্রী ঋষি সুনাক ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী সাজিদ জাভিদ পদত্যাগ করেন। শুধু পদত্যাগ করেই তারা ক্ষান্ত দেননি, প্রধানমন্ত্রী বরিসের নেতৃত্ব নিয়েও তারা প্রশ্ন তুলেছেন।
করোনার বিধি লঙ্ঘন করে একাধিক পার্টি আয়োজন করে সমালোচিত হয়েছিলেন বরিস জনসন। এজন্য প্রকাশ্যে ক্ষমাও চেয়েছিলেন তিনি। তবে বিষয়টি নিয়ে পদত্যাগের চাপে ছিলেন তিনি। যদিও তিনি পার্লামেন্টে তার বিরুদ্ধে আনা অনাস্থা প্রস্তাবে উতরে যান।
সরকার পরিচালনায় বরিস জনসনের সক্ষমতা নিয়ে নিজ দল ও দলের বাইরে তার ব্যাপক সমালোচনা রয়েছে। সম্প্রতি নতুন করে কেলেঙ্কারিতে জড়িয়েছেন তিনি। রক্ষণশীল দলের এমপি ক্রিস পিঞ্চারের বিরুদ্ধে যৌন অসদাচরণের অভিযোগ সম্পর্কে আগে থেকেই জানতেন বরিস জনসন। এরপরও তাকে সরকারের ডেপুটি চিফ হুইপ করেন প্রধানমন্ত্রী জনসন।
এ ঘটনা প্রকাশ্যে এলে আবারও ক্ষমা চান বরিস জনসন। তবে নিজ দল থেকেই এবার তার পদত্যাগের দাবি উঠেছে।

সর্বশেষ